নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পেতে ঘুষ দেওয়া লাগছে বলে জানিয়েছে ২৯ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই ঘুষ দাবি করছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল প্রকাশ করে গবেষণা সংস্থাটি। উৎপাদন ও সেবা খাতের ৫০১টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা কিংবা তাঁদের প্রতিনিধির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জুলাই মাসে জরিপটি পরিচালনা করে সানেম। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রণোদনার ঋণ নিতে গিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ২৪ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়নি। আর ৪৭ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঘুষ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গবেষণা সংস্থাটির ধারণা, শেষোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও ঘুষ দাবি করা হয়ে থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের প্রক্রিয়া ও ফলাফল তুলে ধরে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান জানান, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৭ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ কোনোটাই বলেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষ্মণ হিসেবে ধরে নিলে, তাঁরাও ঘুষের শিকার। হয়তো নানা দিক থেকে ক্ষতির শঙ্কা থেকেই সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলতে চাননি তাঁরা।
সেলিম রায়হান আরও জানান, প্রণোদনার ঋণ নিতে গিয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগ তোলা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানই বেশি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২১ শতাংশ প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পেয়েছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম রায়হান বলেন, ‘ঘুষ দাবি করা হয়েছে কি-না-এই প্রশ্নের হ্যাঁ কিংবা না জবাবের বাইরে আর কিছু জানতে চাওয়া হয়নি জরিপের সময়। এ কারণে অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’
এদিকে সানেমের সবশেষ জরিপের তথ্য বলছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। গত এপ্রিল-জুনের চেয়ে আস্থা বেড়েছে দেড়গুণের বেশি।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল ২৭ শতাংশ ব্যবসায়ীর। এখন এই হার ৪৭ শতাংশ। এমনকি জানুয়ারি থেকে মার্চের তুলনায় এই হার ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।
তৈরি পোশাক, বস্ত্র, চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, পাইকারি বিক্রি, খুচরা বিক্রি, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থিক খাত এবং নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের অন্যান্য ও সেবা খাতের অন্যান্য-এই ১৫টি খাত বিবেচনায় নিয়ে জরিপ চালায় সানেম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আস্থা ফিরেছে সেবা খাতে, ৫৩ শতাংশ।
করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পেতে ঘুষ দেওয়া লাগছে বলে জানিয়েছে ২৯ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই ঘুষ দাবি করছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল প্রকাশ করে গবেষণা সংস্থাটি। উৎপাদন ও সেবা খাতের ৫০১টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা কিংবা তাঁদের প্রতিনিধির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জুলাই মাসে জরিপটি পরিচালনা করে সানেম। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রণোদনার ঋণ নিতে গিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ২৪ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়নি। আর ৪৭ শতাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঘুষ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গবেষণা সংস্থাটির ধারণা, শেষোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও ঘুষ দাবি করা হয়ে থাকতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের প্রক্রিয়া ও ফলাফল তুলে ধরে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান জানান, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৭ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ কোনোটাই বলেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষ্মণ হিসেবে ধরে নিলে, তাঁরাও ঘুষের শিকার। হয়তো নানা দিক থেকে ক্ষতির শঙ্কা থেকেই সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলতে চাননি তাঁরা।
সেলিম রায়হান আরও জানান, প্রণোদনার ঋণ নিতে গিয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগ তোলা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানই বেশি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২১ শতাংশ প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পেয়েছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে সেলিম রায়হান বলেন, ‘ঘুষ দাবি করা হয়েছে কি-না-এই প্রশ্নের হ্যাঁ কিংবা না জবাবের বাইরে আর কিছু জানতে চাওয়া হয়নি জরিপের সময়। এ কারণে অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’
এদিকে সানেমের সবশেষ জরিপের তথ্য বলছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। গত এপ্রিল-জুনের চেয়ে আস্থা বেড়েছে দেড়গুণের বেশি।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল ২৭ শতাংশ ব্যবসায়ীর। এখন এই হার ৪৭ শতাংশ। এমনকি জানুয়ারি থেকে মার্চের তুলনায় এই হার ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।
তৈরি পোশাক, বস্ত্র, চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, পাইকারি বিক্রি, খুচরা বিক্রি, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, তথ্যপ্রযুক্তি, আর্থিক খাত এবং নির্মাণ এবং উৎপাদন খাতের অন্যান্য ও সেবা খাতের অন্যান্য-এই ১৫টি খাত বিবেচনায় নিয়ে জরিপ চালায় সানেম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আস্থা ফিরেছে সেবা খাতে, ৫৩ শতাংশ।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৪ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে