নন-ব্যাংক লিজিং প্রতিষ্ঠান হজ্জ ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (এইচএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) তার দিলকুশার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগের জন্য হুমকি দেন প্রতিষ্ঠানটির ডিএমডি মসি উদ-দৌলাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এ সময় এমডি মো. মোফাজ্জল হোসাইনকে পদত্যাগ না করলে প্রাণনাশেরও হুমকিও দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার স্বার্থে মোফাজ্জল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। 

বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত চিঠি অনুযায়ী, হজ্জ ফাইন্যান্সের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমডি মসি উদ-দৌলা, ইভিপি ও প্রিন্সিপ্যাল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. ফারুক হোসেন, ইভিপি ও রিকভারি হেড মনির হোসেন, ইভিপি ও সিএফও শফিউদ্দিন ফরহাদ, এফএভিপি বৃতি সুন্দর দেবনাথ, এফএভিপি ফারহানা নাসরিন, এফএভিপি নাদিম জাহাঙ্গীর, এসপিও হোসেন আল মাসুদ-সহ আরও কয়েকজন এমডির কক্ষে উচ্ছৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করে। 

অভিযোগে বিষয়ে জানতে প্রধান অভিযুক্ত ডিএমডি মসি উদ-দৌলার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, অফিসে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে এমডি স্যারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। এসময় কিছু বিষয়ে নিয়ে তর্ক হয়। এটা অবরুদ্ধের বিষয় না। এমডি স্যার তো অফিস করছেন। তবে পুলিশ কেন এসিছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কারও মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিলেন। তারা পরে কথা বলে চলে গেছেন। আর থানায় কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল বিষয়ে জানা নেই। 

গ্রাহক সেজে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিকিউরিটি গার্ড মো. খালেদ হোসেন জানান, বড় স্যারদের নির্দেশে প্রধান কার্যালয়ে শাটার নামিয়ে রাখা হয়েছে। ওপরে এমডি স্যারের কি যেন হয়েছে। তবে তিনি বিকেলে নির্ধারিত সময়ে আগেই অফিস ত্যাগ করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডিএমডি মসি উদ-দৌলাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পরে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিপি গোলাম সওগাতুল করিমকে প্রদান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের দিনক্ষণ বিষয়ে জ্ঞাত হয়ে বিবাদীরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে এমডিকে জোর পূবর্ক পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করা হয়। 

এমডি মো. মোফাজ্জল হোসাইন মোবাইলে বলেন, আমাকে হুমকি দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বিষয়টি অবহিত করেছি। মতিঝিল থানায় জিডি করেছি। এখনো জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় কথা বলত পারছি না।