বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
এক ডলার-সংকট যখন দেশের পুরো অর্থনীতিকে টালমাটাল করে রেখেছে, তখন সরকারের ভেতর থেকে এক ইস্যুতেই আসছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। ডলার বাড়াতে রপ্তানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্য, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমার কারণ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানিতে প্রণোদনা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর ডলার-সংকট নিয়ে নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। এক পক্ষ বলছে ডলার-সংকট শিগগির কেটে যাবে। আবার আরেক পক্ষ এমন সব নীতি ঘোষণা করছে, যাতে ভয় আছে ডলারের প্রবাহ কমে যাওয়ার। এসব অবস্থানের কারণে ডলারের সংকট না কেটে বরং সমস্যা আরও জটিল হওয়ারই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও উদ্যোক্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সম্প্রতি বলেছেন, শিগগির ডলারের সংকট কেটে যাবে। তিনি মনে করেন, সামনে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে এবং রপ্তানি আয়ও বাড়বে। ফলে ডলার আসা বেড়ে যাবে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টার এ বক্তব্যের দুই দিন পরই বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৩টি খাতের রপ্তানি প্রণোদনা কমিয়ে দিয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তোরণের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতার অংশ হিসেবে এসব খাতের প্রণোদনা কমানো হয়েছে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে পোশাকের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ পৃথকভাবে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছে। তারা মনে করে, বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অস্থিরতা আর বাংলাদেশে ডলার-সংকটের এ সময়টি প্রণোদনা কাটছাঁটের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা রপ্তানি থেকে ডলার আসা বাড়বে মনে করলেও রপ্তানি বাজার নিয়ে গলদঘর্ম অবস্থায় আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান প্রধান রপ্তানি বাজারে কেন রপ্তানি কমছে, তার কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছে। নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বাজার সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন বাজার খোঁজার কথাও বলা হয়েছে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান জিহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাদা আহমেদ রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের এক পক্ষ থেকে বলছে, রপ্তানি বাড়িয়ে ডলারের প্রবাহ বাড়াবে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে প্রণোদনা কমানোর। এ দুটো কথার মধ্যে ব্যাপক বৈপরীত্য। সরকার যদি রপ্তানি সত্যিই বাড়াতে চায়, তাহলে প্রণোদনা কাটছাঁট নয় বরং প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াত।’
ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এ জামান বলেন, ‘দেশে অর্থনীতির সবচেয়ে খারাপ সময়ে প্রণোদনার কাটছাঁট করায় রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। নিট পোশাক আমাদের পোশাক রপ্তানির প্রাণ। এই খাতে প্রণোদনা কমায় প্রতিযোগীদের সঙ্গে পণ্যের দামের তুলনায় আমরা পিছিয়ে পড়ব। এমনিতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ভালো যাচ্ছে না। তার ওপর প্রণোদনার টাকা কমার সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রভাব পড়বে পোশাক রপ্তানিতে।’
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ মান্নান কচি এক বিবৃতিতে বলেন, প্রচলিত নগদ সহায়তার হার ও কাঠামোতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনায় এটা শিল্পের জন্য মোটেও সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়, বরং এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এক ডলার-সংকট যখন দেশের পুরো অর্থনীতিকে টালমাটাল করে রেখেছে, তখন সরকারের ভেতর থেকে এক ইস্যুতেই আসছে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান। ডলার বাড়াতে রপ্তানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্য, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমার কারণ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানিতে প্রণোদনা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর ডলার-সংকট নিয়ে নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। এক পক্ষ বলছে ডলার-সংকট শিগগির কেটে যাবে। আবার আরেক পক্ষ এমন সব নীতি ঘোষণা করছে, যাতে ভয় আছে ডলারের প্রবাহ কমে যাওয়ার। এসব অবস্থানের কারণে ডলারের সংকট না কেটে বরং সমস্যা আরও জটিল হওয়ারই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও উদ্যোক্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সম্প্রতি বলেছেন, শিগগির ডলারের সংকট কেটে যাবে। তিনি মনে করেন, সামনে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে এবং রপ্তানি আয়ও বাড়বে। ফলে ডলার আসা বেড়ে যাবে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টার এ বক্তব্যের দুই দিন পরই বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৩টি খাতের রপ্তানি প্রণোদনা কমিয়ে দিয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তোরণের পর বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতার অংশ হিসেবে এসব খাতের প্রণোদনা কমানো হয়েছে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে পোশাকের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ পৃথকভাবে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছে। তারা মনে করে, বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক অস্থিরতা আর বাংলাদেশে ডলার-সংকটের এ সময়টি প্রণোদনা কাটছাঁটের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা রপ্তানি থেকে ডলার আসা বাড়বে মনে করলেও রপ্তানি বাজার নিয়ে গলদঘর্ম অবস্থায় আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান প্রধান রপ্তানি বাজারে কেন রপ্তানি কমছে, তার কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছে। নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বাজার সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন নতুন বাজার খোঁজার কথাও বলা হয়েছে।
শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান জিহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাদা আহমেদ রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের এক পক্ষ থেকে বলছে, রপ্তানি বাড়িয়ে ডলারের প্রবাহ বাড়াবে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে প্রণোদনা কমানোর। এ দুটো কথার মধ্যে ব্যাপক বৈপরীত্য। সরকার যদি রপ্তানি সত্যিই বাড়াতে চায়, তাহলে প্রণোদনা কাটছাঁট নয় বরং প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াত।’
ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এ জামান বলেন, ‘দেশে অর্থনীতির সবচেয়ে খারাপ সময়ে প্রণোদনার কাটছাঁট করায় রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। নিট পোশাক আমাদের পোশাক রপ্তানির প্রাণ। এই খাতে প্রণোদনা কমায় প্রতিযোগীদের সঙ্গে পণ্যের দামের তুলনায় আমরা পিছিয়ে পড়ব। এমনিতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ভালো যাচ্ছে না। তার ওপর প্রণোদনার টাকা কমার সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রভাব পড়বে পোশাক রপ্তানিতে।’
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ মান্নান কচি এক বিবৃতিতে বলেন, প্রচলিত নগদ সহায়তার হার ও কাঠামোতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনায় এটা শিল্পের জন্য মোটেও সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়, বরং এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনবে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৫ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১১ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১২ ঘণ্টা আগে