দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ার বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। গত এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রায় সব রকম চালে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা। এ নিয়ে আমন মৌসুম শেষ না হতেই তিন দফায় চালের দাম বাড়ল।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকেরা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে চালের দাম বাড়াতে হচ্ছে। মিল গেটে কেজিপ্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধির ওপরও নজরদারি করার দাবি জানিয়েছেন চালকল মালিকেরা।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, নানা অজুহাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছিল ৩ টাকা পর্যন্ত। মাত্র দুই মাস পর কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে আবারও সব ধরনের চাল কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চলতি আমন মৌসুম শেষে এ নিয়ে তিন দফায় কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়ল।
কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬২ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। কয়েক দিন আগেও ৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মোটা চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা।
কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর বাজারের কয়েকজন চাল বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। কদিন আগে কাজললতা চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি করেছেন, সেটি এখন ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। মোকাম থেকে বস্তা প্রতি বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ করে কেজি প্রতি চালের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে অক্টোবরের শেষ দিকে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এর এক মাস আগেও সব ধরনের চাল কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বাড়ে।
ভরা মৌসুমেও আলুসহ অন্যান্য শীতের সবজির দাম এখনো চড়া। অন্যান্য নিত্যপণ্যেও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে বারবার চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠছে।
চাল কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী ও মিলমালিকেরা বরাবরের মতো আবার সিন্ডিকেট করে চাল মজুত রেখে দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসন চাইলে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর এই প্রবণতা ঠেকিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসেম্বর থেকে ধানের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ধানের দাম প্রতি মণে ১৮০–২০০ টাকা বেড়েছে। মণ প্রতি মিনিকেট যে ধান আগে কিনেছিলেন ১ হাজার ৪২০ টাকা মণ, সেই ধান এখন কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়। সরকার যখন আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছিল, তখন নতুন ধান ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ কেনা হয়। সেই ধান এখন ১ হাজার ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে চার প্রকার ধান উঠেছে। মোটা হাইব্রিড, স্বর্ণা, ধানি গোল্ড ও বিনা–৭। নভেম্বরের শেষের দিকে এই ধান উঠলেও ডিসেম্বরে এসে দাম বেড়ে গেছে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ধানের দামের বৃদ্ধির কারণে মোকাম থেকেই চালের দাম কেজিতে দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। ধানের বাজার যে মণপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বাড়ল সেদিকেও সরকারকে নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফা করে কেউ দাম বাড়াচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কুষ্টিয়া পৌর মার্কেটের তদারকিতে থাকা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘সকালেও আমাদের একটি টিম বাজার ঘুরে দেখেছে। দাম বেড়েছে। আমরা মিলগুলোর ধান ক্রয় ও মাড়াইয়ের খচরের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের তুলনা করে দেখছি। কেউ অতিরিক্ত মুনাফা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ার বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। গত এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রায় সব রকম চালে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ টাকা। এ নিয়ে আমন মৌসুম শেষ না হতেই তিন দফায় চালের দাম বাড়ল।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকেরা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে ধানের দাম। সে কারণে চালের দাম বাড়াতে হচ্ছে। মিল গেটে কেজিপ্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধির ওপরও নজরদারি করার দাবি জানিয়েছেন চালকল মালিকেরা।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, নানা অজুহাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছিল ৩ টাকা পর্যন্ত। মাত্র দুই মাস পর কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে আবারও সব ধরনের চাল কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চলতি আমন মৌসুম শেষে এ নিয়ে তিন দফায় কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়ল।
কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬২ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়। কয়েক দিন আগেও ৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মোটা চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা।
কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর বাজারের কয়েকজন চাল বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। কদিন আগে কাজললতা চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি করেছেন, সেটি এখন ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। মোকাম থেকে বস্তা প্রতি বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ করে কেজি প্রতি চালের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে অক্টোবরের শেষ দিকে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এর এক মাস আগেও সব ধরনের চাল কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বাড়ে।
ভরা মৌসুমেও আলুসহ অন্যান্য শীতের সবজির দাম এখনো চড়া। অন্যান্য নিত্যপণ্যেও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে বারবার চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠছে।
চাল কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী ও মিলমালিকেরা বরাবরের মতো আবার সিন্ডিকেট করে চাল মজুত রেখে দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসন চাইলে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর এই প্রবণতা ঠেকিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসেম্বর থেকে ধানের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ধানের দাম প্রতি মণে ১৮০–২০০ টাকা বেড়েছে। মণ প্রতি মিনিকেট যে ধান আগে কিনেছিলেন ১ হাজার ৪২০ টাকা মণ, সেই ধান এখন কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৬৮০ টাকায়। সরকার যখন আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছিল, তখন নতুন ধান ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ কেনা হয়। সেই ধান এখন ১ হাজার ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে চার প্রকার ধান উঠেছে। মোটা হাইব্রিড, স্বর্ণা, ধানি গোল্ড ও বিনা–৭। নভেম্বরের শেষের দিকে এই ধান উঠলেও ডিসেম্বরে এসে দাম বেড়ে গেছে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ধানের দামের বৃদ্ধির কারণে মোকাম থেকেই চালের দাম কেজিতে দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। ধানের বাজার যে মণপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বাড়ল সেদিকেও সরকারকে নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা বলছেন, অতিরিক্ত মুনাফা করে কেউ দাম বাড়াচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কুষ্টিয়া পৌর মার্কেটের তদারকিতে থাকা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘সকালেও আমাদের একটি টিম বাজার ঘুরে দেখেছে। দাম বেড়েছে। আমরা মিলগুলোর ধান ক্রয় ও মাড়াইয়ের খচরের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের তুলনা করে দেখছি। কেউ অতিরিক্ত মুনাফা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
১ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৭ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে