জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
গ্রাহকের কিস্তির টাকা নিয়ে লাপাত্তা বিমা খাতের জন্য নতুন কিছু নয়। এবার এই অপকর্মে নাম এসেছে একটি বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও)। এই অপকর্মে সরাসরি জড়িত স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন। তিনি গ্রাহকের প্রিমিয়ামের ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা আত্মসাৎ করেন; যা বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এসব টাকা ফেরত দিতে গত রোববার আইডিআরএ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনকে চিঠিও দিয়েছে।
আইডিআরের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক সিইও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বিভিন্ন সময়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে কোম্পানির গ্রাহকের প্রিমিয়ামের মোট ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা রেখেছেন। গ্রাহকের প্রিমিয়ামের অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে রাখা সরাসরি আত্মসাৎ। গ্রাহকের আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি গত ৯ অক্টোবর সরকারি স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু গত রোববার পর্যন্ত গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা কোম্পানির হিসাবে জমা দেননি।
আইডিআরএর চিঠি অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের জমাকৃত কোম্পানির প্রিমিয়ামের মোট অর্থের পরিমাণ ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা; যা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের জন্য ফৌজদারি মামলাসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন বলেন, ‘আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি। এ বিষয়ে একটা বড় ধরনের ভুল হয়েছে। তবে টাকা যে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে এসেছে, তা সত্য।’ এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
আইডিআরএ থেকে জানা গেছে, নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ মে স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির নতুন পলিসি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইডিআরএ। এই নিষেধাজ্ঞা গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ ছিল। তবে বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বিমা কোম্পানিটির নতুন বিমা পলিসি ইস্যুতে কোনো বাধা নেই।
আইডিআরএর সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, লাইফ ফান্ড গঠন করতে না পারা, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এবং মূলধন থেকে অর্জিত সুদের অর্থ খরচ করা, পলিসি নবায়নের হার কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিমা কোম্পানিটিকে নতুন পলিসি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তার আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে স্বদেশ ইসলামী লাইফের বিমা কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতেই স্বদেশ ইসলামী লাইফে তদন্ত করে আইডিআরএ। তদন্তে কোম্পানিটির আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
আইডিআরএর মুখপাত্র ও পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কোম্পানির খবর আগে থেকেই ভালো নয়। বাজারে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই বদনাম থেকে বের হতে পারছে না তারা। তবে গ্রাহকের অর্থ সুরক্ষায় নিয়ম অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকের কিস্তির টাকা নিয়ে লাপাত্তা বিমা খাতের জন্য নতুন কিছু নয়। এবার এই অপকর্মে নাম এসেছে একটি বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও)। এই অপকর্মে সরাসরি জড়িত স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন। তিনি গ্রাহকের প্রিমিয়ামের ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা আত্মসাৎ করেন; যা বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এসব টাকা ফেরত দিতে গত রোববার আইডিআরএ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনকে চিঠিও দিয়েছে।
আইডিআরের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক সিইও মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বিভিন্ন সময়ে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে কোম্পানির গ্রাহকের প্রিমিয়ামের মোট ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা রেখেছেন। গ্রাহকের প্রিমিয়ামের অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে রাখা সরাসরি আত্মসাৎ। গ্রাহকের আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি গত ৯ অক্টোবর সরকারি স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু গত রোববার পর্যন্ত গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা কোম্পানির হিসাবে জমা দেননি।
আইডিআরএর চিঠি অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের জমাকৃত কোম্পানির প্রিমিয়ামের মোট অর্থের পরিমাণ ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৭ টাকা; যা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের জন্য ফৌজদারি মামলাসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন বলেন, ‘আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি। এ বিষয়ে একটা বড় ধরনের ভুল হয়েছে। তবে টাকা যে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে এসেছে, তা সত্য।’ এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
আইডিআরএ থেকে জানা গেছে, নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ মে স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির নতুন পলিসি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইডিআরএ। এই নিষেধাজ্ঞা গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ ছিল। তবে বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বিমা কোম্পানিটির নতুন বিমা পলিসি ইস্যুতে কোনো বাধা নেই।
আইডিআরএর সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, লাইফ ফান্ড গঠন করতে না পারা, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন এবং মূলধন থেকে অর্জিত সুদের অর্থ খরচ করা, পলিসি নবায়নের হার কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিমা কোম্পানিটিকে নতুন পলিসি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তার আগে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে স্বদেশ ইসলামী লাইফের বিমা কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতেই স্বদেশ ইসলামী লাইফে তদন্ত করে আইডিআরএ। তদন্তে কোম্পানিটির আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
আইডিআরএর মুখপাত্র ও পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কোম্পানির খবর আগে থেকেই ভালো নয়। বাজারে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই বদনাম থেকে বের হতে পারছে না তারা। তবে গ্রাহকের অর্থ সুরক্ষায় নিয়ম অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৩৩ মিনিট আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে