ফারুক মেহেদী, ঢাকা
দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সংকুচিত হচ্ছে রপ্তানি বাজার। বাড়ছে না স্থানীয় বাজারও। চায়ের নিলাম দরে ধস নেমেছে। নিলামে চায়ের বর্তমান দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। অথচ খুচরায় বেশি দরেই চা কিনছেন ভোক্তারা। চায়ের বাজারের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজিকে দায়ী করছেন উদ্যোক্তা ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, চা শিল্প এখন খাদের কিনারে।
চা-বাগানমালিক ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, চা পানের ৫০-৫৫ শতাংশ হয় হোটেল-রেস্তোরাঁ ও স্টলে। বাসাবাড়ি ও অফিসে হয় ৪৫-৫০ শতাংশ। দিনে অন্তত ১০ কোটি কাপ চা বিক্রি হয়। খুচরায় গড়ে ১০ টাকা করে বিক্রি হলেও স্থানীয় বাজার অন্তত ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কম শুল্কে কফি আমদানির সুযোগ, অসহনীয় উৎপাদন খরচ আর পাচার হয়ে আসা নিম্নমানের চা এই শিল্পকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
চা-বাগানমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১০ বছরে নিলামে চায়ের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।বিপরীতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৭০ দশমিক ২৫ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিলামের বাধ্যবাধকতার কারণে উৎপাদন খরচের নিচে আমরা চা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। নিলাম মূল্য ১০ বছর আগের চেয়ে এখন কম। এ রকম চলতে থাকলে চা শিল্প টিকে থাকতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে চাল-ডালসহ সব খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, এমনকি ভোক্তাকেও কয়েক গুণ বেশি দাম দিয়ে চা খেতে হয়। একমাত্র উৎপাদকেরাই চায়ের দাম পাচ্ছে না।’
ব্রিটিশদের হাত ধরে আসা চা-বাগানের মালিকানা পরিবর্তনের সূচনা হয় যুক্তরাজ্যের জেমস ফিনলে লিমিটেডের চা-বাগান হস্তান্তরের পর। ২০০৬ সালের মার্চে ব্রিটিশ কোম্পানিটির হাতে থাকা ৩৯,১১২ একর বাগানের সব শেয়ার কিনে নেয় বাংলাদেশের ছয় ব্যবসায়ী গ্রুপ ও দুই ব্যক্তি। ছয়টি গ্রুপ হলো–ইস্পাহানি, উত্তরা গ্রুপ, পেডরোলো, ইস্ট কোস্ট, এবিসি এবং এমজিএইচ গ্রুপ। গত দুই যুগে চা-বাগান ইজারা নিয়ে যুক্ত হয়েছে আকিজ, স্কয়ার, এ কে খান, সিটি, টি কে, ওরিয়ন, কাজী অ্যান্ড কাজী (জেমকন), ইউনাইটেড, মোস্তফা ও প্যারাগন গ্রুপ। আল হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ, পোশাক খাতের হা-মীম ও ভিয়েলাটেক্স গ্রুপও আছে এই তালিকায়। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকও বিনিয়োগ করেছে চা খাতে।
উৎপাদনে রেকর্ড, তবু আমদানি
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে ১৬৮টি বাগান থেকে। অথচ ১৯৭০ সালের ৪২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর বাগানে উৎপাদিত হতো ৩ কোটি ১৩ লাখ কেজি। ২০২৩ সালে আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৭৩৪ হেক্টরে। বাগান ১৬৮টি। ২০২০ সালে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার কেজি, ২০২১ সালে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার কেজি এবং ২০২২ সালে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়।
দেশে চা উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও আমদানি হচ্ছে। চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২২ বছরে অন্তত ১৭ গুণ কমেছে রপ্তানি। ২০০১-০২ অর্থবছরে চা রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার কেজি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নেমেছে ৮ লাখ ২৬ হাজার কেজিতে।
সূত্রমতে, দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও তাদের অনেকেরই এখন আর রপ্তানি নেই।
দাম উৎপাদন খরচের নিচে
চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে নিলামে প্রতি কেজি চায়ের দাম ঠিক হয়েছে ১৭৩ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর ছিল ১৯৫ টাকা ৪৩ পয়সা। ২০১৬ সালেও ছিল ২০০ টাকা। কিন্তু প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ বিক্রয় দামের চেয়ে প্রায় ১০০ টাকা বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা ৭৭ পয়সা। আগের বছরে ছিল ২৯৭ টাকা ৩০ পয়সা।
একাধিক বাগানমালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে চায়ের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি চা-শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে হবিগঞ্জের দেউন্দি চা কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘গত ১০ বছরেও চায়ের দাম বাড়েনি। উন্মুত্ত নিলামে চায়ের দাম নির্ধারিত হয়। এখানে কারও কোনো হাত নেই।
আবার ওপার থেকে চোরাই পথে আসছে নিম্নমানের চা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কফি পান। কফিতে মাত্র ২২ শতাংশের মতো শুল্ক। কম শুল্কের কারণে দাম সহনীয় হওয়ায় মানুষ কফি পান করছে। অনেক জায়গায় এখন চায়ের বদলে কফি পাওয়া যায়।’
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে যোগসাজশ করে চায়ের দর কম দিচ্ছে। আবার ভোক্তাদের কাছে দাম অনেক বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে।
মান নিয়ে প্রশ্ন
চা উদ্যোক্তা ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘ক্রেতারা বলছেন, আমাদের চায়ের মান খারাপ। সে জন্য দাম কম।’
ড. জাহাঙ্গীর আলমের মতে, চায়ের মান যদি খারাপ হয়, তবে এর জন্য চা বোর্ড ও চা গবেষণা ইনস্টিটিউটও দায়ী। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশের চায়ের মান খারাপ, এটা ঠিক। তবে মান বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি।’
বাজার অস্বাভাবিক
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে (এপ্রিল-মার্চ) নিলামে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে যে চায়ের দাম প্রতি কেজি ১৭৩ টাকা ৩৭ পয়সা, সাধারণ মানের সেই খোলা চা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। কোম্পানিগুলোর প্যাকেটে তা ৫২৫ টাকা।
ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, স্থানীয় ভোক্তা তৈরির পাশাপাশি রপ্তানি না বাড়াতে পারলে চায়ের উৎপাদকেরাও টিকে থাকতে পারবেন না।
দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সংকুচিত হচ্ছে রপ্তানি বাজার। বাড়ছে না স্থানীয় বাজারও। চায়ের নিলাম দরে ধস নেমেছে। নিলামে চায়ের বর্তমান দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। অথচ খুচরায় বেশি দরেই চা কিনছেন ভোক্তারা। চায়ের বাজারের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজিকে দায়ী করছেন উদ্যোক্তা ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, চা শিল্প এখন খাদের কিনারে।
চা-বাগানমালিক ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, চা পানের ৫০-৫৫ শতাংশ হয় হোটেল-রেস্তোরাঁ ও স্টলে। বাসাবাড়ি ও অফিসে হয় ৪৫-৫০ শতাংশ। দিনে অন্তত ১০ কোটি কাপ চা বিক্রি হয়। খুচরায় গড়ে ১০ টাকা করে বিক্রি হলেও স্থানীয় বাজার অন্তত ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কম শুল্কে কফি আমদানির সুযোগ, অসহনীয় উৎপাদন খরচ আর পাচার হয়ে আসা নিম্নমানের চা এই শিল্পকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
চা-বাগানমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১০ বছরে নিলামে চায়ের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।বিপরীতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৭০ দশমিক ২৫ শতাংশ। অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিলামের বাধ্যবাধকতার কারণে উৎপাদন খরচের নিচে আমরা চা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। নিলাম মূল্য ১০ বছর আগের চেয়ে এখন কম। এ রকম চলতে থাকলে চা শিল্প টিকে থাকতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে চাল-ডালসহ সব খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, এমনকি ভোক্তাকেও কয়েক গুণ বেশি দাম দিয়ে চা খেতে হয়। একমাত্র উৎপাদকেরাই চায়ের দাম পাচ্ছে না।’
ব্রিটিশদের হাত ধরে আসা চা-বাগানের মালিকানা পরিবর্তনের সূচনা হয় যুক্তরাজ্যের জেমস ফিনলে লিমিটেডের চা-বাগান হস্তান্তরের পর। ২০০৬ সালের মার্চে ব্রিটিশ কোম্পানিটির হাতে থাকা ৩৯,১১২ একর বাগানের সব শেয়ার কিনে নেয় বাংলাদেশের ছয় ব্যবসায়ী গ্রুপ ও দুই ব্যক্তি। ছয়টি গ্রুপ হলো–ইস্পাহানি, উত্তরা গ্রুপ, পেডরোলো, ইস্ট কোস্ট, এবিসি এবং এমজিএইচ গ্রুপ। গত দুই যুগে চা-বাগান ইজারা নিয়ে যুক্ত হয়েছে আকিজ, স্কয়ার, এ কে খান, সিটি, টি কে, ওরিয়ন, কাজী অ্যান্ড কাজী (জেমকন), ইউনাইটেড, মোস্তফা ও প্যারাগন গ্রুপ। আল হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ, পোশাক খাতের হা-মীম ও ভিয়েলাটেক্স গ্রুপও আছে এই তালিকায়। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকও বিনিয়োগ করেছে চা খাতে।
উৎপাদনে রেকর্ড, তবু আমদানি
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে ১৬৮টি বাগান থেকে। অথচ ১৯৭০ সালের ৪২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর বাগানে উৎপাদিত হতো ৩ কোটি ১৩ লাখ কেজি। ২০২৩ সালে আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৭৩৪ হেক্টরে। বাগান ১৬৮টি। ২০২০ সালে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার কেজি, ২০২১ সালে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার কেজি এবং ২০২২ সালে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়।
দেশে চা উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও আমদানি হচ্ছে। চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২২ বছরে অন্তত ১৭ গুণ কমেছে রপ্তানি। ২০০১-০২ অর্থবছরে চা রপ্তানি হয়েছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার কেজি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নেমেছে ৮ লাখ ২৬ হাজার কেজিতে।
সূত্রমতে, দেশি-বিদেশি অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানিতে জড়িত থাকলেও তাদের অনেকেরই এখন আর রপ্তানি নেই।
দাম উৎপাদন খরচের নিচে
চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে নিলামে প্রতি কেজি চায়ের দাম ঠিক হয়েছে ১৭৩ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর ছিল ১৯৫ টাকা ৪৩ পয়সা। ২০১৬ সালেও ছিল ২০০ টাকা। কিন্তু প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ বিক্রয় দামের চেয়ে প্রায় ১০০ টাকা বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদন খরচ ছিল ২৭১ টাকা ৭৭ পয়সা। আগের বছরে ছিল ২৯৭ টাকা ৩০ পয়সা।
একাধিক বাগানমালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে চায়ের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি চা-শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে হবিগঞ্জের দেউন্দি চা কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘গত ১০ বছরেও চায়ের দাম বাড়েনি। উন্মুত্ত নিলামে চায়ের দাম নির্ধারিত হয়। এখানে কারও কোনো হাত নেই।
আবার ওপার থেকে চোরাই পথে আসছে নিম্নমানের চা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কফি পান। কফিতে মাত্র ২২ শতাংশের মতো শুল্ক। কম শুল্কের কারণে দাম সহনীয় হওয়ায় মানুষ কফি পান করছে। অনেক জায়গায় এখন চায়ের বদলে কফি পাওয়া যায়।’
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিলামে যোগসাজশ করে চায়ের দর কম দিচ্ছে। আবার ভোক্তাদের কাছে দাম অনেক বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন ও চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিও আছে।
মান নিয়ে প্রশ্ন
চা উদ্যোক্তা ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘ক্রেতারা বলছেন, আমাদের চায়ের মান খারাপ। সে জন্য দাম কম।’
ড. জাহাঙ্গীর আলমের মতে, চায়ের মান যদি খারাপ হয়, তবে এর জন্য চা বোর্ড ও চা গবেষণা ইনস্টিটিউটও দায়ী। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশের চায়ের মান খারাপ, এটা ঠিক। তবে মান বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি।’
বাজার অস্বাভাবিক
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে (এপ্রিল-মার্চ) নিলামে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে। নিলামে যে চায়ের দাম প্রতি কেজি ১৭৩ টাকা ৩৭ পয়সা, সাধারণ মানের সেই খোলা চা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। কোম্পানিগুলোর প্যাকেটে তা ৫২৫ টাকা।
ড. জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, স্থানীয় ভোক্তা তৈরির পাশাপাশি রপ্তানি না বাড়াতে পারলে চায়ের উৎপাদকেরাও টিকে থাকতে পারবেন না।
দক্ষিণের বিভাগীয় শহর খুলনায় উদ্বোধন হয়েছে ওয়ালটন কম্পিউটারের নতুন শোরুম ও এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। নগরীর প্রাণকেন্দ্র খান-এ-সবুর রোডে অবস্থিত কম্পিউটার পণ্যের মার্কেট জলিল টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সব ধরনের কম্পিউ
১৯ মিনিট আগেশীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে পেরোল চুক্তি সই করেছে জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এ চুক্তি করে প্রাইম ব্যাংক।
২৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১২ ঘণ্টা আগে