প্রতিনিধি, শার্শা (যশোর)
দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিভিন্ন শর্তারোপে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ভ্রমণ খাতে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এ সময় যাত্রীর যাতায়াত কমেছে গত বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫০ জন। গেল বছরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৮৮ হাজার ৯৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ–কর বাবদ মাত্র ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ভ্রমণ খাতে রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. আক্তার ফারুক তথ্যটি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২০ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে প্রবেশ করে। তাদের কাছ থেকে ভ্রমণ–কর বাবদ আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২০১৯ সালে এ বন্দরটি দিয়ে ভারতে যায় ১২ লাখ ৫৫ লাখ ৯০০ জন যাত্রী। ভ্রমণ–কর বাবদ ওই বছর আয় হয় ৬৮ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসযোগে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ-পিপাসু মানুষ যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। দেশের মোট ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বেনাপোলসহ তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ-কর আদায়ে কাজ করে থাকে সোনালী ব্যাংক। যাত্রীপ্রতি ৫০০ এবং বন্দরের যাত্রী টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য ৪৮ টাকা ভ্রমণ-কর নেওয়া হয়ে থাকে। গত বছর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের স্থল ও রেলপথে ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কূটনীতিক, অফিশিয়াল, জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিসাধারীদের যাতায়াতের সুযোগ দেয় ভারত সরকার। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত বছরের ১৫ আগস্ট থেকে প্রথমে মেডিকেল পরে বিজনেস ও শিক্ষা ভিসা চালু হয়। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এ পর্যন্ত চালু রয়েছে। তবে জরুরি মেডিকেল ভিসায় শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প পরিসরে কিছু যাত্রী যাতায়াত করছে। নিষেধাজ্ঞায় যাত্রী যাতায়াত আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় এ খাতে রাজস্ব আয়ও দিন দিন কমতে থাকে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণে বছরে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ লাখ যাত্রী এ পথে ভ্রমণ করে থাকে। তাদের কাছ থেকে প্রায় শতকোটি টাকার কাছাকাছি ভ্রমণ খাতে রাজস্ব আসত। বর্তমানে করোনার প্রভাবে নানা বিধিনিষেধে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমে এসেছে। ফলে ভ্রমণ খাতে সরকারের আয়ও কমেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে যাত্রীর সংখ্যা আরও কমবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীর চাপ কমাতে সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ভারতফেরত যাত্রীদের জন্য শুধু ইমিগ্রেশন খোলা থাকবে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র থাকলে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে যাত্রীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবে। ট্যুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ। বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটি–পিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষা করা নেগেটিভ সনদ আর ভারত থেকে ফেরার সময় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র এবং করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে।'
দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিভিন্ন শর্তারোপে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ভ্রমণ খাতে ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এ সময় যাত্রীর যাতায়াত কমেছে গত বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫০ জন। গেল বছরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৮৮ হাজার ৯৫০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ–কর বাবদ মাত্র ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ভ্রমণ খাতে রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. আক্তার ফারুক তথ্যটি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২০ সালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে প্রবেশ করে। তাদের কাছ থেকে ভ্রমণ–কর বাবদ আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২০১৯ সালে এ বন্দরটি দিয়ে ভারতে যায় ১২ লাখ ৫৫ লাখ ৯০০ জন যাত্রী। ভ্রমণ–কর বাবদ ওই বছর আয় হয় ৬৮ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসযোগে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ-পিপাসু মানুষ যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। দেশের মোট ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বেনাপোলসহ তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ-কর আদায়ে কাজ করে থাকে সোনালী ব্যাংক। যাত্রীপ্রতি ৫০০ এবং বন্দরের যাত্রী টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য ৪৮ টাকা ভ্রমণ-কর নেওয়া হয়ে থাকে। গত বছর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের স্থল ও রেলপথে ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কূটনীতিক, অফিশিয়াল, জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিসাধারীদের যাতায়াতের সুযোগ দেয় ভারত সরকার। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত বছরের ১৫ আগস্ট থেকে প্রথমে মেডিকেল পরে বিজনেস ও শিক্ষা ভিসা চালু হয়। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এ পর্যন্ত চালু রয়েছে। তবে জরুরি মেডিকেল ভিসায় শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প পরিসরে কিছু যাত্রী যাতায়াত করছে। নিষেধাজ্ঞায় যাত্রী যাতায়াত আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় এ খাতে রাজস্ব আয়ও দিন দিন কমতে থাকে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, স্বাভাবিক সময়ে ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণে বছরে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ লাখ যাত্রী এ পথে ভ্রমণ করে থাকে। তাদের কাছ থেকে প্রায় শতকোটি টাকার কাছাকাছি ভ্রমণ খাতে রাজস্ব আসত। বর্তমানে করোনার প্রভাবে নানা বিধিনিষেধে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমে এসেছে। ফলে ভ্রমণ খাতে সরকারের আয়ও কমেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে যাত্রীর সংখ্যা আরও কমবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীর চাপ কমাতে সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ভারতফেরত যাত্রীদের জন্য শুধু ইমিগ্রেশন খোলা থাকবে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র থাকলে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে যাত্রীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবে। ট্যুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ। বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটি–পিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষা করা নেগেটিভ সনদ আর ভারত থেকে ফেরার সময় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র এবং করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে।'
সম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
২ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৮ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৯ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে