আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ১০৬ কোটি টাকার মতো, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা কম। এ ছাড়া আগের অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে, আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৭ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। ওই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে ৫ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের দুই মাসে সরকারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। ওই সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শিল্পকারখানায় হামলার কারণে রাজস্ব আদায়ে ভাটা পড়ে।
রাজস্ব আদায় কম হলেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এটাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না। তাঁদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির অনেক পরিসংখ্যানই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করত। সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে রাজস্ব আদায় কিছুটা কম হলেও এখন প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘এনবিআর নিজেই ঘোষণা দেয় যে, এত টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, সরকারের খাতায় এই টাকা যায়নি। সুতরাং, রাজস্বের তথ্য বাড়িয়ে বলা হয়, সেটা বোঝা যায়। এনবিআরের তথ্য গ্রহণ না করে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার রাজস্ব আদায়ের যে তথ্য দিচ্ছে, সেটাই গ্রহণ করতে হবে।’ কম রাজস্ব আয়ের কারণ হিসেবে আবদুল মজিদ বলেন, ‘অর্থবছরের শুরুর সময় রাজস্ব আদায় কম থাকে। এটা একটা কারণ। দ্বিতীয়ত, অর্থবছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে আন্দোলনও শুরু হয়। যে দুই মাসের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়টা খুবই ডিস্টার্বড গেছে। সে জন্য রাজস্ব আয় তুলনামূলক কম হওয়াটা স্বাভাবিক। বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই। এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণত স্বচ্ছতা বেশি থাকে। সুতরাং আশা করা যায়, রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হবে।’
তবে রাজস্ব বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিগত অর্থবছরের ন্যায় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার অবস্থা দেখছি না। আগামীর কথা চিন্তা করে কর ফাঁকি রোধে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।’
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা, মূসক ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ও শুল্ক রয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। কম আদায় হয়েছে ২ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকার শুল্ক আদায় হয়েছিল। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শুল্কে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূসক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ২৮ কোটি টাকা। কম আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূসক আদায় হয়েছিল ১৮ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মূসকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৪১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয়করে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। কারণ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকার আয়কর আদায় হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ১০৬ কোটি টাকার মতো, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা কম। এ ছাড়া আগের অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে, আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৭ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। ওই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে ৫ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের দুই মাসে সরকারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। ওই সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শিল্পকারখানায় হামলার কারণে রাজস্ব আদায়ে ভাটা পড়ে।
রাজস্ব আদায় কম হলেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এটাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না। তাঁদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনীতির অনেক পরিসংখ্যানই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করত। সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে রাজস্ব আদায় কিছুটা কম হলেও এখন প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘এনবিআর নিজেই ঘোষণা দেয় যে, এত টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, সরকারের খাতায় এই টাকা যায়নি। সুতরাং, রাজস্বের তথ্য বাড়িয়ে বলা হয়, সেটা বোঝা যায়। এনবিআরের তথ্য গ্রহণ না করে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার রাজস্ব আদায়ের যে তথ্য দিচ্ছে, সেটাই গ্রহণ করতে হবে।’ কম রাজস্ব আয়ের কারণ হিসেবে আবদুল মজিদ বলেন, ‘অর্থবছরের শুরুর সময় রাজস্ব আদায় কম থাকে। এটা একটা কারণ। দ্বিতীয়ত, অর্থবছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে আন্দোলনও শুরু হয়। যে দুই মাসের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়টা খুবই ডিস্টার্বড গেছে। সে জন্য রাজস্ব আয় তুলনামূলক কম হওয়াটা স্বাভাবিক। বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই। এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণত স্বচ্ছতা বেশি থাকে। সুতরাং আশা করা যায়, রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হবে।’
তবে রাজস্ব বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিগত অর্থবছরের ন্যায় চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার অবস্থা দেখছি না। আগামীর কথা চিন্তা করে কর ফাঁকি রোধে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।’
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা, মূসক ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ও শুল্ক রয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১৪ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। কম আদায় হয়েছে ২ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকার শুল্ক আদায় হয়েছিল। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শুল্কে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূসক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ২৮ কোটি টাকা। কম আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মূসক আদায় হয়েছিল ১৮ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মূসকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৭ হাজার ৪১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আয়করে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। কারণ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকার আয়কর আদায় হয়েছিল।
দক্ষিণের বিভাগীয় শহর খুলনায় উদ্বোধন হয়েছে ওয়ালটন কম্পিউটারের নতুন শোরুম ও এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। নগরীর প্রাণকেন্দ্র খান-এ-সবুর রোডে অবস্থিত কম্পিউটার পণ্যের মার্কেট জলিল টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সব ধরনের কম্পিউ
১৩ মিনিট আগেশীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে পেরোল চুক্তি সই করেছে জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এ চুক্তি করে প্রাইম ব্যাংক।
১৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১২ ঘণ্টা আগে