অনলাইন ডেস্ক
ঋণের সাগরে ডুবে যাচ্ছে জেড জেনারেশন (১৯৯৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে যাদের জন্ম)। এই প্রজন্মের তরুণ আমেরিকানরা আগের যেকোনো প্রজন্মের চেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ঋণ নেওয়া শুরু করছে। এই আর্থিক বোঝা তাঁদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রজন্ম কর্মজীবনে ঢুকতেই খাদ্যসামগ্রী এবং বাড়িভাড়া বেড়ে গেছে। ফলে তাঁরা অনেকে বাধ্য হয়েই ঋণ নিচ্ছেন। আবার যারা ‘স্টুডেন্ট লোন’ নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন তাঁদের ঋণের পাল্লা আরও ভারী।
আমেরিকার ক্রেডিট-রিপোর্টিং এজেন্সি ট্রান্সইউনিয়নের নতুন তথ্য অনুসারে, ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের গড় ক্রেডিট-কার্ড ব্যালেন্স ২০২৩ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ২ হাজার ৮৩৪ ডলার ছিল। ২০১৩ সালের একই সময়ের মধ্যে গড় মুদ্রাস্ফীতি-সংযোজিত ব্যালেন্স ২ হাজার ২৪৮ ডলার ছিল।
অর্থনীতিবিদ এবং আর্থিক উপদেষ্টারা বলছেন, অধিক ঋণের ভারে জর্জরিতরা ক্রেডিট-কার্ডের টাকা পরিশোধ করে না এবং তাঁরা চাকরি হারালে সাহায্যের জন্য পরিবারের ওপর নির্ভর করতে হবে। বিয়ে ও বাড়ির মালিক হওয়াসহ অন্যান্য বিষয় তাঁরা জীবনে অনেক দেরিতে পায়।
ট্রান্সইউনিয়নের গ্লোবাল রিসার্চের প্রধান চার্লি ওয়াইজ বলেছেন, ‘এটি এমন একটি প্রজন্ম যা এক দশক আগে মিলেনিয়ালদের চেয়ে অনেক তীব্র আর্থিক চাপে রয়েছে।’
জেড জেনারেশনের ২৬ বছর বয়সী যুবতী লিন্ডসে কোয়াকেনবুশ। তিনি একটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য কাজ করতেন। যেখান থেকে তিনি বছরে ৬০ হাজার ডলার পেতেন। এই টাকায় তিনি নিউইয়র্ক সিটির নিচতলার একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া চোকাতে পারতেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টে তিনি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতেন। তবে তিনি এখন চাকরি হারিয়ে দিশেহারা।
এখন তাঁর তিনটি ক্রেডিট কার্ডে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ডলার ঋণ রয়েছে এবং প্রথমবারের মতো তিনি তা পরিশোধ করতে পারছেন না। তিনি নতুন কাজের সন্ধানের সময় আপাতত সর্বনিম্ন অর্থ প্রদান করছেন।
তিনি এবং তার বন্ধুরা আরও আর্থিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থানে না আসা পর্যন্ত বিবাহ এবং সন্তানদের মতো বিষয়ে চিন্তা বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
একটি অনলাইন ভাড়া বাজারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রেন্ট’-এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ যায় বাড়ি ভাড়া দিতে। সেই বাড়ি ভাড়াও সম্প্রতি বেড়েছে অকল্পনীয়ভাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড় বাড়িভাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৯৮৭ ডলার ছিল, যা গত চার বছরে প্রায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ স্কট ফুলফোর্ড বলেছেন, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবারের ভাড়া এবং ভাড়াটেরা হয় তরুণ পেশাদার নয়তো নিম্ন আয়ের পরিবার।
ফুলফোর্ড বলেন, ‘তরুণদের সব সময়ই গড়ে কম সম্পদ থাকে অন্য সবার তুলনায়। গত বেশ কয়েক বছরে তরুণেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কারণ ভাড়ার মূল্যস্ফীতি এত বেশি।’
ভ্যানটেজস্কোর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ক্রেডিট কোম্পানিগুলো ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা শিথিল করে। ফলে অসংখ্য লোক নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই সময় অন্যান্য প্রজন্মের চেয়ে জেড জেনারেশন সবচেয়ে বেশি নতুন ক্রেডিট-কার্ড খোলেন। ২৭ বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ৫ শতাংশ গ্রাহক ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত অন্তত একটি নতুন ক্রেডিট-কার্ড অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এই বছরের মার্চের মধ্যে এই সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
ট্রান্সইউনিয়নের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশক আগের মিলেনিয়ালদের চেয়ে জেড সদস্যদের কমপক্ষে একটি ক্রেডিট কার্ড বেশি রয়েছে।
ক্রেডিট ‘কর্মা’র তথ্য অনুসারে, গত দুই বছরে সুদের হার বাড়ায় ক্রেডিট কার্ডের ঋণও চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে। মিলেনিয়ালদের ক্রেডিট স্কোর ২৬ পয়েন্ট কমে ৬৬০ থেকে ৭১৯ হয়েছে। জেড জেনারেশনও খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না। এই সময়ের মধ্যে ২৪ পয়েন্ট কমে ৭২০ এ রয়েছে।
