জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ কমছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন পদক্ষেপে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সম্মতিও পাওয়া গেছে। শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, যা স্পষ্ট হবে সংশোধিত বাজেটে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে রাখা সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধিত বাজেটে কমবে আগের তুলনায় ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয় ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বাকি ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয় বৈদেশিক উৎস থেকে। প্রতিবছরই বেশি ব্যয়ের বাজেটে বড় আকারের ঘাটতি ধরা হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে বাজেটে সেই ঘাটতি পূরণের উৎস বৈদেশিক ঋণ মিলছে না প্রত্যাশিত হারে। একইভাবে সরকারি আয়ের অন্যতম অভ্যন্তরীণ উৎস রাজস্ব আয় আশানুরূপ বাড়ছে না। যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারের ব্যাংকনির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরও অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদিও পাঁচ বছর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্য ছিল মাত্র ২৬ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এমনিতেই ব্যাংকগুলো বড় রকমের তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে সরকার যদি ব্যাংক থেকে আরও বেশি ঋণ নেয়, তখন তারল্যসংকট আরও বাড়বে, যা বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিতে চাপ তৈরি করবে।
আশরাফ আহমেদ সরকারকে ব্যাংক ব্যবস্থায় বিদ্যমান চাপ কমাতে বিকল্প উৎস্য হিসেবে সরকারকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিপিপি মডেলের আওতায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এতে অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পগুলোয় বাজেট বরাদ্দের বাইরে অর্থায়ন সম্ভব হবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ বেশি নিলে বেসরকারি খাতকে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যায়, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আবার ঋণের টাকার যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার না হলে এবং বেসরকারি খাত প্রণোদনা না পেলে তাতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সঙ্গে কর্মসংস্থানও কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৯টির অবস্থা খুবই নাজুক। কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা দিতে না পেরে শার্টার ফেলে ব্যাংকিং করছিল। এটিএম বুথেও টাকা পাওয়া যেত না। এ অবস্থা কাটাতে সরকারের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধারের ব্যবস্থা করে। এতে চাপ কমতে শুরু করে। কিন্তু সব ব্যাংকের তারল্যসংকট এখনো কাটেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, আলোচিত কয়েকটি ব্যাংকের প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। তবে এই ঘাটতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের সঙ্গে কালকের মিল নেই। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দিতে গৃহীত উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ কমছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন পদক্ষেপে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সম্মতিও পাওয়া গেছে। শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, যা স্পষ্ট হবে সংশোধিত বাজেটে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে রাখা সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধিত বাজেটে কমবে আগের তুলনায় ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয় ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বাকি ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয় বৈদেশিক উৎস থেকে। প্রতিবছরই বেশি ব্যয়ের বাজেটে বড় আকারের ঘাটতি ধরা হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে বাজেটে সেই ঘাটতি পূরণের উৎস বৈদেশিক ঋণ মিলছে না প্রত্যাশিত হারে। একইভাবে সরকারি আয়ের অন্যতম অভ্যন্তরীণ উৎস রাজস্ব আয় আশানুরূপ বাড়ছে না। যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারের ব্যাংকনির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরও অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদিও পাঁচ বছর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্য ছিল মাত্র ২৬ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এমনিতেই ব্যাংকগুলো বড় রকমের তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে সরকার যদি ব্যাংক থেকে আরও বেশি ঋণ নেয়, তখন তারল্যসংকট আরও বাড়বে, যা বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিতে চাপ তৈরি করবে।
আশরাফ আহমেদ সরকারকে ব্যাংক ব্যবস্থায় বিদ্যমান চাপ কমাতে বিকল্প উৎস্য হিসেবে সরকারকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিপিপি মডেলের আওতায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এতে অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পগুলোয় বাজেট বরাদ্দের বাইরে অর্থায়ন সম্ভব হবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ বেশি নিলে বেসরকারি খাতকে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যায়, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আবার ঋণের টাকার যথাযথ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার না হলে এবং বেসরকারি খাত প্রণোদনা না পেলে তাতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সঙ্গে কর্মসংস্থানও কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংক তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৯টির অবস্থা খুবই নাজুক। কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা দিতে না পেরে শার্টার ফেলে ব্যাংকিং করছিল। এটিএম বুথেও টাকা পাওয়া যেত না। এ অবস্থা কাটাতে সরকারের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধারের ব্যবস্থা করে। এতে চাপ কমতে শুরু করে। কিন্তু সব ব্যাংকের তারল্যসংকট এখনো কাটেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, আলোচিত কয়েকটি ব্যাংকের প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। তবে এই ঘাটতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের সঙ্গে কালকের মিল নেই। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দিতে গৃহীত উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম যাতে না বাড়ে, সে জন্য আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড় দিয়েছিল সরকার। ব্যবসায়ীরাও দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা রাখেননি তাঁরা। ঘোষণা দিয়ে দাম না বাড়ালেও বাজারে খোলা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এতে বেড়েছে দামও। এক মাসে সয়াবিনের লিটারে বেড়েছে ২০ টাকা। এ অবস্থায়
৫ মিনিট আগেদক্ষিণের বিভাগীয় শহর খুলনায় উদ্বোধন হয়েছে ওয়ালটন কম্পিউটারের নতুন শোরুম ও এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। নগরীর প্রাণকেন্দ্র খান-এ-সবুর রোডে অবস্থিত কম্পিউটার পণ্যের মার্কেট জলিল টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সব ধরনের কম্পিউ
৩১ মিনিট আগেশীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে পেরোল চুক্তি সই করেছে জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এ চুক্তি করে প্রাইম ব্যাংক।
৩৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগে