নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হলেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। পরবর্তী ৪ বছর মেয়াদের জন্য তিনি এ দায়িত্ব পেলেন।
আজ রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও ছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এবং সাত বছর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন ১৯৯২ সালে।
এদিকে ড. এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেওয়ার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তাঁর পদত্যাগের পর ১১ আগস্ট এফআইডি সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ১২ আগস্ট তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়। তবে আগের দিনই কমিশনার মু. মোহসীন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ১৩ আগস্ট ড. এম মাসরুর রিয়াজকে চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে এম মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরপরই দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ নিয়ে বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় অভিযোগ তোলা হয়, মাসরুর রিয়াজ সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত এবং পুঁজিবাজারে বিতর্কিত সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁদের অনেক অনৈতিক নীতির সমর্থক ছিলেন মাসরুর। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি বিজ্ঞ হলেও পুঁজিবাজারে দক্ষতা নেই। এমন একজনকে বিএসইসির কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাগত জানাতে চান না।
পরে সভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে এফআইডি সচিবকে পাঠানো হয়। এরপর গত বুধবার এফআইডির ওয়েবসাইট থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়। আর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসব ঘটনার মধ্যেই বিএসইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ দাবি করে, মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ প্রত্যাহার চেয়ে দেওয়া চিঠির বক্তব্য অ্যাসোসিয়েশনের নয়, বরং সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের ব্যক্তিগত। তবে এক দিন পর বৃহস্পতিবার সাইফুর রহমানের দেওয়া চিঠি ও প্রস্তাবের প্রতি ফের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোচিত হচ্ছিল।
এ বাস্তবতায় নিয়োগ পাওয়ার পরও চেয়ারম্যান হিসেবে বিএসইসিতে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন ড. মাসরুর রিয়াজ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠায় শেষ পর্যন্ত তিনি ওই পদে যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
ড. মাসরুর রিয়াজ গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই পরিবর্তিত সময়ে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সামগ্রিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত-সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বিবেচনায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। দাবি করেন, ‘দায়িত্ব পালনের চেয়ে দেশের স্বার্থই আমার কাছে সবার ওপরে। প্রতিশ্রুতি দেন দায়িত্বে না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিজ অবস্থান থেকে করণীয় সবকিছুই করে যাবেন।’
মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নামে অর্থ মন্ত্রণালয়। এফআইডি থেকে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। তারপরই খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হলো।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হলেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। পরবর্তী ৪ বছর মেয়াদের জন্য তিনি এ দায়িত্ব পেলেন।
আজ রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও ছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এবং সাত বছর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন ১৯৯২ সালে।
এদিকে ড. এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেওয়ার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তাঁর পদত্যাগের পর ১১ আগস্ট এফআইডি সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ১২ আগস্ট তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়। তবে আগের দিনই কমিশনার মু. মোহসীন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ১৩ আগস্ট ড. এম মাসরুর রিয়াজকে চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে এম মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরপরই দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ নিয়ে বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় অভিযোগ তোলা হয়, মাসরুর রিয়াজ সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত এবং পুঁজিবাজারে বিতর্কিত সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁদের অনেক অনৈতিক নীতির সমর্থক ছিলেন মাসরুর। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি বিজ্ঞ হলেও পুঁজিবাজারে দক্ষতা নেই। এমন একজনকে বিএসইসির কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাগত জানাতে চান না।
পরে সভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে এফআইডি সচিবকে পাঠানো হয়। এরপর গত বুধবার এফআইডির ওয়েবসাইট থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়। আর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসব ঘটনার মধ্যেই বিএসইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ দাবি করে, মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ প্রত্যাহার চেয়ে দেওয়া চিঠির বক্তব্য অ্যাসোসিয়েশনের নয়, বরং সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের ব্যক্তিগত। তবে এক দিন পর বৃহস্পতিবার সাইফুর রহমানের দেওয়া চিঠি ও প্রস্তাবের প্রতি ফের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোচিত হচ্ছিল।
এ বাস্তবতায় নিয়োগ পাওয়ার পরও চেয়ারম্যান হিসেবে বিএসইসিতে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন ড. মাসরুর রিয়াজ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠায় শেষ পর্যন্ত তিনি ওই পদে যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
ড. মাসরুর রিয়াজ গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই পরিবর্তিত সময়ে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সামগ্রিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত-সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বিবেচনায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। দাবি করেন, ‘দায়িত্ব পালনের চেয়ে দেশের স্বার্থই আমার কাছে সবার ওপরে। প্রতিশ্রুতি দেন দায়িত্বে না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিজ অবস্থান থেকে করণীয় সবকিছুই করে যাবেন।’
মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নামে অর্থ মন্ত্রণালয়। এফআইডি থেকে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। তারপরই খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হলো।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৪ ঘণ্টা আগে