আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তায় ২০১৩ সালে গঠিত তহবিলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে। নিয়ম অনুযায়ী এরপর তহবিলের ঋণ সহায়তা কার্যক্রম সরকারের গুটিয়ে নেওয়ার কথা। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থে সময় ফুরানোর প্রায় আড়াই বছর আগেই গঠিত তহবিলের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি এবং এর ঋণের ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তি পরিশোধের সময় ৩ মাসের পরিবর্তে ১ বছর করার প্রস্তাব তুলেছে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জোট বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএমবিএ বলছে, ঋণ পরিশোধে সময় না বাড়ালে টাকা জোগাড়ের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিতে হবে। অর্থাৎ, শেয়ার বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে পুঁজিবাজার আবার নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঋণের শর্তই হচ্ছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। এ ধরনের বিনিয়োগ করতে হয় দীর্ঘ মেয়াদে। যার থেকে মুনাফা হলে কেউ কেউ ঋণ শোধ করবে। তবে বিগত সময়ে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসসহ বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে অনেকের মুনাফা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এ জন্য সময় দেওয়া উচিত।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করতে ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’। এটি পরিচালনার জন্য একই বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি নীতিমালা করে দেয়। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেয় সরকারি সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
তবে এই তহবিল থেকে এখন মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ঋণ দেওয়া হয়। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেওয়া হয় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাঝে। এই তহবিলকে স্থায়ী করার আবেদন জানিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া বিএমবিএর চিঠিতে বলা হয়, ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা পূরণের এই বিনিয়োগকৃত তহবিল নগদীকরণ করা হলে তা বাজারে উল্লেখযোগ্য শেয়ারের বিক্রির চাপ তৈরি করবে, যা বাজার পতনের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগ ধরে রাখতে পারলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি সম্ভাবনাও সৃষ্টি করবে।
বিএমবিএর সভাপতি জানান, সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র বিবেচনায় এই তহবিলের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং গ্রেস পিরিয়ড ১ বছর করার অনুরোধ করছি।
এদিকে এই তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ২০ থেকে ২৫ মাস বন্ধের মতোই ছিল। তাই এ ফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মেয়াদ বাড়ানো জরুরি। তবে এই ধরনের ফান্ড গড়ে তোলার চেয়ে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারের তালিকাভুক্তি এবং বিনিয়োগকারী নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ আরও বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, এই ধরনের যত তহবিল হয়েছে, সব ফান্ডের উপকারভোগী বড় বিনিয়োগকারীরাই। অনেক প্রতিষ্ঠান এর থেকে ঋণ নিয়ে নামে-বেনামে শেয়ার কিনেছে। তারাই ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে ওই সুযোগ নেয়। যার প্রকৃত সুযোগ ক্ষুদ্র বা ক্ষতিগ্রস্তরা কমই পেয়েছে। তহবিলের ঋণ দেওয়ার জায়গায়ও একটা সংস্কার দরকার।
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তায় ২০১৩ সালে গঠিত তহবিলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে। নিয়ম অনুযায়ী এরপর তহবিলের ঋণ সহায়তা কার্যক্রম সরকারের গুটিয়ে নেওয়ার কথা। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থে সময় ফুরানোর প্রায় আড়াই বছর আগেই গঠিত তহবিলের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি এবং এর ঋণের ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তি পরিশোধের সময় ৩ মাসের পরিবর্তে ১ বছর করার প্রস্তাব তুলেছে দেশের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জোট বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদনও পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএমবিএ বলছে, ঋণ পরিশোধে সময় না বাড়ালে টাকা জোগাড়ের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিতে হবে। অর্থাৎ, শেয়ার বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে পুঁজিবাজার আবার নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমবিএর সভাপতি মাজেদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঋণের শর্তই হচ্ছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। এ ধরনের বিনিয়োগ করতে হয় দীর্ঘ মেয়াদে। যার থেকে মুনাফা হলে কেউ কেউ ঋণ শোধ করবে। তবে বিগত সময়ে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসসহ বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে অনেকের মুনাফা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এ জন্য সময় দেওয়া উচিত।
পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করতে ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’। এটি পরিচালনার জন্য একই বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি নীতিমালা করে দেয়। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেয় সরকারি সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
তবে এই তহবিল থেকে এখন মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ঋণ দেওয়া হয়। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেওয়া হয় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাঝে। এই তহবিলকে স্থায়ী করার আবেদন জানিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া বিএমবিএর চিঠিতে বলা হয়, ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা পূরণের এই বিনিয়োগকৃত তহবিল নগদীকরণ করা হলে তা বাজারে উল্লেখযোগ্য শেয়ারের বিক্রির চাপ তৈরি করবে, যা বাজার পতনের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগ ধরে রাখতে পারলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি সম্ভাবনাও সৃষ্টি করবে।
বিএমবিএর সভাপতি জানান, সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র বিবেচনায় এই তহবিলের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং গ্রেস পিরিয়ড ১ বছর করার অনুরোধ করছি।
এদিকে এই তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ২০ থেকে ২৫ মাস বন্ধের মতোই ছিল। তাই এ ফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মেয়াদ বাড়ানো জরুরি। তবে এই ধরনের ফান্ড গড়ে তোলার চেয়ে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারের তালিকাভুক্তি এবং বিনিয়োগকারী নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ আরও বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, এই ধরনের যত তহবিল হয়েছে, সব ফান্ডের উপকারভোগী বড় বিনিয়োগকারীরাই। অনেক প্রতিষ্ঠান এর থেকে ঋণ নিয়ে নামে-বেনামে শেয়ার কিনেছে। তারাই ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে ওই সুযোগ নেয়। যার প্রকৃত সুযোগ ক্ষুদ্র বা ক্ষতিগ্রস্তরা কমই পেয়েছে। তহবিলের ঋণ দেওয়ার জায়গায়ও একটা সংস্কার দরকার।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উ
৪০ মিনিট আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে