ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র পরিচালক মমিনুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ভবনে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে চেয়ারম্যান করা হয়। 

সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকু রহমান। তিনি বলেন, ‘১০৭৬ তম পর্ষদ সভায় সদস্যগণ তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।’ 

জানতে চাইলে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা এ জি এম সাত্তিক আহমেদ শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।’ 

মমিনুল ইসলামের রয়েছে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কৌশলগত, প্রযুক্তিগত, পুঁজিবাজার ব্যবসা, পণ্য, প্রক্রিয়া এবং বিধি-বিধান সম্পর্কে পঁচিশ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা। এ ছাড়াও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতি কাঠামো এবং সহযোগিতার বিষয়ে তাঁর কাজ করার দক্ষতা রয়েছে। 

মমিনুল ইসলাম চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলিংক অ্যাডভাইজরির প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগত আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা, যা বিনিয়োগ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কৌশলগত রূপান্তরে কাজ করে। 

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও মমিনুল ইসলামের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। তিনি ২০২৩ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট-এশিয়া প্যাসিফিকের (এডিএফআইএপি) চেয়ারম্যান, ২০২০-২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিকাশের জন্য একটি দাতব্য সংস্থা অদম্য ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

শিক্ষা জীবনে অসামান্য কৃতিত্বের অধিকারী মমিনুল ইসলাম। তিনি ২০১৭ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকসহ এমএস সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে লেখাপড়া সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও ১৯৯৪ সালে যশোর বোর্ডের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২০তম হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং ১৯৯২ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে মাধ্যমিক (এসএসসি) সম্পন্ন করেন।