আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলো ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি নগদ লভ্যাংশ দেবে। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ সভায় লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে অনুমোদন শেষে তা বিতরণ করা হবে।
দীর্ঘ খরা কাটিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে লেনদেন বাড়ছে পুঁজিবাজারে। এমন সময়ে ব্যাংকগুলোর এই নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করবে এবং পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ টানতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (ডিবিএ) রিচার্ড ডি রোজারিও আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা অবশ্যই ভালো খবর। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো বরাবরই ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তারপরও বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ার কেনেন না। কারণ, তাঁরা ক্যাপিটাল গেইন করতে চান। তবে ব্যাংকগুলো এবারও ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, এটা বাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক।
ব্যাংকগুলোর এমন নগদ লভ্যাংশের সুফল পেতে হলে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়ানো, উৎসে কাটা কর চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে বলে মনে করেন রিচার্ড রোজারিও।
সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে প্রাইম ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ১৯৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দেবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা দেবে ব্যাংক এশিয়া। ইসলামী ব্যাংক দেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬১ কোটি টাকা।
এরপরেই এক্সিম ব্যাংক ১৪৪ কোটি ৭৬ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৪৩ কোটি ৪২ লাখ, ইস্টার্ণ ব্যাংক ১৩৪ কোটি ১৪ লাখ, যমুনা ব্যাংক ১৩১ কোটি ১১ লাখ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১২৯ কোটি ৬৭ লাখ, পূবালী ব্যাংক ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ১২৭ কোটি ৭৯ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ১২১ কোটি ৭৬ লাখ, সিটি ব্যাংক ১২০ কোটি ৬ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংক ১১২ কোটি ২৪ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ, উত্তরা ব্যাংক ৯০ কোটি ১২ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংক ৭৭ কোটি ৮৪ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংক ৭৪ কোটি ১৯ লাখ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ৭০ কোটি ৩০ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংক ৫৯ কোটি ৪৭ লাখ, ঢাকা ব্যাংক ৫৬ কোটি ৯৮ লাখ, এনসিসি ব্যাংক ৫২ কোটি ৮৮ লাখ, ইউনিয়ন ব্যাংক ৫১ কোটি ৮১ লাখ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৫১ কোটি ৭১ লাখ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৪৭ কোটি ২ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংক ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৩১ কোটি ৯৮ লাখ, সাউথ বাংলা ব্যাংক ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে।
এদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও এবি ব্যাংক শুধু বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। নগদের চেয়ে বোনাস বেশি হলে তার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ফলে এই ৪ ব্যাংককে ২৬ কোটি ১২ লাখ টাকা অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হবে।
অন্যদিকে লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর মুনাফা সত্ত্বেও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি রূপালী ব্যাংক। পুঁজিবাজারের নিয়মানুসারে লভ্যাংশের অন্তত ৩০ শতাংশ বিতরণ করতে হয়। ফলে ব্যাংকটিকে জরিমানা হিসেবে জমা রাখা অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলো ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি নগদ লভ্যাংশ দেবে। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ সভায় লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে অনুমোদন শেষে তা বিতরণ করা হবে।
দীর্ঘ খরা কাটিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে লেনদেন বাড়ছে পুঁজিবাজারে। এমন সময়ে ব্যাংকগুলোর এই নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করবে এবং পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগ টানতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (ডিবিএ) রিচার্ড ডি রোজারিও আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা অবশ্যই ভালো খবর। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো বরাবরই ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তারপরও বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ার কেনেন না। কারণ, তাঁরা ক্যাপিটাল গেইন করতে চান। তবে ব্যাংকগুলো এবারও ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, এটা বাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক।
ব্যাংকগুলোর এমন নগদ লভ্যাংশের সুফল পেতে হলে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়ানো, উৎসে কাটা কর চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে বলে মনে করেন রিচার্ড রোজারিও।
সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে প্রাইম ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ১৯৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দেবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা দেবে ব্যাংক এশিয়া। ইসলামী ব্যাংক দেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬১ কোটি টাকা।
এরপরেই এক্সিম ব্যাংক ১৪৪ কোটি ৭৬ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৪৩ কোটি ৪২ লাখ, ইস্টার্ণ ব্যাংক ১৩৪ কোটি ১৪ লাখ, যমুনা ব্যাংক ১৩১ কোটি ১১ লাখ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১২৯ কোটি ৬৭ লাখ, পূবালী ব্যাংক ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ১২৭ কোটি ৭৯ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ১২১ কোটি ৭৬ লাখ, সিটি ব্যাংক ১২০ কোটি ৬ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংক ১১২ কোটি ২৪ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১০৮ কোটি ৪৯ লাখ, উত্তরা ব্যাংক ৯০ কোটি ১২ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংক ৭৭ কোটি ৮৪ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংক ৭৪ কোটি ১৯ লাখ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ৭০ কোটি ৩০ লাখ, এনআরবিসি ব্যাংক ৫৯ কোটি ৪৭ লাখ, ঢাকা ব্যাংক ৫৬ কোটি ৯৮ লাখ, এনসিসি ব্যাংক ৫২ কোটি ৮৮ লাখ, ইউনিয়ন ব্যাংক ৫১ কোটি ৮১ লাখ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৫১ কোটি ৭১ লাখ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৪৭ কোটি ২ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংক ৪৪ কোটি ৬৫ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৩১ কোটি ৯৮ লাখ, সাউথ বাংলা ব্যাংক ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে।
এদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও এবি ব্যাংক শুধু বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। নগদের চেয়ে বোনাস বেশি হলে তার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ফলে এই ৪ ব্যাংককে ২৬ কোটি ১২ লাখ টাকা অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হবে।
অন্যদিকে লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর মুনাফা সত্ত্বেও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি রূপালী ব্যাংক। পুঁজিবাজারের নিয়মানুসারে লভ্যাংশের অন্তত ৩০ শতাংশ বিতরণ করতে হয়। ফলে ব্যাংকটিকে জরিমানা হিসেবে জমা রাখা অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
২৩ মিনিট আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
৩৪ মিনিট আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
৪ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে