ফারুক মেহেদী, ঢাকা
বহুমুখী চাপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি, আইএমএফের শর্তের খড়্গ, ভর্তুকির বোঝা, নির্বাচনী বছরে বাড়তি খরচের চাহিদা, অর্থায়ন সংকট–এইসব মিলিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন বাজেট তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আয়ের পথ সীমিত, তারপরও নির্বাচনে জনতুষ্টির কথা মাথায় রেখে সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড বড় বাজেট তৈরি হচ্ছে। যেখানে আইএমএফের একগাদা শর্ত মানতে গিয়ে অবাধে করছাড় তুলে দিয়ে বরং করের বোঝা বাড়ানোর মতো অপ্রিয় পথে হাঁটতে হচ্ছে। যে কারণে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রাও রেকর্ড ৪ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অনিবার্য এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন বাজেটটি তৈরি করতে হচ্ছে সরকারকে। তারা এমন এক সময়ে বাজেট তৈরি করছে, যখন সামনে আসছে একটি জাতীয় নির্বাচন।
রাজনৈতিক সরকারের ওই নির্বাচন জনতুষ্টির বিষয়গুলোও তাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানান খাতে বাড়তি টাকা চেয়ে মন্ত্রণালয়গুলো এরই মধ্যে তাদের চাহিদাপত্র দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এতসব বিষয় মাথায় রেখে যে বাজেটকাঠামোটি মোটাদাগে প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। বর্তমান সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের আকার ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা।
জানা যায়, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি করার কারণে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন শর্ত পালন করতে হবে। আর এসব শর্তের প্রতিফলন আসছে বাজেট থাকবে। যেমন–রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে হবে। এটা করতে হলে গণহারে যে করছাড় দেওয়া আছে, তা তুলে দিতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে দেওয়া কর অবকাশ তুলে দিতে কঠোর হতে হবে। এটা করা হলে দেশীয় শিল্পগুলো কমবেশি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। তা ছাড়া, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্য যখন নানান চাপের মধ্যে তখন বাড়তি করের বোঝা চাপবে তাদের ওপর। এর সঙ্গে সব স্তরের করের বোঝা বাড়বে। কারণ, আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে আসছে অর্থবছরে অন্তত ৬৫ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে হবে। এটা করতে কমবেশি ব্যক্তিশ্রেণির কর যেমন বাড়বে, তেমনি সব স্তরেই করের চাপ পড়বে। এটা নির্বাচনের আগে অজনপ্রিয় হলেও শেষ পর্যন্ত এটা না করে পারবে না সরকার। এমনিতেই রাজস্ব আয়ে নাজুক অবস্থা চলছে। এ অর্থবছরের আট মাসেই ঘাটতি প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা।
একদিকে, ঠিকমতো রাজস্ব আয় হচ্ছে না, অন্যদিকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিতে হচ্ছে। জানা যায়, শুধু এনবিআরকেই আসছে অর্থবছরে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এটা কঠিন হলেও এ পথেই হাঁটছে সরকার। এটা ধরে নিয়েই নির্বাচন সামনে রেখে হাত খুলে খরচের পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজস্ব আয় ঠিকমতো না হলে, আর খরচ চালিয়ে যেতে হলে সরকারকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে বড় অঙ্কের ধার করতে হবে। বিদেশি উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছেও হাত পাততে হবে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বাজেট আলোচনায় বেশি খরচের আভাস দিয়েছেন। মানে আসছে বাজেটে সরকার খরচে কিছুটা উদারতা দেখাবে। আবার খরচ না করলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিও ধরে রাখা যাবে না। মানুষের কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্থ হবে। আসছে অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে অর্থমন্ত্রী বেশি খরচের পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, খরচের যে পরিকল্পনা, তাতে অর্থের প্রবাহ ঠিকমতো না পেলে, বেলা শেষে সরকারকে বিপুল অঙ্কের ধারের কারণে বড় অর্থায়ন ঘাটতিতে পড়তে হতে পারে। এমনিতে সরকার জিডিপির ৫ বা সাড়ে ৫ শতাংশ ধার করার পরিকল্পনা করে থাকে। সামনের অর্থবছরে এটা ৫ শতাংশে ধরে রাখা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তারা।
নতুন বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারেও ভর্তুকির চাপ থাকবে। যদিও আইএমএফের শর্তের কারণে ভর্তুকি থেকে সরে আসার কথা বলা হয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষির প্রসার আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চিন্তা করে সরকার শিগগিরই হয়তো ভর্তুকি তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলেই মনে করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বহুমুখী চাপের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি, আইএমএফের শর্তের খড়্গ, ভর্তুকির বোঝা, নির্বাচনী বছরে বাড়তি খরচের চাহিদা, অর্থায়ন সংকট–এইসব মিলিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন বাজেট তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আয়ের পথ সীমিত, তারপরও নির্বাচনে জনতুষ্টির কথা মাথায় রেখে সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড বড় বাজেট তৈরি হচ্ছে। যেখানে আইএমএফের একগাদা শর্ত মানতে গিয়ে অবাধে করছাড় তুলে দিয়ে বরং করের বোঝা বাড়ানোর মতো অপ্রিয় পথে হাঁটতে হচ্ছে। যে কারণে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রাও রেকর্ড ৪ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অনিবার্য এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন বাজেটটি তৈরি করতে হচ্ছে সরকারকে। তারা এমন এক সময়ে বাজেট তৈরি করছে, যখন সামনে আসছে একটি জাতীয় নির্বাচন।
রাজনৈতিক সরকারের ওই নির্বাচন জনতুষ্টির বিষয়গুলোও তাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ নানান খাতে বাড়তি টাকা চেয়ে মন্ত্রণালয়গুলো এরই মধ্যে তাদের চাহিদাপত্র দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এতসব বিষয় মাথায় রেখে যে বাজেটকাঠামোটি মোটাদাগে প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। বর্তমান সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের আকার ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা।
জানা যায়, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি করার কারণে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন শর্ত পালন করতে হবে। আর এসব শর্তের প্রতিফলন আসছে বাজেট থাকবে। যেমন–রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে হবে। এটা করতে হলে গণহারে যে করছাড় দেওয়া আছে, তা তুলে দিতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে দেওয়া কর অবকাশ তুলে দিতে কঠোর হতে হবে। এটা করা হলে দেশীয় শিল্পগুলো কমবেশি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। তা ছাড়া, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্য যখন নানান চাপের মধ্যে তখন বাড়তি করের বোঝা চাপবে তাদের ওপর। এর সঙ্গে সব স্তরের করের বোঝা বাড়বে। কারণ, আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে আসছে অর্থবছরে অন্তত ৬৫ হাজার কোটি টাকা বেশি আদায় করতে হবে। এটা করতে কমবেশি ব্যক্তিশ্রেণির কর যেমন বাড়বে, তেমনি সব স্তরেই করের চাপ পড়বে। এটা নির্বাচনের আগে অজনপ্রিয় হলেও শেষ পর্যন্ত এটা না করে পারবে না সরকার। এমনিতেই রাজস্ব আয়ে নাজুক অবস্থা চলছে। এ অর্থবছরের আট মাসেই ঘাটতি প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা।
একদিকে, ঠিকমতো রাজস্ব আয় হচ্ছে না, অন্যদিকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিতে হচ্ছে। জানা যায়, শুধু এনবিআরকেই আসছে অর্থবছরে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এটা কঠিন হলেও এ পথেই হাঁটছে সরকার। এটা ধরে নিয়েই নির্বাচন সামনে রেখে হাত খুলে খরচের পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজস্ব আয় ঠিকমতো না হলে, আর খরচ চালিয়ে যেতে হলে সরকারকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে বড় অঙ্কের ধার করতে হবে। বিদেশি উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছেও হাত পাততে হবে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বাজেট আলোচনায় বেশি খরচের আভাস দিয়েছেন। মানে আসছে বাজেটে সরকার খরচে কিছুটা উদারতা দেখাবে। আবার খরচ না করলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিও ধরে রাখা যাবে না। মানুষের কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্থ হবে। আসছে অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে অর্থমন্ত্রী বেশি খরচের পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, খরচের যে পরিকল্পনা, তাতে অর্থের প্রবাহ ঠিকমতো না পেলে, বেলা শেষে সরকারকে বিপুল অঙ্কের ধারের কারণে বড় অর্থায়ন ঘাটতিতে পড়তে হতে পারে। এমনিতে সরকার জিডিপির ৫ বা সাড়ে ৫ শতাংশ ধার করার পরিকল্পনা করে থাকে। সামনের অর্থবছরে এটা ৫ শতাংশে ধরে রাখা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন তারা।
নতুন বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সারেও ভর্তুকির চাপ থাকবে। যদিও আইএমএফের শর্তের কারণে ভর্তুকি থেকে সরে আসার কথা বলা হয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষির প্রসার আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চিন্তা করে সরকার শিগগিরই হয়তো ভর্তুকি তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলেই মনে করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে