অর্চি হক, ঢাকা
ডিজিটাল ব্যবসা বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে দুই বছর আগে চালু হয়েছে ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ডিবিআইডি) কার্যক্রম। ডিবিআইডির জন্য আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরকে (আরজেএসসি)। গ্রাহক প্রতারণা ঠেকাতে এই কার্যক্রম চালু করা হলেও ৯৮ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই এখনো রয়ে গেছে শনাক্তকরণের বাইরে।
ডিজিটাল ব্যবসার উদ্যোক্তারা বলছেন, কয়েক লাখ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের দায়িত্ব পাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আরজেএসসির অবস্থা হয়েছে ‘ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের’ মতো। ধীরগতির কারণে নিবন্ধন না পাওয়ায় অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পারছে না। আর আরজেএসসি কারণ দেখিয়েছে, জনবলের সংকট।
ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার সুবিধার ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগের শেষ নেই। ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেমন আছে, তেমনি প্রতারণা করা প্রতিষ্ঠানও আছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স মিলিয়ে দেশে ৫ লাখের বেশি ডিজিটাল ব্যবসায়ী রয়েছেন।
ডিজিটাল ব্যবসা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন এবং শনাক্তকরণ নম্বর দিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে এই দুই বছরে কার্যক্রমটির উদ্দেশ্য অনেকটাই অধরা রয়ে গেছে।
ডিবিআইডি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ডিবিআইডি পেতে আবেদন করেছে ৬ হাজার ৯২০টি প্রতিষ্ঠান। ডিবিআইডি পেয়েছে মাত্র ৯১৫টি। অথচ ই-ক্যাবের সদস্যসংখ্যাই ২ হাজার ৩০৬।
আরজেএসসির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় অফিস রয়েছে। সব অফিস মিলিয়ে কর্মরত আছেন ৫২ জন। আরজেএসসির কাজ মূলত পাবলিক কোম্পানি, প্রাইভেট কোম্পানি, বিদেশি কোম্পানি, ট্রেড অর্গানাইজেশন (বাণিজ্য সংগঠন), সোসাইটি (সমিতি) এবং পার্টনারশিপ ফার্ম (অংশীদারি কারবার) নিবন্ধন দেওয়া। এগুলোর সঙ্গে ২০২২ সালে যুক্ত হয় ই-কমার্সের নিবন্ধনের কাজ। নতুন দায়িত্ব যুক্ত হলেও জনবল বাড়েনি বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তাঁদের কয়েকজন বলেন, সারা দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে কয়েক লাখ। ৫২ জনের মধ্যে চার-পাঁচজন কর্মকর্তা ডিবিআইডির কাজ করেন। এই জনবল নিয়ে হাজার হাজার ই-কমার্সের যাচাই-বাছাই কীভাবে সম্ভব?
তবে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ‘আরজেএসসির জনবল কম থাকতে পারে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোনো সভায় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করেনি। বরং আমরা ডিবিআইডির আংশিক যাচাই, বিশেষ করে পাঁচটি আইসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের যাচাই প্রক্রিয়া আমাদের হাতে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আরজেএসসি একমত হয়নি। এখন তারা যদি জনবলের দোহাই দেয়, সেটা দুঃখজনক।’
ডিবিআইডি কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে আরজেএসসির প্রধান নিবন্ধক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এক-দুই সপ্তাহ হলো এখানে যোগ দিয়েছি। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
আছে নানা অসংগতি
ডিবিআইডি নিয়ে নানা অসংগতিও আছে। ডিবিআইডির ওয়েবসাইটে অনুমোদনপ্রাপ্তদের যে তালিকা, সেখানে ডিবিআইডি নম্বর দেখা যায় না। অথচ এই নম্বরই হলো ডিবিআইডি কার্যক্রমের প্রধান বিষয়। অভিযোগ রয়েছে, গোল্ড কিনেন, একসেপ্ট গ্লোবাল, এ বিপণি, এসপিসি ওয়ার্ল্ড–এই চারটি এমএলএম প্রতিষ্ঠান হলেও এগুলোকে ডিবিআইডি দেওয়া হয়েছে। ডিবিআইডিকে তারা সরকারের দেওয়া লাইসেন্স হিসেবে প্রচার করে প্রতারণা করছে। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি আরজেএসসিকে জানানোও হয়েছে। কিন্তু এখনো ওই চার প্রতিষ্ঠানের ডিবিআইডি বাতিল করা হয়নি। ‘ekab’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ডিবিআইডি পেলেও এটি ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠনের (ই-ক্যাব) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
ডিবিআইডির ধীরগতি ও অসংগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব সাঈদ আলী বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আরজেএসসির প্রধান কাজ তো এটা নয়। ওদের কাজ আলাদা। আমরা তাদের দিয়ে করাচ্ছি। কিন্তু এটা করার সেটআপটাই এখনো আরজেএসসির নেই। পুরোপুরি প্রস্তুত হতে আমাদের আরও সময় লাগবে।’
ডিজিটাল ব্যবসা বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে দুই বছর আগে চালু হয়েছে ডিজিটাল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ডিবিআইডি) কার্যক্রম। ডিবিআইডির জন্য আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরকে (আরজেএসসি)। গ্রাহক প্রতারণা ঠেকাতে এই কার্যক্রম চালু করা হলেও ৯৮ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই এখনো রয়ে গেছে শনাক্তকরণের বাইরে।
ডিজিটাল ব্যবসার উদ্যোক্তারা বলছেন, কয়েক লাখ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের দায়িত্ব পাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আরজেএসসির অবস্থা হয়েছে ‘ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের’ মতো। ধীরগতির কারণে নিবন্ধন না পাওয়ায় অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পারছে না। আর আরজেএসসি কারণ দেখিয়েছে, জনবলের সংকট।
ঘরে বসে পণ্য পাওয়ার সুবিধার ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগের শেষ নেই। ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেমন আছে, তেমনি প্রতারণা করা প্রতিষ্ঠানও আছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স মিলিয়ে দেশে ৫ লাখের বেশি ডিজিটাল ব্যবসায়ী রয়েছেন।
ডিজিটাল ব্যবসা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন এবং শনাক্তকরণ নম্বর দিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ডিবিআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে এই দুই বছরে কার্যক্রমটির উদ্দেশ্য অনেকটাই অধরা রয়ে গেছে।
ডিবিআইডি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ডিবিআইডি পেতে আবেদন করেছে ৬ হাজার ৯২০টি প্রতিষ্ঠান। ডিবিআইডি পেয়েছে মাত্র ৯১৫টি। অথচ ই-ক্যাবের সদস্যসংখ্যাই ২ হাজার ৩০৬।
আরজেএসসির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় অফিস রয়েছে। সব অফিস মিলিয়ে কর্মরত আছেন ৫২ জন। আরজেএসসির কাজ মূলত পাবলিক কোম্পানি, প্রাইভেট কোম্পানি, বিদেশি কোম্পানি, ট্রেড অর্গানাইজেশন (বাণিজ্য সংগঠন), সোসাইটি (সমিতি) এবং পার্টনারশিপ ফার্ম (অংশীদারি কারবার) নিবন্ধন দেওয়া। এগুলোর সঙ্গে ২০২২ সালে যুক্ত হয় ই-কমার্সের নিবন্ধনের কাজ। নতুন দায়িত্ব যুক্ত হলেও জনবল বাড়েনি বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তাঁদের কয়েকজন বলেন, সারা দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে কয়েক লাখ। ৫২ জনের মধ্যে চার-পাঁচজন কর্মকর্তা ডিবিআইডির কাজ করেন। এই জনবল নিয়ে হাজার হাজার ই-কমার্সের যাচাই-বাছাই কীভাবে সম্ভব?
তবে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ‘আরজেএসসির জনবল কম থাকতে পারে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোনো সভায় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করেনি। বরং আমরা ডিবিআইডির আংশিক যাচাই, বিশেষ করে পাঁচটি আইসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের যাচাই প্রক্রিয়া আমাদের হাতে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আরজেএসসি একমত হয়নি। এখন তারা যদি জনবলের দোহাই দেয়, সেটা দুঃখজনক।’
ডিবিআইডি কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে আরজেএসসির প্রধান নিবন্ধক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এক-দুই সপ্তাহ হলো এখানে যোগ দিয়েছি। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
আছে নানা অসংগতি
ডিবিআইডি নিয়ে নানা অসংগতিও আছে। ডিবিআইডির ওয়েবসাইটে অনুমোদনপ্রাপ্তদের যে তালিকা, সেখানে ডিবিআইডি নম্বর দেখা যায় না। অথচ এই নম্বরই হলো ডিবিআইডি কার্যক্রমের প্রধান বিষয়। অভিযোগ রয়েছে, গোল্ড কিনেন, একসেপ্ট গ্লোবাল, এ বিপণি, এসপিসি ওয়ার্ল্ড–এই চারটি এমএলএম প্রতিষ্ঠান হলেও এগুলোকে ডিবিআইডি দেওয়া হয়েছে। ডিবিআইডিকে তারা সরকারের দেওয়া লাইসেন্স হিসেবে প্রচার করে প্রতারণা করছে। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি আরজেএসসিকে জানানোও হয়েছে। কিন্তু এখনো ওই চার প্রতিষ্ঠানের ডিবিআইডি বাতিল করা হয়নি। ‘ekab’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ডিবিআইডি পেলেও এটি ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠনের (ই-ক্যাব) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।
ডিবিআইডির ধীরগতি ও অসংগতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব সাঈদ আলী বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আরজেএসসির প্রধান কাজ তো এটা নয়। ওদের কাজ আলাদা। আমরা তাদের দিয়ে করাচ্ছি। কিন্তু এটা করার সেটআপটাই এখনো আরজেএসসির নেই। পুরোপুরি প্রস্তুত হতে আমাদের আরও সময় লাগবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১৪ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগে