ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টার ‘জাপানে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। ২৬ অক্টোবর ঢাকার বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে এই সেমিনার হয়। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম এবং জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেইটিও) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজি আন্দো। সেমিনারে আলোচক ছিলেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড ও জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (জেবিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট সুগাওয়ারা মানাবু। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ আক্তার হোসেন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশন সেন্টারের (আইআইসি) প্রকল্প পরিচালক আবু তাহের খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও আস্থার। সে সম্পর্কে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও জাপান আগামী বছরগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অংশীদারিকে দৃঢ় করার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যাবে।’ 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রধান সমস্যা দক্ষতা, তাই বাংলাদেশের মানুষের দক্ষতা উন্নয়ন প্রয়োজন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল পরিবারের ভৌত অবকাঠামো, সম্পদসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন নেই।’ তিনি জাপানি দাতা গোষ্ঠী ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে শুধু কারিগরি ও প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘জাপানের চাকরির বাজারে ভালো সুযোগের জন্য জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণের ব্যবধান কমাতে হবে। দক্ষতার ঘাটতি দূর করার ওপর জোর দিতে হবে এবং কর্মপরিবেশের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি, শিষ্টাচার এবং মনোভাব প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’