নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলাপি ঋণে বিপর্যস্ত পদ্মা ব্যাংক অবশেষে শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে, যা এক্সিম ব্যাংক নামেই পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে আগামী সোমবার গভর্নরের উপস্থিতিতে চুক্তি হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মার্জার (একীভূত) প্রক্রিয়া বিশ্বে নতুন নয়, অন্যান্য দেশেও হয়েছে। দেশে এ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা নিজেরাই মার্জারে যেতে পারে। পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্লেষকেরা বলছেন, একীভূত হলে গ্রাহকস্বার্থ আরও সুরক্ষিত হবে।
এক্সিম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হলেও পদ্মা সাধারণ ব্যাংক। জানা গেছে, উভয় ব্যাংকের পর্ষদই শরিয়াহভিত্তিকভাবে একীভূত ব্যাংকটি পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কীভাবে একীভূত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও পরামর্শক্রমে দুই ব্যাংকের আইনজীবী মিলে ঠিক করবেন। এ জন্য আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে।
এরপরই একীভূত কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পদ্মা ব্যাংকের ২০২৩ সালের শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) আমানত মোট ১ হাজার কোটি টাকা। সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ৭৬০ কোটি টাকা মিলিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তারিক রিয়াজ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একীভূত বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছি। নীতিগত সিদ্ধান্ত আমাদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে। যেহেতু একীভূত হবে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন না। এ বিষয়ে বিআরপিডি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।’
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ২০১৩ সালে অনুমোদন পায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংক। কয়েক বছরের মধ্যে খেলাপি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। পরে ব্যাংকটির পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। নাম বদলে করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ২০১৯ সালে ফারমার্স ব্যাংক থেকে পদ্মা ব্যাংক হওয়ার সময় খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা। সবশেষ ২০১৭ সালে ব্যাংকটির মালিকানায় যুক্ত হয় সরকারি একাধিক ব্যাংক ও সংস্থা। ১৯৯৯ সালে এক্সিম ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকটি ২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী, পরিচালক, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। এটি ভালো উদ্যোগ, উভয় পক্ষের জন্যই ভালো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আরও ৯টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার পাইপলাইনে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক একীভূতের উদ্দেশ্য হলো সবল ব্যাংকের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলকে শক্তিশালী করা। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা কোন পদ্ধতিতে করে, সেটাই দেখার বিষয়। যদি নিয়ম মেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে—এমন একটি মডিউল তৈরি করে, তাহলে বোঝা যাবে, যে উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে, তা অর্জিত হবে কি না।
খেলাপি ঋণে বিপর্যস্ত পদ্মা ব্যাংক অবশেষে শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে, যা এক্সিম ব্যাংক নামেই পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে আগামী সোমবার গভর্নরের উপস্থিতিতে চুক্তি হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মার্জার (একীভূত) প্রক্রিয়া বিশ্বে নতুন নয়, অন্যান্য দেশেও হয়েছে। দেশে এ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা নিজেরাই মার্জারে যেতে পারে। পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্লেষকেরা বলছেন, একীভূত হলে গ্রাহকস্বার্থ আরও সুরক্ষিত হবে।
এক্সিম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হলেও পদ্মা সাধারণ ব্যাংক। জানা গেছে, উভয় ব্যাংকের পর্ষদই শরিয়াহভিত্তিকভাবে একীভূত ব্যাংকটি পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কীভাবে একীভূত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও পরামর্শক্রমে দুই ব্যাংকের আইনজীবী মিলে ঠিক করবেন। এ জন্য আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে।
এরপরই একীভূত কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পদ্মা ব্যাংকের ২০২৩ সালের শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) আমানত মোট ১ হাজার কোটি টাকা। সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ৭৬০ কোটি টাকা মিলিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তারিক রিয়াজ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একীভূত বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছি। নীতিগত সিদ্ধান্ত আমাদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে। যেহেতু একীভূত হবে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারাবেন না। এ বিষয়ে বিআরপিডি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।’
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ২০১৩ সালে অনুমোদন পায় সাবেক ফারমার্স ব্যাংক। কয়েক বছরের মধ্যে খেলাপি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। পরে ব্যাংকটির পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। নাম বদলে করা হয় পদ্মা ব্যাংক। ২০১৯ সালে ফারমার্স ব্যাংক থেকে পদ্মা ব্যাংক হওয়ার সময় খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা। সবশেষ ২০১৭ সালে ব্যাংকটির মালিকানায় যুক্ত হয় সরকারি একাধিক ব্যাংক ও সংস্থা। ১৯৯৯ সালে এক্সিম ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকটি ২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী, পরিচালক, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। এটি ভালো উদ্যোগ, উভয় পক্ষের জন্যই ভালো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আরও ৯টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার পাইপলাইনে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংক একীভূতের উদ্দেশ্য হলো সবল ব্যাংকের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্বলকে শক্তিশালী করা। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা কোন পদ্ধতিতে করে, সেটাই দেখার বিষয়। যদি নিয়ম মেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে—এমন একটি মডিউল তৈরি করে, তাহলে বোঝা যাবে, যে উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে, তা অর্জিত হবে কি না।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৩১ মিনিট আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৪ ঘণ্টা আগে