নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ প্রচারণাকে কেন্দ্র করে খোলাবাজারে ডলারের দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ের শেষ অর্ধে রেমিট্যান্সপ্রবাহ তলানিতে নেমেছে। এতে বেড়ে গেছে খোলাবাজারে ডলারের দাম। গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই সাড়ে তিন টাকা বেড়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, দিলকুশা, পল্টন, মালিবাগ এলাকায় বিভিন্ন মানি চেঞ্জার হাউসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলাবাজারে ঘোষিত দরের চেয়ে বাড়তি দরে ডলার বিক্রি চলছে। মানি চেঞ্জার হাউসগুলোতেই ডলার কেনা হচ্ছে ১২৩ টাকায়। আর বিক্রি করা হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। অথচ চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন (রবি ও সোমবার) খোলাবাজারে ডলার ১২১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাহলে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে সাড়ে ৩ টাকা।
মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খরচের জন্য নগদ ডলার কিনতে মতিঝিল, দিলকুশা ও ফকিরাপুলের কয়েকটি মানি চেঞ্জারে ঘুরে দেখা গেছে, সবাই ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরের নিচে ডলার বিক্রি করছেন না। অনেক ঘোরাঘুরির পর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪০০ ডরার ক্রয় করেছি।’
রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত অফার করে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, গত এক সপ্তাহ দেশে ইন্টারনেট ছিল না। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম হয়নি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল। রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাই ডলারের রেট বাড়িয়ে দিয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বিক্রেতা পরিচয়ে রাজধানীর ফকিরাপুলের নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জার লিমিটেডে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার বিক্রয়প্রধান মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত আমরা ১২৩ টাকা করে কিনতেছি। এর নিচে কোথাও পাবেন না। সব জায়গায় এই দাম।’
এ বিষয়ে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, বাজারে ডলার কম থাকার কারণে দাম বেড়ে গেছে। আন্দোলন পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স ঠিকমতো আসছে না, যে কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আজকের দর ১২৩ থেকে ১২৪ চলতেছে। সামনে দর কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা বলা যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাইয়ের ১ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ১ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত এসেছে ৩৭ কোটি, ৭ থেকে ১৩ জুলাই ৬০ কোটি ও ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৪৫ কোটি। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট না থাকায় ২১ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, খোলাবাজারে ডলারের দরের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে নেই। দর কখনো কম, আবার কখনো বেশি হবে—এটিই স্বাভাবিক। বাজার একরকম থাকবে তার গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ প্রচারণাকে কেন্দ্র করে খোলাবাজারে ডলারের দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি জুলাইয়ের শেষ অর্ধে রেমিট্যান্সপ্রবাহ তলানিতে নেমেছে। এতে বেড়ে গেছে খোলাবাজারে ডলারের দাম। গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই সাড়ে তিন টাকা বেড়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, দিলকুশা, পল্টন, মালিবাগ এলাকায় বিভিন্ন মানি চেঞ্জার হাউসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলাবাজারে ঘোষিত দরের চেয়ে বাড়তি দরে ডলার বিক্রি চলছে। মানি চেঞ্জার হাউসগুলোতেই ডলার কেনা হচ্ছে ১২৩ টাকায়। আর বিক্রি করা হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। অথচ চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন (রবি ও সোমবার) খোলাবাজারে ডলার ১২১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাহলে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে সাড়ে ৩ টাকা।
মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খরচের জন্য নগদ ডলার কিনতে মতিঝিল, দিলকুশা ও ফকিরাপুলের কয়েকটি মানি চেঞ্জারে ঘুরে দেখা গেছে, সবাই ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরের নিচে ডলার বিক্রি করছেন না। অনেক ঘোরাঘুরির পর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪০০ ডরার ক্রয় করেছি।’
রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত অফার করে।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, গত এক সপ্তাহ দেশে ইন্টারনেট ছিল না। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম হয়নি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল। রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাই ডলারের রেট বাড়িয়ে দিয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বিক্রেতা পরিচয়ে রাজধানীর ফকিরাপুলের নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জার লিমিটেডে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার বিক্রয়প্রধান মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত আমরা ১২৩ টাকা করে কিনতেছি। এর নিচে কোথাও পাবেন না। সব জায়গায় এই দাম।’
এ বিষয়ে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, বাজারে ডলার কম থাকার কারণে দাম বেড়ে গেছে। আন্দোলন পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স ঠিকমতো আসছে না, যে কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আজকের দর ১২৩ থেকে ১২৪ চলতেছে। সামনে দর কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা বলা যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাইয়ের ১ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রতিদিন এসেছে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ১ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত এসেছে ৩৭ কোটি, ৭ থেকে ১৩ জুলাই ৬০ কোটি ও ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৪৫ কোটি। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট না থাকায় ২১ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, খোলাবাজারে ডলারের দরের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে নেই। দর কখনো কম, আবার কখনো বেশি হবে—এটিই স্বাভাবিক। বাজার একরকম থাকবে তার গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১৩ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগে