আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
গত এক দশকে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের সুদহারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল। তা বিবেচনা করলে ব্যাংকে রাখা টাকার আয় ঋণাত্মক হয়ে যায়। অর্থাৎ আমানতকারীদের অর্থ বাড়েনি, বরং কমেছে। বিপরীতে অর্থনৈতিক নানা অস্থিরতার মধ্যেও পুঁজিবাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে মুনাফা হয়েছে ২০ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করেও ব্যাংকের আমানতকারীদের চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভবান হয়েছেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টক ব্রোকার ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপর এ সমীক্ষা চালায় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ব্যাংকের গড় সুদের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে প্রকৃত সুদের হার দাঁড়ায় ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রেখে কিছু মুনাফা করেছেন ওই বছর। একইভাবে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও সুদের হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল, তবে তা ১ শতাংশের কম।
২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকে টাকা রেখে লোকসান গুনতে হয়েছে আমানতকারীদের। সে বছর মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ব্যাংক আমানতের গড় সুদের হার ছিল ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে ব্যাংকে টাকা রেখে আমানতকারীর লোকসান হয়েছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।
ব্যাংকে আমানতকারীদের লোকসানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত সদ্য বিদায়ী অর্থবছর পর্যন্ত। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আমানতের গড় সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকে রাখা টাকা কমে যাচ্ছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। যদিও পরবর্তী ৬ মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে শেয়ার বেচাকেনার আয় ও লভ্যাংশ পুনর্বিনিয়োগ করে যে রিটার্ন পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে পুঁজিবাজারের শীর্ষ ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি থেকে প্রতিবছর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন ২০ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ৮টি কোম্পানির মুনাফা ছিল ১০ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে। বাকি ৩টি কোম্পানির মুনাফা ১০ শতাংশের নিচে হলেও তা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে বেশি ছিল।
সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের চেয়ে পুঁজিবাজার থেকে বেশি মুনাফা অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, এর জন্য বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তির কোম্পানি বেছে নেওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তির কোম্পানির অভাব রয়েছে।
মৌলভিত্তির শীর্ষ ২০ কোম্পানির চিত্র
সমীক্ষার তথ্যমতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকে সর্বোচ্চ রিটার্ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটির ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন ও লভ্যাংশ পুনর্বিনিয়োগে বছরে গড় রিটার্ন ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) তৃতীয় সর্বোচ্চ রিটার্ন পজিশনে রয়েছে। কোম্পানির মোট রিটার্ন ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশের রিটার্ন ছিল ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
রেকিট বেনকিজার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, বার্জার পেইন্টস ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (বিএসআরএম) ২২ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বিনিয়োগকারীদের লাভ এবং লভ্যাংশের আয়সহ বছরে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
বাকিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিং, বেক্সিমকো লিমিটেড, মতিন স্পিনিং, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ইস্টার্ণ ব্যাংক ১০ থেকে ১৬ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। আর ব্যাংক এশিয়া, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের রিটার্ন ১০ শতাংশের নিচে ছিল।
গত এক দশকে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের সুদহারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল। তা বিবেচনা করলে ব্যাংকে রাখা টাকার আয় ঋণাত্মক হয়ে যায়। অর্থাৎ আমানতকারীদের অর্থ বাড়েনি, বরং কমেছে। বিপরীতে অর্থনৈতিক নানা অস্থিরতার মধ্যেও পুঁজিবাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে মুনাফা হয়েছে ২০ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করেও ব্যাংকের আমানতকারীদের চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভবান হয়েছেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টক ব্রোকার ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপর এ সমীক্ষা চালায় প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর ব্যাংকের গড় সুদের হার ছিল ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে প্রকৃত সুদের হার দাঁড়ায় ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রেখে কিছু মুনাফা করেছেন ওই বছর। একইভাবে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও সুদের হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল, তবে তা ১ শতাংশের কম।
২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকে টাকা রেখে লোকসান গুনতে হয়েছে আমানতকারীদের। সে বছর মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ব্যাংক আমানতের গড় সুদের হার ছিল ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে ব্যাংকে টাকা রেখে আমানতকারীর লোকসান হয়েছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।
ব্যাংকে আমানতকারীদের লোকসানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত সদ্য বিদায়ী অর্থবছর পর্যন্ত। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আমানতের গড় সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকে রাখা টাকা কমে যাচ্ছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। যদিও পরবর্তী ৬ মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে শেয়ার বেচাকেনার আয় ও লভ্যাংশ পুনর্বিনিয়োগ করে যে রিটার্ন পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে পুঁজিবাজারের শীর্ষ ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি থেকে প্রতিবছর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন ২০ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত। ৮টি কোম্পানির মুনাফা ছিল ১০ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে। বাকি ৩টি কোম্পানির মুনাফা ১০ শতাংশের নিচে হলেও তা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে বেশি ছিল।
সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের চেয়ে পুঁজিবাজার থেকে বেশি মুনাফা অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, এর জন্য বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তির কোম্পানি বেছে নেওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তির কোম্পানির অভাব রয়েছে।
মৌলভিত্তির শীর্ষ ২০ কোম্পানির চিত্র
সমীক্ষার তথ্যমতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তালিকাভুক্তির পর থেকে সর্বোচ্চ রিটার্ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটির ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইন ও লভ্যাংশ পুনর্বিনিয়োগে বছরে গড় রিটার্ন ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) তৃতীয় সর্বোচ্চ রিটার্ন পজিশনে রয়েছে। কোম্পানির মোট রিটার্ন ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশের রিটার্ন ছিল ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
রেকিট বেনকিজার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, বার্জার পেইন্টস ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (বিএসআরএম) ২২ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বিনিয়োগকারীদের লাভ এবং লভ্যাংশের আয়সহ বছরে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
বাকিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিং, বেক্সিমকো লিমিটেড, মতিন স্পিনিং, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ইস্টার্ণ ব্যাংক ১০ থেকে ১৬ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। আর ব্যাংক এশিয়া, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের রিটার্ন ১০ শতাংশের নিচে ছিল।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
৯ মিনিট আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
৩ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে