নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) প্রধান চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাংক খাতকে। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোতে ডিজিটাল লেনদেন হওয়াতে পাচারের সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয় তার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে সম্পন্ন হয়।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এভাবে অর্থ পাচার ঠেকাতে ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি), বিল পরিশোধ, পণ্যের মূল্য যাচাইয়ে বাড়তি নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। ফলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ কমে এসেছে।
মাসুদ বিশ্বাস জানান, বিএফআইইউ তার কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এ বছরের প্রতিবেদনে আগের বছরের মতো বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি হুন্ডি, অবৈধ গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিরোধে বিএফআইইউ কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে পৃথক অধ্যায় সংযোজন এবং বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিএফআইইউ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশের আর্থিক খাত থেকে ২০২২–২০২৩ অর্থবছর ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে ব্যাংকিং খাতেই ১২ হাজার ৮০৯ টি, যা মোট সন্দেহজনক লেনদেনের প্রায় ৯১ শতাংশ। আর ২০২১–২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৯৯৯ টি। পাশাপাশি ২০২২–২৩ অর্থবছরে নন–ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১২১ টি। ২০২১–২২ অর্থবছরে হয়েছে ১০৬ টি।
এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্সে ৯০০ ও অন্যান্য উৎসে ২৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তবে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৯৫ শতাংশ।
মাসুদ বিশ্বাস বলেন বলেন, ‘দেশ থেকে একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা খুব কঠিন। ফেরত আনতে অনেকগুলো পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া সব দেশের আইন–কানুন এক রকম না। তারপরেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে আরাফাত রহমান কোকোর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত আনা হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) জমা হয়েছে। এর আগে ২০২১–২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৮ হাজার ৫৭১ টি। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
মাসুদ বিশ্বাস প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো বিএফআইইউ বরাবর সর্বমোট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন/কার্যক্রম প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বিএফআইইউ–এর কঠোর অবস্থান ও অপরাধের ধরন পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩৩টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠায়। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউ ২০২২–২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ৭১টি তথ্য বিনিময় করেছে। যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। বিগত অর্থবছরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার ফলে বাংলাদেশ ৫টি দেশকে পেছনে ফেলে র্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের ৪১ নম্বর দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ–এর উপ–প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সরোয়ার হোসেন, বিএফআইইউয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) প্রধান চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাংক খাতকে। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোতে ডিজিটাল লেনদেন হওয়াতে পাচারের সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয় তার কমপক্ষে ৮০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে সম্পন্ন হয়।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এভাবে অর্থ পাচার ঠেকাতে ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি), বিল পরিশোধ, পণ্যের মূল্য যাচাইয়ে বাড়তি নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। ফলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ কমে এসেছে।
মাসুদ বিশ্বাস জানান, বিএফআইইউ তার কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এ বছরের প্রতিবেদনে আগের বছরের মতো বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি হুন্ডি, অবৈধ গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিরোধে বিএফআইইউ কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে পৃথক অধ্যায় সংযোজন এবং বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিএফআইইউ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশের আর্থিক খাত থেকে ২০২২–২০২৩ অর্থবছর ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে ব্যাংকিং খাতেই ১২ হাজার ৮০৯ টি, যা মোট সন্দেহজনক লেনদেনের প্রায় ৯১ শতাংশ। আর ২০২১–২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৯৯৯ টি। পাশাপাশি ২০২২–২৩ অর্থবছরে নন–ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১২১ টি। ২০২১–২২ অর্থবছরে হয়েছে ১০৬ টি।
এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্সে ৯০০ ও অন্যান্য উৎসে ২৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তবে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৯৫ শতাংশ।
মাসুদ বিশ্বাস বলেন বলেন, ‘দেশ থেকে একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা খুব কঠিন। ফেরত আনতে অনেকগুলো পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া সব দেশের আইন–কানুন এক রকম না। তারপরেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর থেকে আরাফাত রহমান কোকোর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার ফেরত আনা হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) জমা হয়েছে। এর আগে ২০২১–২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল ৮ হাজার ৫৭১ টি। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
মাসুদ বিশ্বাস প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো বিএফআইইউ বরাবর সর্বমোট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন/কার্যক্রম প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বিএফআইইউ–এর কঠোর অবস্থান ও অপরাধের ধরন পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩৩টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠায়। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউ ২০২২–২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ৭১টি তথ্য বিনিময় করেছে। যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। বিগত অর্থবছরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার ফলে বাংলাদেশ ৫টি দেশকে পেছনে ফেলে র্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের ৪১ নম্বর দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ–এর উপ–প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সরোয়ার হোসেন, বিএফআইইউয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৩ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে