জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। প্রবাসী আয় বাড়াতে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নানা উদ্যোগের ফলে বেড়েছে প্রবাসীর সংখ্যা। কিন্তু সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি। বরং মাঝেমধ্যেই প্রবাসী আয়ে ভূতের আসর লেগে কমেছে প্রবাহ। নেপথ্যে থাকা চোষকদের ধরতে জাল পাতে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু অধরা থাকে হুন্ডি কারবারিরা।
কেন তারা ধরা পড়ে না, তার কোনো জবাবও মেলে না। তারা যে রেমিট্যান্স গিলে খায়, সেটা কেউ অস্বীকারও করে না। তবে তৎপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সব আয়োজন নিষ্ফল। তাদের শক্তির ভিত মজবুত। তাদের ধরতে যন্ত্র নয়, লাগবে বিশেষ মন্ত্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ মাস ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যেটি ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের বছর ২০২০ এবং মহামারি প্রশমিত হয়ে আসা বছর ২০২১ সালে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের চেয়ে কম।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বছরভিত্তিক সংরক্ষণকৃত হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ১৭৫ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২১ সাল আসে ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং ২০২২ সালে আসে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার।
সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনাকালে প্রবাসীদের দেশে ফিরতে হয়। নতুন করে চাকরি নিয়েও বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যাঁরা বিদেশে ছিলেন, অর্জিত প্রবাসী আয় সঙ্গে করে নিয়ে দেশে ফেরেন। এর ফলে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। আবার করোনা মহামারির আগে স্বাভাবিক সময়ে বছরভিত্তিক সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালে এসেছিল এ প্রবাসী আয়। আর আগের ১০ বছরে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু যে হারে বাড়ার কথা, সেটি বাড়েনি।
তথ্য বলছে, চলতি বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ বিদেশে কাজের সন্ধানে গেছেন। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর—এই ১১ মাসে বিদেশে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ জন। বিএমইটি হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশগামী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩। এর আগে ২০২১ সালেও ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসী হয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনার পরে বিদেশের শ্রমবাজারে নতুন করে ২৫ লাখ বাংলাদেশি যুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ কোনো বছরেই বিদেশে কাজের সন্ধানে যাননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত আসে ১৮৫ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। প্রবাসী আয় বাড়াতে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নানা উদ্যোগের ফলে বেড়েছে প্রবাসীর সংখ্যা। কিন্তু সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়েনি। বরং মাঝেমধ্যেই প্রবাসী আয়ে ভূতের আসর লেগে কমেছে প্রবাহ। নেপথ্যে থাকা চোষকদের ধরতে জাল পাতে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু অধরা থাকে হুন্ডি কারবারিরা।
কেন তারা ধরা পড়ে না, তার কোনো জবাবও মেলে না। তারা যে রেমিট্যান্স গিলে খায়, সেটা কেউ অস্বীকারও করে না। তবে তৎপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সব আয়োজন নিষ্ফল। তাদের শক্তির ভিত মজবুত। তাদের ধরতে যন্ত্র নয়, লাগবে বিশেষ মন্ত্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ মাস ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যেটি ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের বছর ২০২০ এবং মহামারি প্রশমিত হয়ে আসা বছর ২০২১ সালে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের চেয়ে কম।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বছরভিত্তিক সংরক্ষণকৃত হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ১৭৫ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২১ সাল আসে ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং ২০২২ সালে আসে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার।
সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনাকালে প্রবাসীদের দেশে ফিরতে হয়। নতুন করে চাকরি নিয়েও বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যাঁরা বিদেশে ছিলেন, অর্জিত প্রবাসী আয় সঙ্গে করে নিয়ে দেশে ফেরেন। এর ফলে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। আবার করোনা মহামারির আগে স্বাভাবিক সময়ে বছরভিত্তিক সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালে এসেছিল এ প্রবাসী আয়। আর আগের ১০ বছরে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু যে হারে বাড়ার কথা, সেটি বাড়েনি।
তথ্য বলছে, চলতি বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ বিদেশে কাজের সন্ধানে গেছেন। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর—এই ১১ মাসে বিদেশে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ জন। বিএমইটি হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশগামী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩। এর আগে ২০২১ সালেও ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসী হয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনার পরে বিদেশের শ্রমবাজারে নতুন করে ২৫ লাখ বাংলাদেশি যুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ কোনো বছরেই বিদেশে কাজের সন্ধানে যাননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত আসে ১৮৫ কোটি ডলার।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৬ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে