নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এখনো অনেক স্থানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকিতেও বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ সংকট রয়েছে। এ সংকট কেটে যেতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়। আর নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল আজ রোববার ১৮০-১৮২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা দুই দিন আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। অথচ নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৮০ টাকা। তবে পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় বাজারে তা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান গতকাল শনিবার ফ্রেশ ব্যান্ডের সয়াবিন তেল এক লিটার সয়াবিন ২০০ টাকায় কেনেন। অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, বোতলের গায়ে ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও দোকানি ২০০ টাকার কমে বিক্রি করবে না। বাধ্য হয়ে ২০০ টাকাতেই কেনেন।
এ দিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাহমুদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, বাজারে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারের মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, এই বাজারে কোনো দোকানেই তেল নেই। দু-একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেও কবে নাগাদ তেল সরবরাহ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তাঁরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিউমার্কেটের মুদি দোকানি সারোয়ার আলম জানান, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তেল সরবরাহ পাওয়া যায়নি।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছে, তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঈদের পর। বোতলজাত তেল প্যাকিং করতে বেশি সংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকেরা বাড়ি চলে গেছেন। ছুটি কাটিয়ে শ্রমিকেরা কেবল কর্মস্থলে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। সব মিলে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন লাগবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের (বিএওএল) অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা দিদার মো. দবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত শনিবার কারখানা খোলা হয়েছে। আজ থেকে প্যাকেজিং কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে শ্রমিকেরা আসতে শুরু করেছে। দুই-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮২ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭-১৭০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫-১৭০ টাকায়। এক লিটার তেল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৯৮০-৯৮৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেন, দুদিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে খোলা ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এটি হতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ মজুত থাকত। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাজার ওঠানামা করত। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পর পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখন বাজারে দাম কম-বেশি হওয়া মূলত মিলারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’
এখনো অনেক স্থানেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকিতেও বিষয়টি ওঠে এসেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ সংকট রয়েছে। এ সংকট কেটে যেতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়। আর নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল আজ রোববার ১৮০-১৮২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা দুই দিন আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। অথচ নির্ধারিত দাম হচ্ছে ১৮০ টাকা। তবে পাম তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় বাজারে তা নির্ধারিত দামের চেয়ে কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার দোহারের কার্তিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান গতকাল শনিবার ফ্রেশ ব্যান্ডের সয়াবিন তেল এক লিটার সয়াবিন ২০০ টাকায় কেনেন। অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা ১৬০ টাকা। তিনি বলেন, বোতলের গায়ে ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও দোকানি ২০০ টাকার কমে বিক্রি করবে না। বাধ্য হয়ে ২০০ টাকাতেই কেনেন।
এ দিকে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের সংকট কাটতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। পাইকারি এবং কিছু খুচরা বিক্রেতার কাছে তেল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ রোববার পর্যন্ত সবার কাছে তেল সরবরাহ হয়নি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাহমুদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদুর রহমান বলেন, বাজারে সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্ডার নেওয়া শুরু করেছেন। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজারের মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, এই বাজারে কোনো দোকানেই তেল নেই। দু-একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেও কবে নাগাদ তেল সরবরাহ দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তাঁরা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, নিউমার্কেট, আজিমপুর, লালবাগ, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নিউমার্কেটের মুদি দোকানি সারোয়ার আলম জানান, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তেল সরবরাহ পাওয়া যায়নি।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছে, তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঈদের পর। বোতলজাত তেল প্যাকিং করতে বেশি সংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন হয়। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকেরা বাড়ি চলে গেছেন। ছুটি কাটিয়ে শ্রমিকেরা কেবল কর্মস্থলে আসতে শুরু করেছেন। প্রতিটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজিংয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। সব মিলে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও তিন-চার দিন লাগবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের (বিএওএল) অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা দিদার মো. দবিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত শনিবার কারখানা খোলা হয়েছে। আজ থেকে প্যাকেজিং কাজ শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে শ্রমিকেরা আসতে শুরু করেছে। দুই-চার দিনের মধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮২ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৪-১৮৬ টাকা। প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭-১৭০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫-১৭০ টাকায়। এক লিটার তেল বিক্রি হয়েছে ১৯৮-২১০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৯৮০-৯৮৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৭৬০ টাকা।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেন, দুদিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে খোলা ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এটি হতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে ভোজ্যতেলের বড় একটি অংশ মজুত থাকত। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাজার ওঠানামা করত। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালানোর পর পুরো সরবরাহ ব্যবস্থা মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখন বাজারে দাম কম-বেশি হওয়া মূলত মিলারদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৩০ মিনিট আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
২ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৮ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৯ ঘণ্টা আগে