ফারুক মেহেদী, ঢাকা
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের ছড়াছড়ি, শুল্ক-কর ছাড়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলে বিশেষ সুবিধা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্লট বরাদ্দসহ আরও অনেক সুবিধা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগকারীর দেখা মিলছে না। এই সুবিধা এশিয়ার অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। তারপরও বিনিয়োগকারীরা সাড়া দিচ্ছেন না।
এ জন্য অনেকে করোনার সংক্রমণ-জনিত পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন। তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করছে, সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। তবে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী খুঁজে বের করা, তাদের কাছে এসব প্যাকেজ নিয়ে যাওয়া, লাভজনক বিষয়গুলো বোঝানো, এগুলো ঠিকমতো করা হচ্ছে না। অর্থাৎ বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত আয়োজনের বিষয়টির যথাযথ বিপণন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এ সুযোগ নিতে হবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে হবে। বিভিন্ন নন-ট্যারিফ, অ্যান্টিডাম্পিং পলিসি নিয়ে শিল্পের সুরক্ষা দিতে হবে। আমাদের মিশন ও এর কর্মকর্তাদের কাজে লাগাতে প্রশাসনিক সংস্কার করতে হবে। নীতি করলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে একটা স্থবিরতা আছে। জরিপে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীরা করোনার সময়ে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না নতুন বিনিয়োগে যেতে। আর বিদেশি বিনিয়োগও আকৃষ্ট করতে পারিনি। আমরা জরিপে দেখেছি যে ব্যবসায় পরিবেশের অবনতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট অ্যান্ড অপরচুনিটিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে এশিয়ার উদীয়মান সাতটি শহরে বিনিয়োগে ইউটিলিটির খরচের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় ঢাকা সবচেয়ে লাভজনক। তারপরও এখানে বিনিয়োগ আসছে না। করাচি, দিল্লি, হ্যানয়, ম্যানিলা, কুয়ালালামপুর ও বেইজিং শহরে বিনিয়োগকারীরা যে খরচে পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন, তার চেয়ে অনেক কম খরচে তা পাবেন ঢাকায়। তুলনামূলক এই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার পরও এই বার্তা বিনিয়োগকারীদের কানে খুব একটা পৌঁছাচ্ছে না।
বিডার প্রতিবেদনে বেতন-ভাতার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেও ঢাকা এগিয়ে। বিডার ওই প্রতিবেদনে আকর্ষণীয় প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অবকাঠামো খাতে ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পাবেন। শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি-যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে পাবেন বিশেষ শুল্ক ছাড়। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির আওতায় পাবেন আয়কর ছাড়। আর্থিক দিক থেকে পাবেন নগদ সহায়তা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের সুবিধা, ইকুইটি এন্টারপ্রেনার্সশিপ তহবিলের সুবিধা এবং এক্সিলারেটেড ডেপ্রিসিয়েশন সুবিধা। আরও যেসব সুবিধার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিক অনুমোদন, নাগরিকত্ব, স্থায়ী বসবাসের সুবিধা দ্রুত অভিবাসন সুবিধা ইত্যাদি। দক্ষ কর্মীদের পারমিট, বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার পাশাপাশি এনআরবিদের বিনিয়োগেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।
বিডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার কথা। করোনার ধাক্কাসহ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ না আসায়, এটি পিছিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিতে সফল হওয়া, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ ১৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া এবং রপ্তানি আয় ৭০ বিলিয়ন থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যও রয়েছে সংস্থাটির।
এত বিশাল বিশাল লক্ষ্য বাস্তবায়নে দরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। এর জন্য দেশের ভেতরে আয়োজন চলছে জোরেশোরে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বেশ দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের বোঝানো, প্যাকেজগুলো তুলে ধরায় দুর্বলতা প্রকট। এখনো সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীর কাছে পৌঁছাতে না পারলে এই পরিকল্পনা ধাক্কা খাবে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের ছড়াছড়ি, শুল্ক-কর ছাড়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলে বিশেষ সুবিধা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্লট বরাদ্দসহ আরও অনেক সুবিধা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগকারীর দেখা মিলছে না। এই সুবিধা এশিয়ার অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। তারপরও বিনিয়োগকারীরা সাড়া দিচ্ছেন না।
এ জন্য অনেকে করোনার সংক্রমণ-জনিত পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন। তবে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এবং বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করছে, সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। তবে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী খুঁজে বের করা, তাদের কাছে এসব প্যাকেজ নিয়ে যাওয়া, লাভজনক বিষয়গুলো বোঝানো, এগুলো ঠিকমতো করা হচ্ছে না। অর্থাৎ বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এত আয়োজনের বিষয়টির যথাযথ বিপণন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এ সুযোগ নিতে হবে। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে হবে। বিভিন্ন নন-ট্যারিফ, অ্যান্টিডাম্পিং পলিসি নিয়ে শিল্পের সুরক্ষা দিতে হবে। আমাদের মিশন ও এর কর্মকর্তাদের কাজে লাগাতে প্রশাসনিক সংস্কার করতে হবে। নীতি করলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে একটা স্থবিরতা আছে। জরিপে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীরা করোনার সময়ে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না নতুন বিনিয়োগে যেতে। আর বিদেশি বিনিয়োগও আকৃষ্ট করতে পারিনি। আমরা জরিপে দেখেছি যে ব্যবসায় পরিবেশের অবনতি হয়েছে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট অ্যান্ড অপরচুনিটিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে এশিয়ার উদীয়মান সাতটি শহরে বিনিয়োগে ইউটিলিটির খরচের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় ঢাকা সবচেয়ে লাভজনক। তারপরও এখানে বিনিয়োগ আসছে না। করাচি, দিল্লি, হ্যানয়, ম্যানিলা, কুয়ালালামপুর ও বেইজিং শহরে বিনিয়োগকারীরা যে খরচে পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন, তার চেয়ে অনেক কম খরচে তা পাবেন ঢাকায়। তুলনামূলক এই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার পরও এই বার্তা বিনিয়োগকারীদের কানে খুব একটা পৌঁছাচ্ছে না।
বিডার প্রতিবেদনে বেতন-ভাতার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেও ঢাকা এগিয়ে। বিডার ওই প্রতিবেদনে আকর্ষণীয় প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অবকাঠামো খাতে ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পাবেন। শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি-যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে পাবেন বিশেষ শুল্ক ছাড়। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির আওতায় পাবেন আয়কর ছাড়। আর্থিক দিক থেকে পাবেন নগদ সহায়তা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের সুবিধা, ইকুইটি এন্টারপ্রেনার্সশিপ তহবিলের সুবিধা এবং এক্সিলারেটেড ডেপ্রিসিয়েশন সুবিধা। আরও যেসব সুবিধার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিক অনুমোদন, নাগরিকত্ব, স্থায়ী বসবাসের সুবিধা দ্রুত অভিবাসন সুবিধা ইত্যাদি। দক্ষ কর্মীদের পারমিট, বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার পাশাপাশি এনআরবিদের বিনিয়োগেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।
বিডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার কথা। করোনার ধাক্কাসহ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ না আসায়, এটি পিছিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজিতে সফল হওয়া, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়া, বিদেশি বিনিয়োগ ১৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেওয়া এবং রপ্তানি আয় ৭০ বিলিয়ন থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যও রয়েছে সংস্থাটির।
এত বিশাল বিশাল লক্ষ্য বাস্তবায়নে দরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। এর জন্য দেশের ভেতরে আয়োজন চলছে জোরেশোরে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বেশ দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের বোঝানো, প্যাকেজগুলো তুলে ধরায় দুর্বলতা প্রকট। এখনো সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীর কাছে পৌঁছাতে না পারলে এই পরিকল্পনা ধাক্কা খাবে।
ট্যালি এমএসএমই সম্মাননা পেয়েছেন ২৫ উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) ইকোসিস্টেমে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেদরপতনের কারণে দেশের পুঁজিবাজার আরও বেশি বিনিয়োগযোগ্য বা উপযোগী হয়েছে উঠেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এ কারণে বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিইরেশিও) কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
২৫ মিনিট আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
১৩ ঘণ্টা আগে