ঋণের সাগরে ডুবে যাচ্ছে জেড জেনারেশন (১৯৯৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে যাদের জন্ম)। এই প্রজন্মের তরুণ আমেরিকানরা আগের যেকোনো প্রজন্মের চেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ঋণ নেওয়া শুরু করছে। এই আর্থিক বোঝা তাঁদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রজন্ম কর্মজীবনে ঢুকতেই খাদ্যসামগ্রী এবং বাড়িভাড়া বেড়ে গেছে। ফলে তাঁরা অনেকে বাধ্য হয়েই ঋণ নিচ্ছেন। আবার যারা ‘স্টুডেন্ট লোন’ নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন তাঁদের ঋণের পাল্লা আরও ভারী।
আমেরিকার ক্রেডিট-রিপোর্টিং এজেন্সি ট্রান্সইউনিয়নের নতুন তথ্য অনুসারে, ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের গড় ক্রেডিট-কার্ড ব্যালেন্স ২০২৩ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ২ হাজার ৮৩৪ ডলার ছিল। ২০১৩ সালের একই সময়ের মধ্যে গড় মুদ্রাস্ফীতি-সংযোজিত ব্যালেন্স ২ হাজার ২৪৮ ডলার ছিল।
অর্থনীতিবিদ এবং আর্থিক উপদেষ্টারা বলছেন, অধিক ঋণের ভারে জর্জরিতরা ক্রেডিট-কার্ডের টাকা পরিশোধ করে না এবং তাঁরা চাকরি হারালে সাহায্যের জন্য পরিবারের ওপর নির্ভর করতে হবে। বিয়ে ও বাড়ির মালিক হওয়াসহ অন্যান্য বিষয় তাঁরা জীবনে অনেক দেরিতে পায়।
ট্রান্সইউনিয়নের গ্লোবাল রিসার্চের প্রধান চার্লি ওয়াইজ বলেছেন, ‘এটি এমন একটি প্রজন্ম যা এক দশক আগে মিলেনিয়ালদের চেয়ে অনেক তীব্র আর্থিক চাপে রয়েছে।’
জেড জেনারেশনের ২৬ বছর বয়সী যুবতী লিন্ডসে কোয়াকেনবুশ। তিনি একটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য কাজ করতেন। যেখান থেকে তিনি বছরে ৬০ হাজার ডলার পেতেন। এই টাকায় তিনি নিউইয়র্ক সিটির নিচতলার একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া চোকাতে পারতেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টে তিনি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতেন। তবে তিনি এখন চাকরি হারিয়ে দিশেহারা।
এখন তাঁর তিনটি ক্রেডিট কার্ডে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ডলার ঋণ রয়েছে এবং প্রথমবারের মতো তিনি তা পরিশোধ করতে পারছেন না। তিনি নতুন কাজের সন্ধানের সময় আপাতত সর্বনিম্ন অর্থ প্রদান করছেন।
তিনি এবং তার বন্ধুরা আরও আর্থিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থানে না আসা পর্যন্ত বিবাহ এবং সন্তানদের মতো বিষয়ে চিন্তা বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
একটি অনলাইন ভাড়া বাজারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রেন্ট’-এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ যায় বাড়ি ভাড়া দিতে। সেই বাড়ি ভাড়াও সম্প্রতি বেড়েছে অকল্পনীয়ভাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড় বাড়িভাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৯৮৭ ডলার ছিল, যা গত চার বছরে প্রায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ স্কট ফুলফোর্ড বলেছেন, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবারের ভাড়া এবং ভাড়াটেরা হয় তরুণ পেশাদার নয়তো নিম্ন আয়ের পরিবার।
ফুলফোর্ড বলেন, ‘তরুণদের সব সময়ই গড়ে কম সম্পদ থাকে অন্য সবার তুলনায়। গত বেশ কয়েক বছরে তরুণেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কারণ ভাড়ার মূল্যস্ফীতি এত বেশি।’
ভ্যানটেজস্কোর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ক্রেডিট কোম্পানিগুলো ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা শিথিল করে। ফলে অসংখ্য লোক নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই সময় অন্যান্য প্রজন্মের চেয়ে জেড জেনারেশন সবচেয়ে বেশি নতুন ক্রেডিট-কার্ড খোলেন। ২৭ বা তার চেয়ে কম বয়সী প্রায় ৫ শতাংশ গ্রাহক ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত অন্তত একটি নতুন ক্রেডিট-কার্ড অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এই বছরের মার্চের মধ্যে এই সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
ট্রান্সইউনিয়নের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক দশক আগের মিলেনিয়ালদের চেয়ে জেড সদস্যদের কমপক্ষে একটি ক্রেডিট কার্ড বেশি রয়েছে।
ক্রেডিট ‘কর্মা’র তথ্য অনুসারে, গত দুই বছরে সুদের হার বাড়ায় ক্রেডিট কার্ডের ঋণও চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে। মিলেনিয়ালদের ক্রেডিট স্কোর ২৬ পয়েন্ট কমে ৬৬০ থেকে ৭১৯ হয়েছে। জেড জেনারেশনও খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না। এই সময়ের মধ্যে ২৪ পয়েন্ট কমে ৭২০ এ রয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৫ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১১ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১২ ঘণ্টা আগে