নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে, আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও পরবর্তী সেশনে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে ও কৃষি খাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকারও (৪.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩.২ বিলিয়ন ডলার), বাকিটা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও ইফাদ পার্টনার প্রকল্পে ৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপরও এই মুহূর্তে কৃষি খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু, চিফ ইকোনমিস্ট টরেরো কুলেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও ইকোনমিক কাউন্সিলর মো. আল আমিন।
পরে মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষি খাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ড স্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহের সময় ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য, দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
কৃষি খাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে এফএও। সে জন্য এফএও ১৭-২০ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ আয়োজন করেছে। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করছে, যাদের কৃষি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বেশি প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, আন্ত: আমেরিকান উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকা উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে।
কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হয়েছে, আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও পরবর্তী সেশনে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে ও কৃষি খাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকারও (৪.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩.২ বিলিয়ন ডলার), বাকিটা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও ইফাদ পার্টনার প্রকল্পে ৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপরও এই মুহূর্তে কৃষি খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু, চিফ ইকোনমিস্ট টরেরো কুলেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও ইকোনমিক কাউন্সিলর মো. আল আমিন।
পরে মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষি খাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ড স্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহের সময় ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য, দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
কৃষি খাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে এফএও। সে জন্য এফএও ১৭-২০ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ আয়োজন করেছে। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩২টি দেশ অংশগ্রহণ করছে, যাদের কৃষি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বেশি প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, আন্ত: আমেরিকান উন্নয়ন ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকা উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংক, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছে।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উ
২৪ মিনিট আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে