নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বাজারে আবারও অস্থির হয়ে উঠছে ভোজ্যতেলের বাজার। গত ২-৩ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২৭৫-৫০০ টাকা। শুল্ক কমানোয় ভারত সরকার বিপুল পরিমাণ মজুত করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে। যার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, ৩-৪ দিন আগে তাদের বাজারে প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) পামতেলের দাম ছিল ৩ হাজার ৮০০ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। অর্থাৎ মণপ্রতি ৫০০ টাকা বেড়েছে। আর প্রতি মণ খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪ হাজার ৪০০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৫ টাকায়। অর্থাৎ মণপ্রতি দাম বেড়েছে ২৭৫ টাকা।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী ভুট্টো জানান, ভারত সরকার আমদানি শুল্ক অনেকটা কমিয়েছে। আর এ কারণে তারা বিশ্ববাজার থেকে বিপুল পরিমাণ তেল এনে মজুত করেছে। যার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পামতেলের দাম ছিল ৯৫০ ডলার। যা বর্তমানে ১ হাজার ১২০ থেকে ১ হাজার ১৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। আর সয়াবিন তেলের টন ছিল ১ হাজার ১০০ ডলার। যা বর্তমানে ১ হাজার ৩২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা ভোজ্যতেল বিক্রেতারা জানান, কয়েক দিন আগেও তারা প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন ১২৭-১২৮ টাকায়। যা গতকাল মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩১ টাকায়। আর পামতেল বিক্রি হয়েছিল ১১১-১১২ টাকা। যা গতকাল ১১৫-১১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবমতে, গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১১৮-১২২ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১৫-১২০ টাকা। পামতেলের দাম ছিল ১০০-১০৮ টাকা। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১০৫-১০৮ টাকা এবং সুপার পাম বিক্রি হয় ১১২-১১৪ টাকা। যা আগে ছিল ১১০-১১৪ টাকা।
আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ১০১ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ১১২ ডলার, মার্চে ১ হাজার ২৮৪ ডলার, এপ্রিলে ১ হাজার ৪০০ ডলার, মে মাসে ১ হাজার ৫৫৪ ডলার এবং জুনে তা কমে বিক্রি হয় ১ হাজার ৪২০ ডলার।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে দামও বেড়েছে। আর ভারতও বিপুল পরিমাণ মজুত করায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে থাকেন। ভারতে তেল কেনায় দেশের বাজারে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কারসাজি থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার সংগঠন বাজারে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম কিছুটা কমেও আসে। কিন্তু ঈদ চলে যাওয়ার পর আবার বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।
দেশের বাজারে আবারও অস্থির হয়ে উঠছে ভোজ্যতেলের বাজার। গত ২-৩ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২৭৫-৫০০ টাকা। শুল্ক কমানোয় ভারত সরকার বিপুল পরিমাণ মজুত করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে। যার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, ৩-৪ দিন আগে তাদের বাজারে প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) পামতেলের দাম ছিল ৩ হাজার ৮০০ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। অর্থাৎ মণপ্রতি ৫০০ টাকা বেড়েছে। আর প্রতি মণ খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪ হাজার ৪০০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৫ টাকায়। অর্থাৎ মণপ্রতি দাম বেড়েছে ২৭৫ টাকা।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী ভুট্টো জানান, ভারত সরকার আমদানি শুল্ক অনেকটা কমিয়েছে। আর এ কারণে তারা বিশ্ববাজার থেকে বিপুল পরিমাণ তেল এনে মজুত করেছে। যার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পামতেলের দাম ছিল ৯৫০ ডলার। যা বর্তমানে ১ হাজার ১২০ থেকে ১ হাজার ১৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। আর সয়াবিন তেলের টন ছিল ১ হাজার ১০০ ডলার। যা বর্তমানে ১ হাজার ৩২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা ভোজ্যতেল বিক্রেতারা জানান, কয়েক দিন আগেও তারা প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন ১২৭-১২৮ টাকায়। যা গতকাল মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩১ টাকায়। আর পামতেল বিক্রি হয়েছিল ১১১-১১২ টাকা। যা গতকাল ১১৫-১১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবমতে, গতকাল খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১১৮-১২২ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১৫-১২০ টাকা। পামতেলের দাম ছিল ১০০-১০৮ টাকা। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১০৫-১০৮ টাকা এবং সুপার পাম বিক্রি হয় ১১২-১১৪ টাকা। যা আগে ছিল ১১০-১১৪ টাকা।
আন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ১০১ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ১১২ ডলার, মার্চে ১ হাজার ২৮৪ ডলার, এপ্রিলে ১ হাজার ৪০০ ডলার, মে মাসে ১ হাজার ৫৫৪ ডলার এবং জুনে তা কমে বিক্রি হয় ১ হাজার ৪২০ ডলার।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফা হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে দামও বেড়েছে। আর ভারতও বিপুল পরিমাণ মজুত করায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে থাকেন। ভারতে তেল কেনায় দেশের বাজারে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কারসাজি থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার সংগঠন বাজারে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম কিছুটা কমেও আসে। কিন্তু ঈদ চলে যাওয়ার পর আবার বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৮ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১৪ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১৫ ঘণ্টা আগে