অনলাইন ডেস্ক
উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচটি দেশের জোট ব্রিকসে যোগ দিতে যাওয়া ছয়টি দেশ মিলে যে অর্থনৈতিক অবদান রাখবে তার অবদান খুব বেশি নয়। তখন ব্রিকসে মোট জিডিপি যত হবে, তাতে মাত্র ১১ শতাংশ যোগ করবে নতুন ছয়টি দেশ। ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, এই দেশগুলোর মধ্যে ব্রিকসের জিডিপিতে সৌদি আরবের অবদান হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। বাকি পাঁচ দেশ মিলে ৭ শতাংশ যোগ করবে। ১১টি দেশ মিলে তখন বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকসের অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে। পাশাপাশি জোটের জনসংখ্যা বেড়ে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে আরো ছয় সদস্যকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়। এই দেশগুলোর সদস্য পদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতে কার্যকর হবে।
নতুন ছয় সদস্য যুক্ত হওয়ার পর ব্রিকসে সর্বোচ্চ অবদান রাখা চীনের জিডিপিতে ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬২ শতাংশে নামবে, যেখানে ভারতের অবদান ১৩ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে নেমে আসবে। রাশিয়ার অবদান ৮ শতাংশ, ব্রাজিলের ৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অবদান হবে মাত্র ২ শতাংশ। এই ছয়টি দেশ মিলে বৈশ্বিক জিডিপিতে ২৬ শতাংশ অবদান রাখে।
ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ার পরে জিডিপিতে রাশিয়ার অবদান কমে ৭ শতাংশে নামবে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার অবদান ১ শতাংশে নেমে আসবে, আর ব্রাজিলের শেয়ার অপরিবর্তিত থাকবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্য কান্তি ঘোষ বলেছেন, এই ছয়টি দেশের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৫৯ কোটি রুপি।
এরপর ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ কোটি রুপি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সৌদি আরব, ৪৮ হাজার ৭৯২ কোটি রুপি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মিশর এবং এরপর যথাক্রমে আছে আর্জেন্টিনা (৩৯ হাজার ১০০ কোটি রুপি), ইরান (১৮ হাজার ৬৮০ কোটি রুপি) ও ইথিওপিয়া (৫ হাজার ১৫৪ কোটি রুপি)।
নতুন সদস্যদের মধ্যে ব্রিকসের জিডিপিতে ৪ শতাংশ অবদান রেখে সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হবে সৌদি আরব। তারপর আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর ২ শতাংশ করে এবং ইরান ১ শতাংশ করে অবদান রাখবে। তবে ইথিওপিয়ার অর্থনীতির কোনো প্রভাব পড়বে না।
২০২২ সালে সৌদি আরবের (ইতিমধ্যে একটি জি-২০ সদস্য) অর্থনীতির আকার ছিল প্রায় ১.১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আর্জেন্টিনা ৬৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের, মিশর ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের, ইরান ৩৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের এবং ইথিওপিয়া ১২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের দেশ।
এই ছয়টি দেশ যোগ দিলে বৈশ্বিক তেল উৎপাদনের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। এর ফলে তেল উৎপাদনে জোটের অবদান ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে। সেসঙ্গে তেল ব্যবহারের পরিমাণ ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
একইভাবে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে জোটের অবদান ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে এবং সেবা বাণিজ্য ১২ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উঠবে।
অনুবাদ করেছেন নিয়ামত উল্লাহ খান
উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচটি দেশের জোট ব্রিকসে যোগ দিতে যাওয়া ছয়টি দেশ মিলে যে অর্থনৈতিক অবদান রাখবে তার অবদান খুব বেশি নয়। তখন ব্রিকসে মোট জিডিপি যত হবে, তাতে মাত্র ১১ শতাংশ যোগ করবে নতুন ছয়টি দেশ। ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, এই দেশগুলোর মধ্যে ব্রিকসের জিডিপিতে সৌদি আরবের অবদান হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। বাকি পাঁচ দেশ মিলে ৭ শতাংশ যোগ করবে। ১১টি দেশ মিলে তখন বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকসের অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত হবে। পাশাপাশি জোটের জনসংখ্যা বেড়ে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে আরো ছয় সদস্যকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়। এই দেশগুলোর সদস্য পদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতে কার্যকর হবে।
নতুন ছয় সদস্য যুক্ত হওয়ার পর ব্রিকসে সর্বোচ্চ অবদান রাখা চীনের জিডিপিতে ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬২ শতাংশে নামবে, যেখানে ভারতের অবদান ১৩ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে নেমে আসবে। রাশিয়ার অবদান ৮ শতাংশ, ব্রাজিলের ৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অবদান হবে মাত্র ২ শতাংশ। এই ছয়টি দেশ মিলে বৈশ্বিক জিডিপিতে ২৬ শতাংশ অবদান রাখে।
ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ার পরে জিডিপিতে রাশিয়ার অবদান কমে ৭ শতাংশে নামবে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার অবদান ১ শতাংশে নেমে আসবে, আর ব্রাজিলের শেয়ার অপরিবর্তিত থাকবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্য কান্তি ঘোষ বলেছেন, এই ছয়টি দেশের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৫৯ কোটি রুপি।
এরপর ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ কোটি রুপি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সৌদি আরব, ৪৮ হাজার ৭৯২ কোটি রুপি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মিশর এবং এরপর যথাক্রমে আছে আর্জেন্টিনা (৩৯ হাজার ১০০ কোটি রুপি), ইরান (১৮ হাজার ৬৮০ কোটি রুপি) ও ইথিওপিয়া (৫ হাজার ১৫৪ কোটি রুপি)।
নতুন সদস্যদের মধ্যে ব্রিকসের জিডিপিতে ৪ শতাংশ অবদান রেখে সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হবে সৌদি আরব। তারপর আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর ২ শতাংশ করে এবং ইরান ১ শতাংশ করে অবদান রাখবে। তবে ইথিওপিয়ার অর্থনীতির কোনো প্রভাব পড়বে না।
২০২২ সালে সৌদি আরবের (ইতিমধ্যে একটি জি-২০ সদস্য) অর্থনীতির আকার ছিল প্রায় ১.১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আর্জেন্টিনা ৬৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের, মিশর ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের, ইরান ৩৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের এবং ইথিওপিয়া ১২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের দেশ।
এই ছয়টি দেশ যোগ দিলে বৈশ্বিক তেল উৎপাদনের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। এর ফলে তেল উৎপাদনে জোটের অবদান ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে। সেসঙ্গে তেল ব্যবহারের পরিমাণ ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩৬ শতাংশে দাঁড়াবে।
একইভাবে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যে জোটের অবদান ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে এবং সেবা বাণিজ্য ১২ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উঠবে।
অনুবাদ করেছেন নিয়ামত উল্লাহ খান
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে