আয়নাল হোসেন, ঢাকা
রমজানের আগেই বাজারে পণ্যভিত্তিক অনৈতিক প্রতিযোগিতার আভাস দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। শুল্ক কমিয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন পণ্যের দাম। সরবরাহ চেইনে নেই খুব একটা উন্নতি। সরকার আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করলেও সেখানে আশানুরূপ সাড়া নেই আমদানিকারকদের। বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এবং তীব্র গরমের প্রভাব রয়েছে স্থানীয় উৎপাদনে। এখন সেই সুযোগই নিচ্ছে সিন্ডিকেট। এতে গরম হয়ে উঠছে বাজার। যা স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে ক্রেতা-ভোক্তার। দিন দিন বাড়ছে তাঁদের হাপিত্যেশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও দেশে দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে সেই পুরোনো চিত্রই দেখা যাচ্ছে। আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সিন্ডিকেট। পতিত রাজনৈতিক সরকারের আমলে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। বাজারের ঘুণে ধরা এ চিত্র পাল্টাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা রকম চেষ্টা রয়েছে। কিন্তু এতেও অধরাই থেকে যাচ্ছে সেই কারসাজির হোতারা। যার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিনিয়ত এই সময়ের বাজারেও পড়ছে।
এ অবস্থায় আসন্ন রমজান ঘিরে তৈরি হচ্ছে বড় রকমের শঙ্কা। কেননা, প্রতিবছর রমজানেই বাজারে নিত্যপণ্য চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলা ও পেঁয়াজের চাহিদা দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বাড়ে। এই সুযোগে মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ীও নেমে পড়েন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায়। যার আভাস এ বছরও দেখা যাচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে চাল, ভোজ্যতেল, আলু, চিনি ও পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে শুল্ক তুলে নিয়েছে বা হ্রাস করেছে। তবে এতে ভোক্তার কোনো লাভ হয়নি। উল্টো অদৃশ্য কারসাজিতে দাম আরও বেড়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দামে পণ্য বিক্রি করছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলেও পর্যালোচনা হচ্ছে। তবে এখনই শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় যেতে চায় না সরকার। বরং ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকার অনেকটাই নমনীয় নীতি অনুসরণ করছে। কারণ, রমজান আসন্ন হওয়ায় এ সময় আমদানি করা পণ্যের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের বেশি চাপ দিলে তাঁরা হয়তো আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন অথবা আমদানি থেকেই দূরে থাকতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকে সরকার খুবই সাবধানে পা ফেলছে। যাতে কোনো পণ্যেরই সরবরাহ সংকট এবং অস্বাভাবিক দাম—দুটোই দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা সম্ভব হয়। এ জন্য শুল্ক কমানোর পরও সরকার এখন পর্যন্ত দাম বেঁধে দেওয়ার নীতিতেও হাঁটছে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানে পণ্যের আমদানি যাতে কম না হয়, সে জন্য শুল্ক কমানোর পরও দাম বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে কেউ কারসাজি করে দাম বাড়ালে সে ক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
শুল্ক কমানোর পরও কমেনি দাম
চাল আমদানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক ছিল ৬২.৫ শতাংশ। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে সম্প্রতি চালের ওপর সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। অথচ এর বিপরীতে সরেজমিন বাজার চিত্র বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মাঝারি চালের ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মোটা চালের ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পরও দাম উল্টো বেড়েছে।
ভোজ্যতেলের আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে সরকার। কিন্তু বাজারে খোলা ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সোমবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬২-১৬৩ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১৫১-১৫৫ টাকা। এক মাসে দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। পাম তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৫৪-১৫৫ টাকা লিটার। এক মাস আগে ছিল ১৩৭-১৪২ টাকা। এ সময়ে শতকরা দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ছোলার চাহিদা বছরে ২ লাখ টন। গতকাল প্রতি কেজি ছোলা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। এ সময় শতকরা দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর পরও বাজারে উল্টো দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১০৫-১১৫ টাকা। এ সময়ে দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর বিদেশি পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮৫-১২০ টাকা। যা এক মাস আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা। এ সময় দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
রমজানের আগেই বাজারে পণ্যভিত্তিক অনৈতিক প্রতিযোগিতার আভাস দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। শুল্ক কমিয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন পণ্যের দাম। সরবরাহ চেইনে নেই খুব একটা উন্নতি। সরকার আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করলেও সেখানে আশানুরূপ সাড়া নেই আমদানিকারকদের। বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এবং তীব্র গরমের প্রভাব রয়েছে স্থানীয় উৎপাদনে। এখন সেই সুযোগই নিচ্ছে সিন্ডিকেট। এতে গরম হয়ে উঠছে বাজার। যা স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে ক্রেতা-ভোক্তার। দিন দিন বাড়ছে তাঁদের হাপিত্যেশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও দেশে দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে সেই পুরোনো চিত্রই দেখা যাচ্ছে। আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সিন্ডিকেট। পতিত রাজনৈতিক সরকারের আমলে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। বাজারের ঘুণে ধরা এ চিত্র পাল্টাতে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা রকম চেষ্টা রয়েছে। কিন্তু এতেও অধরাই থেকে যাচ্ছে সেই কারসাজির হোতারা। যার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিনিয়ত এই সময়ের বাজারেও পড়ছে।
এ অবস্থায় আসন্ন রমজান ঘিরে তৈরি হচ্ছে বড় রকমের শঙ্কা। কেননা, প্রতিবছর রমজানেই বাজারে নিত্যপণ্য চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলা ও পেঁয়াজের চাহিদা দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বাড়ে। এই সুযোগে মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ীও নেমে পড়েন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায়। যার আভাস এ বছরও দেখা যাচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে চাল, ভোজ্যতেল, আলু, চিনি ও পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে শুল্ক তুলে নিয়েছে বা হ্রাস করেছে। তবে এতে ভোক্তার কোনো লাভ হয়নি। উল্টো অদৃশ্য কারসাজিতে দাম আরও বেড়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দামে পণ্য বিক্রি করছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলেও পর্যালোচনা হচ্ছে। তবে এখনই শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় যেতে চায় না সরকার। বরং ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকার অনেকটাই নমনীয় নীতি অনুসরণ করছে। কারণ, রমজান আসন্ন হওয়ায় এ সময় আমদানি করা পণ্যের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের বেশি চাপ দিলে তাঁরা হয়তো আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন অথবা আমদানি থেকেই দূরে থাকতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকে সরকার খুবই সাবধানে পা ফেলছে। যাতে কোনো পণ্যেরই সরবরাহ সংকট এবং অস্বাভাবিক দাম—দুটোই দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা সম্ভব হয়। এ জন্য শুল্ক কমানোর পরও সরকার এখন পর্যন্ত দাম বেঁধে দেওয়ার নীতিতেও হাঁটছে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানে পণ্যের আমদানি যাতে কম না হয়, সে জন্য শুল্ক কমানোর পরও দাম বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে কেউ কারসাজি করে দাম বাড়ালে সে ক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
শুল্ক কমানোর পরও কমেনি দাম
চাল আমদানিতে সর্বোচ্চ শুল্ক ছিল ৬২.৫ শতাংশ। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে সম্প্রতি চালের ওপর সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। অথচ এর বিপরীতে সরেজমিন বাজার চিত্র বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মাঝারি চালের ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মোটা চালের ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পরও দাম উল্টো বেড়েছে।
ভোজ্যতেলের আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে সরকার। কিন্তু বাজারে খোলা ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। টিসিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সোমবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬২-১৬৩ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১৫১-১৫৫ টাকা। এক মাসে দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। পাম তেল গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৫৪-১৫৫ টাকা লিটার। এক মাস আগে ছিল ১৩৭-১৪২ টাকা। এ সময়ে শতকরা দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ছোলার চাহিদা বছরে ২ লাখ টন। গতকাল প্রতি কেজি ছোলা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। এ সময় শতকরা দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর পরও বাজারে উল্টো দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১০৫-১১৫ টাকা। এ সময়ে দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর বিদেশি পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮৫-১২০ টাকা। যা এক মাস আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা। এ সময় দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
দক্ষিণের বিভাগীয় শহর খুলনায় উদ্বোধন হয়েছে ওয়ালটন কম্পিউটারের নতুন শোরুম ও এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। নগরীর প্রাণকেন্দ্র খান-এ-সবুর রোডে অবস্থিত কম্পিউটার পণ্যের মার্কেট জলিল টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড এই আউটলেট চালু করা হয়েছে। এখান থেকে ক্রেতারা ওয়ালটনের সব ধরনের কম্পিউ
২৩ মিনিট আগেশীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে পেরোল চুক্তি সই করেছে জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এ চুক্তি করে প্রাইম ব্যাংক।
২৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১২ ঘণ্টা আগে