নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডলার-সংকটের মাঝেই সুখবর বয়ে আনল প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। নতুন বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি অব্যাহত থাকলে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অবশেষে সেই ধারণাই সত্যি হলো। জানুয়ারি মাসের পুরো সময়ে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা)। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনার উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়তি প্রণোদনা প্রবাসীদের আরও উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে সর্বশেষ ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল রেমিট্যান্স। মাঝে ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রম করলেও ২ বিলিয়ন ডলার আর আসেনি। তবে চলতি বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার ধারা ভালো ছিল। ধারণা করা হয়েছিল মাসটিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে। এখন নিরাপদ ও বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। আগামী দিনে আরও রেমিট্যান্স আসবে বৈধ পথে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। দিনে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটির টাকার বেশি করে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চসংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এযাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়নের ঘরে
এদিকে, দেশের চলমান ডলার-সংকটে নানা উদ্যোগের পরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অগ্রগতি মিলছে না। উল্টো কমেছে রিজার্ভের পরিমাণ। এবার রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের শুরুতেই দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার। গত বুধবার গ্রস রিজার্ভ নেমে ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ থেকে কমেছে ১৯১ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী (বিপিএম-৬ ম্যাথড) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
ডলার-সংকটের মাঝেই সুখবর বয়ে আনল প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। নতুন বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি অব্যাহত থাকলে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অবশেষে সেই ধারণাই সত্যি হলো। জানুয়ারি মাসের পুরো সময়ে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২০১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা)। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনার উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়তি প্রণোদনা প্রবাসীদের আরও উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালের জুন মাসে সর্বশেষ ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল রেমিট্যান্স। মাঝে ছয় মাসের বেশি সময় অতিক্রম করলেও ২ বিলিয়ন ডলার আর আসেনি। তবে চলতি বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার ধারা ভালো ছিল। ধারণা করা হয়েছিল মাসটিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে। এখন নিরাপদ ও বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। আগামী দিনে আরও রেমিট্যান্স আসবে বৈধ পথে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। দিনে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটির টাকার বেশি করে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (বিকেবি) মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চসংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এযাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়নের ঘরে
এদিকে, দেশের চলমান ডলার-সংকটে নানা উদ্যোগের পরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অগ্রগতি মিলছে না। উল্টো কমেছে রিজার্ভের পরিমাণ। এবার রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের শুরুতেই দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার। গত বুধবার গ্রস রিজার্ভ নেমে ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ থেকে কমেছে ১৯১ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী (বিপিএম-৬ ম্যাথড) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে গ্রস রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে