নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বড় কর ফাঁকিবাজদের ধরতে এবার কর গোয়েন্দা ইউনিট করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষায়িত এই ইউনিট চালু হলে শুধু আয়কর ফাঁকি দেয় এমন বড় কর ফাঁকিবাজদের ধরা সহজ হবে। নতুন এই গোয়েন্দা সেল চালুর জন্য এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে এনবিআরের অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নামে একটি বিশেষায়িত রাজস্ব গোয়েন্দা সেল কাজ করছে। তবে সেলটি সার্বিকভাবে কর, শুল্ক ও ভ্যাট খাতের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি নিয়ে কাজ করে। একটি প্রতিষ্ঠান সবগুলো ইউনিটের বিষয় দেখভাল করায় আয়করের বিষয়টি মনোযোগ হারায় বলে অনেকে মনে করেন।
যেহেতু দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেসরকারি খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটছে, অথচ আয়কর আদায়ের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, তাই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারির জন্য একটি বিশেষায়িত ইউনিট করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে এনবিআর। সিইআইসি রাজস্ব ফাঁকি নিয়ে কাজ করলেও এক-এগারোর সরকারের পরে এই খাতে বড় কোনো সাফল্য দেখা যায়নি।
তাই আয়কর থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এবং ফাঁকি কমিয়ে এই খাতে আরও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় এনবিআর নতুন এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আর নতুন এই গোয়েন্দা ইউনিট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এর মাধ্যমে যাতে করদাতাদের ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান অর্থনীতিবিদদের।
জানা গেছে, ভারতের অর্থনৈতিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। কর ফাঁকি বন্ধে বেশ সুনামের সঙ্গে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সংস্থার আদলে কাজ করবেন দেশের আয়কর গোয়েন্দারা। তথ্যানুসন্ধান বলছে, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানও যথাযথ নিয়মে আয়কর দিতে সময়ক্ষেপণ ও গড়িমসি করে। নতুন গোয়েন্দা ইউনিট এই পথ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর। শুল্ক গোয়েন্দার মতোই কাজ করবেন আয়কর গোয়েন্দারা।
এ বিষয়ে জানতে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও আয়কর বিভাগের আলাদা গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। বাংলাদেশেও এমন একটি ইউনিট এখন সময়ের দাবি। সব প্রস্তুতি শেষে শিগগির যাত্রা শুরু করবে নতুন এই গোয়েন্দা ইউনিট।
এনবিআর সূত্র জানায়, এনবিআরের মূল গোয়েন্দা ইউনিট সিআইসি। এই ইউনিট শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর খাতের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধে কাজ করে। এর বাইরে শুল্ক খাতের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা এবং ভ্যাটের জন্য ভ্যাট গোয়েন্দা কাজ করে। শুধু আয়কর খাতের পৃথক কোনো গোয়েন্দা ইউনিট নেই।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়কে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা ইউনিট একটা হতেই পারে। আমাদের মূলত দরকার করনেট সম্প্রসারণ। সে জন্য তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধানের কাজে লাগালে ঠিক আছে। তবে এর উদ্দেশ্য যদি হয় পুরোনো করদাতাদের চেপে ধরা, তাহলে এটা হয়রানি ছাড়া কিছু হবে না।’
বড় কর ফাঁকিবাজদের ধরতে এবার কর গোয়েন্দা ইউনিট করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষায়িত এই ইউনিট চালু হলে শুধু আয়কর ফাঁকি দেয় এমন বড় কর ফাঁকিবাজদের ধরা সহজ হবে। নতুন এই গোয়েন্দা সেল চালুর জন্য এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে এনবিআরের অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) নামে একটি বিশেষায়িত রাজস্ব গোয়েন্দা সেল কাজ করছে। তবে সেলটি সার্বিকভাবে কর, শুল্ক ও ভ্যাট খাতের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি নিয়ে কাজ করে। একটি প্রতিষ্ঠান সবগুলো ইউনিটের বিষয় দেখভাল করায় আয়করের বিষয়টি মনোযোগ হারায় বলে অনেকে মনে করেন।
যেহেতু দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বেসরকারি খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটছে, অথচ আয়কর আদায়ের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, তাই এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারির জন্য একটি বিশেষায়িত ইউনিট করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে এনবিআর। সিইআইসি রাজস্ব ফাঁকি নিয়ে কাজ করলেও এক-এগারোর সরকারের পরে এই খাতে বড় কোনো সাফল্য দেখা যায়নি।
তাই আয়কর থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এবং ফাঁকি কমিয়ে এই খাতে আরও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় এনবিআর নতুন এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আর নতুন এই গোয়েন্দা ইউনিট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এর মাধ্যমে যাতে করদাতাদের ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান অর্থনীতিবিদদের।
জানা গেছে, ভারতের অর্থনৈতিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। কর ফাঁকি বন্ধে বেশ সুনামের সঙ্গে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সংস্থার আদলে কাজ করবেন দেশের আয়কর গোয়েন্দারা। তথ্যানুসন্ধান বলছে, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানও যথাযথ নিয়মে আয়কর দিতে সময়ক্ষেপণ ও গড়িমসি করে। নতুন গোয়েন্দা ইউনিট এই পথ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর। শুল্ক গোয়েন্দার মতোই কাজ করবেন আয়কর গোয়েন্দারা।
এ বিষয়ে জানতে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও আয়কর বিভাগের আলাদা গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। বাংলাদেশেও এমন একটি ইউনিট এখন সময়ের দাবি। সব প্রস্তুতি শেষে শিগগির যাত্রা শুরু করবে নতুন এই গোয়েন্দা ইউনিট।
এনবিআর সূত্র জানায়, এনবিআরের মূল গোয়েন্দা ইউনিট সিআইসি। এই ইউনিট শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর খাতের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধে কাজ করে। এর বাইরে শুল্ক খাতের জন্য শুল্ক গোয়েন্দা এবং ভ্যাটের জন্য ভ্যাট গোয়েন্দা কাজ করে। শুধু আয়কর খাতের পৃথক কোনো গোয়েন্দা ইউনিট নেই।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়কে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা ইউনিট একটা হতেই পারে। আমাদের মূলত দরকার করনেট সম্প্রসারণ। সে জন্য তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধানের কাজে লাগালে ঠিক আছে। তবে এর উদ্দেশ্য যদি হয় পুরোনো করদাতাদের চেপে ধরা, তাহলে এটা হয়রানি ছাড়া কিছু হবে না।’
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে