নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমানে বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার প্রায় ৩০ শতাংশ। এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কারণে ২০১০ সালে সরকার কর হারায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ।
আজ সোমবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘করপোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা: করক্ষতি ও সামাজিক খাতে ব্যয়ে এর অভিঘাত’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। গোলাম মোয়াজ্জেম তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, ‘ছায়া অর্থনীতিতে আমাদের ৮৪ হাজার কোটি টাকা করক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির ৩০ শতাংশ বা মোট রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশ। এ অর্থ আদায় হলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আরও ৩০০ শতাংশ ব্যয় বাড়ানো যেত।’
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য হওয়ার পরেও কর দেয় না। অন্যদিকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে ২ লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি রেজিস্টার্ড হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি। ট্যাক্স কমপ্লায়েন্ট মাত্র ২১ শতাংশ। অর্থাৎ ৫টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি কোম্পানি ট্যাক্স দিচ্ছে।
সিপিডির গবেষণায় বলা হয়, অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার ৩৬ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতি বড় হয়েছে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়তো কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু অর্থনীতির আকার যেভাবে বাড়ছে, সেই হারে বিবেচনা করলে এর বড় অংশ কর কাঠামোর বাইরে রয়ে গেছে। সেই কারণেই করক্ষতির পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির জন্য আইএমএফের মতে ন্যূনতম ১২ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাংকের মতে ১৫ শতাংশ কর-জিডিপি অনুপাত হলে সামগ্রিকভাবে সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ বিনিয়োগ করা সম্ভব। ২০২১ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশের এ মুহূর্তে রয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মানে ১৫ শতাংশ কর-জিডিপি অনুপাতে যেতে হলে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছি। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর আদায় হলে এর এক-তৃতীয়াংশ মেটানো যেত।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম তাঁর গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, কর অস্বচ্ছতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। কর ফাঁকি ও কর এড়ানো। কর ফাঁকি দিতে গিয়ে কোম্পানি তার প্রকৃত আয় কম দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে কর এড়ানোর বিষয়টি হলো লিগ্যাল ফ্রেমের আওতায় সরকারের দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। দুটিই কর স্বচ্ছতার পরিপন্থী। কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর দৃষ্টিতে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২তম।
বাংলাদেশে করক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কর এড়ানোর জন্য যে করক্ষতি হচ্ছে তা ৫ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। কর ফাঁকির জন্য যে করক্ষতি হচ্ছে তা ১৫ থেকে ৮০ শতাংশ হতে পারে। এটা একটা কংক্রিট নম্বর বলা খুবই কঠিন। তারপরও এই তথ্যগুলোকে ধরে নিয়েই কিছু ইনডিকেটিভ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি যদি ৮০ শতাংশ হয়, তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারায় দেশ। ১৫ শতাংশ হলে তা ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার থেকে ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কর আদায়ের সুযোগ রয়েছে।
করক্ষতির বৈশ্বিক পরিসংখ্যা তুলে ধরে সিপিডির এই গবেষক বলেন, ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের ২০২২ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার কর লস হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রস বর্ডার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর কারণে ৩১২ বিলিয়ন ডলার ও ব্যক্তি পর্যায়ে, যারা সম্পদশালী ব্যক্তি, তাঁদের মাধ্যমে হচ্ছে ১৭১ বিলিয়ন ডলার। এটা বৈশ্বিক তথ্য। যার অভিঘাত স্বল্প আয়ের দেশগুলোর ওপর বেশি পড়ে। কর ক্ষতির কারণে স্বল্প আয়ের দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের প্রায় ৪৮ শতাংশ মিস করে। এটা এর মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
উচ্চ করহার থাকলে কর-জিডিপি রেশিও বেশি হবে এমন ধারণা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে করপোরেট কর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু বাংলাদেশের কর-জিডিপি রেশিও আফগানিস্তানের পর সর্বনিম্ন। ব্যক্তিগত আয়কর এবং বিক্রয় করও আমাদের কম নয়। কিন্তু আমরা কর আদায় করতে পারছি না। এই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা কর কাঠামোর মধ্যে দুর্বলতা দেখতে পাই। তাহলে কর কমিয়ে দিলেই কি রাজস্ব বাড়বে? সেটিও আসলে না। দেখা গেছে, কর কমালেও যে রাজস্ব বাড়ে সেটার নিশ্চয়তাও সব সময় নয়।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত যত বড় কর-জিডিপি অনুপাত তত কম বলে হলেও তা পুরোপুরি ঠিক নয় বলে জানানা এই গবেষক। তিনি বলেন, এখানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত হিসেবে বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেনের যে হিসাব রিপোর্ট হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো হচ্ছে না। সুতরাং রেজিস্টার্ড কোম্পানিরও ইনফর্মাল লেনদেন থাকতে পারে। আবার নন-রেজিস্টার্ড কোম্পানিরও ফর্মাল ট্রানজেকশন থাকতে পারে। সুতরাং ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আকার ৩০ শতাংশ। কিন্তু তার কর-জিডিপি অনুপাত ৯ শতাংশ। ব্রাজিলের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার ৩৩ শতাংশ। কিন্তু তার কর-জিডিপি অনুপাত ৩২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি বড় হলেও কর প্রশাসন শক্তিশালী, সরকারের আর্থিক কাঠামো এবং রিপোর্টিং ব্যবস্থা যদি শক্ত হয়, তাহলে কর আদায় বাড়ানো যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার প্রায় ৩০ শতাংশ। এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কারণে ২০১০ সালে সরকার কর হারায় ২২ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বছরে ৮৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ।
আজ সোমবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘করপোরেট খাতে কর স্বচ্ছতা: করক্ষতি ও সামাজিক খাতে ব্যয়ে এর অভিঘাত’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। গোলাম মোয়াজ্জেম তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, ‘ছায়া অর্থনীতিতে আমাদের ৮৪ হাজার কোটি টাকা করক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির ৩০ শতাংশ বা মোট রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশ। এ অর্থ আদায় হলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আরও ৩০০ শতাংশ ব্যয় বাড়ানো যেত।’
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য হওয়ার পরেও কর দেয় না। অন্যদিকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে ২ লাখ ১৩ হাজার কোম্পানি রেজিস্টার্ড হলেও রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৪৫ হাজার কোম্পানি। ট্যাক্স কমপ্লায়েন্ট মাত্র ২১ শতাংশ। অর্থাৎ ৫টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি কোম্পানি ট্যাক্স দিচ্ছে।
সিপিডির গবেষণায় বলা হয়, অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার ৩৬ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতি বড় হয়েছে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়তো কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু অর্থনীতির আকার যেভাবে বাড়ছে, সেই হারে বিবেচনা করলে এর বড় অংশ কর কাঠামোর বাইরে রয়ে গেছে। সেই কারণেই করক্ষতির পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির জন্য আইএমএফের মতে ন্যূনতম ১২ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাংকের মতে ১৫ শতাংশ কর-জিডিপি অনুপাত হলে সামগ্রিকভাবে সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ বিনিয়োগ করা সম্ভব। ২০২১ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশের এ মুহূর্তে রয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মানে ১৫ শতাংশ কর-জিডিপি অনুপাতে যেতে হলে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছি। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর আদায় হলে এর এক-তৃতীয়াংশ মেটানো যেত।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম তাঁর গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, কর অস্বচ্ছতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। কর ফাঁকি ও কর এড়ানো। কর ফাঁকি দিতে গিয়ে কোম্পানি তার প্রকৃত আয় কম দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে কর এড়ানোর বিষয়টি হলো লিগ্যাল ফ্রেমের আওতায় সরকারের দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। দুটিই কর স্বচ্ছতার পরিপন্থী। কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর দৃষ্টিতে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫২তম।
বাংলাদেশে করক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কর এড়ানোর জন্য যে করক্ষতি হচ্ছে তা ৫ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। কর ফাঁকির জন্য যে করক্ষতি হচ্ছে তা ১৫ থেকে ৮০ শতাংশ হতে পারে। এটা একটা কংক্রিট নম্বর বলা খুবই কঠিন। তারপরও এই তথ্যগুলোকে ধরে নিয়েই কিছু ইনডিকেটিভ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি যদি ৮০ শতাংশ হয়, তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারায় দেশ। ১৫ শতাংশ হলে তা ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার থেকে ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কর আদায়ের সুযোগ রয়েছে।
করক্ষতির বৈশ্বিক পরিসংখ্যা তুলে ধরে সিপিডির এই গবেষক বলেন, ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের ২০২২ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪৮৩ বিলিয়ন ডলার কর লস হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রস বর্ডার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর কারণে ৩১২ বিলিয়ন ডলার ও ব্যক্তি পর্যায়ে, যারা সম্পদশালী ব্যক্তি, তাঁদের মাধ্যমে হচ্ছে ১৭১ বিলিয়ন ডলার। এটা বৈশ্বিক তথ্য। যার অভিঘাত স্বল্প আয়ের দেশগুলোর ওপর বেশি পড়ে। কর ক্ষতির কারণে স্বল্প আয়ের দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের প্রায় ৪৮ শতাংশ মিস করে। এটা এর মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
উচ্চ করহার থাকলে কর-জিডিপি রেশিও বেশি হবে এমন ধারণা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে করপোরেট কর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু বাংলাদেশের কর-জিডিপি রেশিও আফগানিস্তানের পর সর্বনিম্ন। ব্যক্তিগত আয়কর এবং বিক্রয় করও আমাদের কম নয়। কিন্তু আমরা কর আদায় করতে পারছি না। এই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা কর কাঠামোর মধ্যে দুর্বলতা দেখতে পাই। তাহলে কর কমিয়ে দিলেই কি রাজস্ব বাড়বে? সেটিও আসলে না। দেখা গেছে, কর কমালেও যে রাজস্ব বাড়ে সেটার নিশ্চয়তাও সব সময় নয়।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত যত বড় কর-জিডিপি অনুপাত তত কম বলে হলেও তা পুরোপুরি ঠিক নয় বলে জানানা এই গবেষক। তিনি বলেন, এখানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত হিসেবে বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেনের যে হিসাব রিপোর্ট হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো হচ্ছে না। সুতরাং রেজিস্টার্ড কোম্পানিরও ইনফর্মাল লেনদেন থাকতে পারে। আবার নন-রেজিস্টার্ড কোম্পানিরও ফর্মাল ট্রানজেকশন থাকতে পারে। সুতরাং ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের আকার ৩০ শতাংশ। কিন্তু তার কর-জিডিপি অনুপাত ৯ শতাংশ। ব্রাজিলের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার ৩৩ শতাংশ। কিন্তু তার কর-জিডিপি অনুপাত ৩২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি বড় হলেও কর প্রশাসন শক্তিশালী, সরকারের আর্থিক কাঠামো এবং রিপোর্টিং ব্যবস্থা যদি শক্ত হয়, তাহলে কর আদায় বাড়ানো যায়।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উ
২৯ মিনিট আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে