নাজনীন আহমেদ
ঢাকা: ঘাটতি বাজেট পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক ও অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা খারাপ অবস্থা যাচ্ছে, তাই কর আদায়ের ক্ষেত্রে গত বছরের মতোই টার্গেট রাখা হয়েছে। তবুও যে ঘাটতি বাজেট আছে সেটা মেনে নিতে হবে। সাময়িক সংকট মোকাবিলায় ঋণ নিতেই হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন আবার বিশাল ঋণের ফাঁদে পড়ে না যাই।
সরকারের উচিত সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে সরাসরি ঋণ নেওয়া। কারণ সঞ্চয়পত্রে ঋণের সুদ অনেক বেশি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিরুৎসাহিত করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার কালো টাকা সাদা করা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইকোনমিক জোনে যেন নতুন ব্যবসায়ীরা আসতে পারেন এ জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার মালিকরা কেন ইকোনমিক জোনে আসবে? ভালো ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এটা একটা স্পেশাল জোন। স্পেশাল সুবিধা কালো টাকার মালিকদের কেন দেবে? এমন তো নয় যে ইকোনমিক জোনে কেউ ইনভেস্ট করতে চাচ্ছে না।’
এই বাজেটকে একটি শিল্পবান্ধব বাজেট বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ নাজনীন। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন রকম শিল্পকে নানা রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের আমদানির ওপর শুল্ক হ্রাস, বিএটি, সম্পূরক কর বাতিল বা কমানো হয়েছে। এগুলো ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল দুই ধরনের শিল্পকেই সহায়তা করবে। তা ছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি যারা উৎপাদন করে তারা সুবিধা পাবে।
মোবাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি বিরূপ প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেটের একটা দিক হচ্ছে এখানে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এই করোনার আমলে সবকিছু যেখানে অনলাইনে হচ্ছে সেখানে আমাদের টাকা পয়সার লেনদেন যতটা ক্যাশ ফ্রি করা যায় ততটাই তো ভালো। সেইদিক থেকে অন্তত এই সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ট্যাক্স বাড়ানো উচিত হয়নি।
নারীদের জন্য বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট বাতিল করা হয়েছে। এখানে আরও সাবসিডি দেওয়া উচিত যাতে প্রান্তিক নারীরাও ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারে।
লেখক: গবেষক, বিআইডিএস।
ঢাকা: ঘাটতি বাজেট পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক ও অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা খারাপ অবস্থা যাচ্ছে, তাই কর আদায়ের ক্ষেত্রে গত বছরের মতোই টার্গেট রাখা হয়েছে। তবুও যে ঘাটতি বাজেট আছে সেটা মেনে নিতে হবে। সাময়িক সংকট মোকাবিলায় ঋণ নিতেই হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন আবার বিশাল ঋণের ফাঁদে পড়ে না যাই।
সরকারের উচিত সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে সরাসরি ঋণ নেওয়া। কারণ সঞ্চয়পত্রে ঋণের সুদ অনেক বেশি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিরুৎসাহিত করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার কালো টাকা সাদা করা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইকোনমিক জোনে যেন নতুন ব্যবসায়ীরা আসতে পারেন এ জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার মালিকরা কেন ইকোনমিক জোনে আসবে? ভালো ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এটা একটা স্পেশাল জোন। স্পেশাল সুবিধা কালো টাকার মালিকদের কেন দেবে? এমন তো নয় যে ইকোনমিক জোনে কেউ ইনভেস্ট করতে চাচ্ছে না।’
এই বাজেটকে একটি শিল্পবান্ধব বাজেট বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ নাজনীন। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন রকম শিল্পকে নানা রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের আমদানির ওপর শুল্ক হ্রাস, বিএটি, সম্পূরক কর বাতিল বা কমানো হয়েছে। এগুলো ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল দুই ধরনের শিল্পকেই সহায়তা করবে। তা ছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি যারা উৎপাদন করে তারা সুবিধা পাবে।
মোবাইল লেনদেনের ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি বিরূপ প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেটের একটা দিক হচ্ছে এখানে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এই করোনার আমলে সবকিছু যেখানে অনলাইনে হচ্ছে সেখানে আমাদের টাকা পয়সার লেনদেন যতটা ক্যাশ ফ্রি করা যায় ততটাই তো ভালো। সেইদিক থেকে অন্তত এই সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ট্যাক্স বাড়ানো উচিত হয়নি।
নারীদের জন্য বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট বাতিল করা হয়েছে। এখানে আরও সাবসিডি দেওয়া উচিত যাতে প্রান্তিক নারীরাও ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারে।
লেখক: গবেষক, বিআইডিএস।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
৪ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
৭ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে