অনলাইন ডেস্ক
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার অর্থনীতির ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি কালো দিন হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এদিনই বিদেশি মুদ্রায় চালু করার ইউরোবন্ডের বিপরীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করতে না পায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। আফ্রিকার তৃতীয় দেশ হিসেবে জাম্বিয়া ও ঘানার পর দেউলিয়া হলো ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়া মূলত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঋণের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।
ইথিওপিয়ার ঋণের মূল জোগানদাতা মূলত বিশ্ব ব্যাংক ও চীন। এর বাইরে বিভিন্ন বন্ড ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন উৎস থেকেও ঋণ নিয়েছে দেশটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকে ইথিওপিয়ার ঋণ ছিল ২৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ সেই ঋণ কিছুটা কমে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। এর বাইরে, ২০২২ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে নেওয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৫ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের বাইরে ইথিওপিয়া সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনা ঋণদাতা/বিনিয়োগকারীরা আদ্দিস আবাবাকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতির কী পরিমাণ অর্থ চীন আদ্দিস আবাবাকে দিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি। তবে সে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, সে সময়টাতে চীনা বিনিয়োগকারীরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে অর্থ লগ্নি করেছে।
বিশ্বের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক ঋণ ক্রমেই বেড়েছে। তবে এই সময়ে দেশটি ঋণ পরিশোধে কখনো ব্যর্থ হয়নি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির পরের দুই বছরেও দেশটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
তবে ইথিওপিয়ার ঋণ ক্ষত বোধ হয় ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে দুই বছর মেয়াদি গৃহযুদ্ধ ও একই সময়ে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। দেশটির ব্যাপক ও রক্ষ ক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। একই সঙ্গে দেশটির অর্থনীতি কোভিডের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বাস্তবিক অর্থে ইথিওপিয়ার ঋণের পাহাড় জমতে শুরু করে ২০০৮ সালের পর থেকে।
ইথিওপিয়ার সামনে আগামী দুটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় থেকেই দেশটিকে বৈদেশিক ঋণগুলো পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচের তথ্য বলছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দেশটিকে অন্তত ১০০ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। যে ইউরোবন্ডের সুদ পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি সেই ইউরোবন্ডের মূলধনও পরিশোধ করতে হবে ২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। এ ছাড়া ২০২৫ সালেও অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অবশ্য ইথিওপিয়া দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আগেই অনেক অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, দেশটি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে দেশটি ২০২১ সালের শুরুর দিকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রথমবারের মতো ঋণের শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের জবাবে চীন চলতি বছরের আগস্টে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিষয়টি স্থগিত করে।
চীনের এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপপরিচালক অ্যানেলিসা ফেদেলিনো। কিছুদিন আগে, মরক্কোর মারাকেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘চীনা এরই মধ্যে ইথিওপিয়াকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ইথিওপিয়া অন্যান্য ঋণদাতাদের কাছেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাতে পারে। বিষয়টি খুবই উৎসাহজনক।’
ফেদেলিনো সে সময় জানিয়েছিলেন, ইথিওপিয়া আইএমএফের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণের আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে, ২৫ সেপ্টেম্বর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল আদ্দিস আবাবা সফর করে। কিন্তু সেই সফর ইথিওপিয়ার জন্য কোনো সুখবর বয়ে আনেনি। তবে ভবিষ্যতে আইএমএফ এই ঋণের বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ চালাবে বলেও জানান ফেদেলিনো।
যাই হোক, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইথিওপিয়ার জন্য সামনের বছরগুলো যে সহজ হবে না তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। নিম্ন আয়ের এই দেশটির অবশ্য উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি, তেলবীজ, সোনা, গ্যাস টারবাইন এবং বিভিন্ন ফল ও সবজি। দেশটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক। অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইথিওপিয়া অনেক কম দামে অনেক বেশি ভালো মানের কফি উৎপাদন করে থাকে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার রপ্তানি আয় ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণও খুব একটা বেশি নয়। কারণ, ২০২০ সালের পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির আমদানির পরিমাণও যথেষ্ট ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে দেশটি আমদানি করেছে ১৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করেছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির রপ্তানি ও আমদানির তুলনামূলক চিত্র বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি ততটা শক্তিশালী নয়, যতটা শক্তিশালী হলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর বাইরে, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংকটসহ নানা কারণেই ইথিওপিয়ার অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে যা দেশটিকে ঋণ গ্রহণের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণের বিপরীতে উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হওয়ায় সেই ঋণের পাহাড়েই চাপা পড়েছে দেশটি।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব ব্যাংক, রয়টার্স ও ফিচ
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে