নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মূল্য বৈষম্যের শিকার দেশের ইন্টারনেটের বাজার। যার কারণে ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে। দেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো প্রয়োজন। কর কমালেই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে দেশীয় ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত থাকায় প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বাজার হারাচ্ছে দেশ। মূল্যের কারণেও ক্ষতি হচ্ছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। তাই ইন্টারনেট আরও সুলভ করতে এসব বৈষম্য নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। মূল্যের নামে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যান্ডউইথের ক্রয়-বিক্রয় ও রাজস্ব শেয়ারের বৈষম্য বাতিল করে গ্রাহক পর্যায়ে সুলভে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবার পরিবেশ সৃষ্টিতে নীতিমালা সংশোধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটের বৈষম্যমূলক বাজার ব্যবস্থাপনা নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারনেট সেবাদানকারী আইআইজি মূল্য কার্যকর করে বিটিআরসি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মোবাইল অপারেটরদের কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রিতে নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বলে কিছু নেই। ফলশ্রুতিতে অধিক হারে মুনাফা শেয়ার করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
রাজস্ব ভাগাভাগিতে বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রবন্ধে বলা হয়, ১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার করে আইটিসি, আছে কর অবকাশও। ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার করে বিএসসিপিএলসি, তবে এখনো রাজস্ব শেয়ার করেনি বিটিসিএল। বেসরকারি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে রাজস্ব শেয়ার করতে হয় ১০ শতাংশ, এর ওপরে আছে ভ্যাট।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউর রহমান বলেন, ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। এখন সময় হয়েছে এই রেট পুনর্বিবেচনা করার। আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। তবে এতে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি এই ক্ষেত্রে আমরা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারব।’
বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির বাজার এখনো সংকীর্ণ। সাধারণ মানুষের জন্য আমরা পর্যাপ্ত সেবা তৈরি করতে পারিনি ৷ আমরা কনটেন্ট তৈরি করতে পারিনি। যেকোনো মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে, নতুবা আমরা খুব বেশি দূর এগোতে পারব না।’
আইআইজি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেট সেবায় রাজস্ব শেয়ারিং কমিয়ে আনতে হবে। আর রাজস্ব শেয়ারের ওপর ভ্যাট কমানো উচিত।’
আইএসপিআরের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সব জায়গা থেকে একই রেটে ব্যান্ডউইথ কিনতে পারি না। সিডিএন না থাকার কারণে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। কমমূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে বিটিআরসিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স আপগ্রেডেশন না করার কারণে বৈধ আইএসপিগুলো অবৈধ হয়ে গেছে। ২৫০০ বিজিপিএস ট্রাফিক রিফিল করতে আমরা বিদেশে টাকা পাচার করছি।’
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘রাজস্ব শেয়ারিং সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিত। রাজস্ব শেয়ারিং সবার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ করে দেওয়া উচিত।’
আরেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা মাহমুদ হোসাইন বলেন, ‘বিটিআরসি যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে— তা নিশ্চিত করতে হবে। সিডিএনকে ঠিকমতো চালু করা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। নিরাপত্তার ইস্যু দেখিয়ে আইএসপিএবির কাছ থেকে সিডিএন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
রবি আজিয়েটার রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহ মো. ফজলে খোদা বলেন, ‘গ্রাহক পর্যায়ে কর ৩৯ শতাংশ। এর প্রভাব অনেক। এরপরে করপোরেট কর ও রাজস্ব এর ওপরে কর রয়েছে। এসব কর ও ইকোসিস্টেমের কারণে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়ছে। যেভাবে কর আরোপ করা হচ্ছে তাতে টিকে থাকা কষ্টকর। যদি করের বোঝা কমানো হয় এবং রাজস্ব শেয়ারিং এর কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয় তবে রেট কমানো যাবে।’
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আর্থ কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসের, আইআইজিবির যুগ্ম সচিব মক্তবুর রহমান প্রমুখ।
মূল্য বৈষম্যের শিকার দেশের ইন্টারনেটের বাজার। যার কারণে ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে। দেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো প্রয়োজন। কর কমালেই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে দেশীয় ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত থাকায় প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বাজার হারাচ্ছে দেশ। মূল্যের কারণেও ক্ষতি হচ্ছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। তাই ইন্টারনেট আরও সুলভ করতে এসব বৈষম্য নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। মূল্যের নামে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যান্ডউইথের ক্রয়-বিক্রয় ও রাজস্ব শেয়ারের বৈষম্য বাতিল করে গ্রাহক পর্যায়ে সুলভে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবার পরিবেশ সৃষ্টিতে নীতিমালা সংশোধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটের বৈষম্যমূলক বাজার ব্যবস্থাপনা নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারনেট সেবাদানকারী আইআইজি মূল্য কার্যকর করে বিটিআরসি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মোবাইল অপারেটরদের কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রিতে নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বলে কিছু নেই। ফলশ্রুতিতে অধিক হারে মুনাফা শেয়ার করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
রাজস্ব ভাগাভাগিতে বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রবন্ধে বলা হয়, ১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার করে আইটিসি, আছে কর অবকাশও। ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার করে বিএসসিপিএলসি, তবে এখনো রাজস্ব শেয়ার করেনি বিটিসিএল। বেসরকারি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে রাজস্ব শেয়ার করতে হয় ১০ শতাংশ, এর ওপরে আছে ভ্যাট।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউর রহমান বলেন, ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেটে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। এখন সময় হয়েছে এই রেট পুনর্বিবেচনা করার। আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। তবে এতে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি এই ক্ষেত্রে আমরা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারব।’
বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির বাজার এখনো সংকীর্ণ। সাধারণ মানুষের জন্য আমরা পর্যাপ্ত সেবা তৈরি করতে পারিনি ৷ আমরা কনটেন্ট তৈরি করতে পারিনি। যেকোনো মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে, নতুবা আমরা খুব বেশি দূর এগোতে পারব না।’
আইআইজি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ব্যান্ডউইথ ও ইন্টারনেট সেবায় রাজস্ব শেয়ারিং কমিয়ে আনতে হবে। আর রাজস্ব শেয়ারের ওপর ভ্যাট কমানো উচিত।’
আইএসপিআরের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সব জায়গা থেকে একই রেটে ব্যান্ডউইথ কিনতে পারি না। সিডিএন না থাকার কারণে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। কমমূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে বিটিআরসিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘লাইসেন্স আপগ্রেডেশন না করার কারণে বৈধ আইএসপিগুলো অবৈধ হয়ে গেছে। ২৫০০ বিজিপিএস ট্রাফিক রিফিল করতে আমরা বিদেশে টাকা পাচার করছি।’
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, ‘রাজস্ব শেয়ারিং সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিত। রাজস্ব শেয়ারিং সবার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ করে দেওয়া উচিত।’
আরেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা মাহমুদ হোসাইন বলেন, ‘বিটিআরসি যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে— তা নিশ্চিত করতে হবে। সিডিএনকে ঠিকমতো চালু করা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। নিরাপত্তার ইস্যু দেখিয়ে আইএসপিএবির কাছ থেকে সিডিএন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
রবি আজিয়েটার রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহ মো. ফজলে খোদা বলেন, ‘গ্রাহক পর্যায়ে কর ৩৯ শতাংশ। এর প্রভাব অনেক। এরপরে করপোরেট কর ও রাজস্ব এর ওপরে কর রয়েছে। এসব কর ও ইকোসিস্টেমের কারণে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়ছে। যেভাবে কর আরোপ করা হচ্ছে তাতে টিকে থাকা কষ্টকর। যদি করের বোঝা কমানো হয় এবং রাজস্ব শেয়ারিং এর কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয় তবে রেট কমানো যাবে।’
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আর্থ কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসের, আইআইজিবির যুগ্ম সচিব মক্তবুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১৩ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগে