অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এখন বহুল চর্চিত নাম। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে আসা মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে অভূতপূর্ব প্রাণহানি ঘটিয়েছে। তার সঙ্গে রেখে গেছে অর্থনৈতিক সংকট। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইএমএফের নাম যতবার উচ্চারিত হয়েছে, তা আর কখনো হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সৃষ্ট যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে টালমাটাল করে দিয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে বিপর্যয় সব দেশকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। আমদানি ব্যয় বাড়ায় বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দেশ। এমন পরিস্থিতিতে শেষ আশ্রয় আইএমএফ। বাংলাদেশও এর আশ্রয় নিয়েছে, সম্প্রতি ঋণও পেয়েছে।
কিন্তু এই ঋণ যেসব শর্ত দিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা শুধু এখনকার নয়, আগেও ছিল বিশ্বজুড়ে। আইএমএফ তৈরির সময় থেকেই তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ সমালোচনা চলছে।
অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাহায্য করে না কি, বিকল্প উপায়গুলোর চেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে তা জানা কঠিন। এ ক্ষেত্রে একেক দেশের অভিজ্ঞতা একেক রকম। তা ছাড়া আইএমএফ কঠোর শর্ত দেয় বলেও সমালোচনা আছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।
আইএমএফ কী?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১৯০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ১৯৪৪ সালে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। যেকোনো দেশ এর সদস্য হতে পারে। তার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের অর্থনীতির নানা তথ্য এবং একটা মোটা অঙ্কের অর্থ (কোটা চাঁদা) সংস্থাটিকে দিতে হয়। যে দেশের অর্থনীতি যত বড়, সে দেশকে তত বেশি অর্থ দিতে হয়।
অর্থনীতিতে নজরদারি ও সহায়তার জন্য আইএমএফ প্রধান তিনটি কাজ করে—
১. অর্থনৈতিক ও আর্থিক ঘটনাগুলোতে চোখ রাখা; অর্থনীতির পাশাপাশি বাণিজ্য বিষয়ে বিবাদের মতো সম্ভাব্য ঝুঁকির ওপরও নজর রাখে।
২. অর্থনীতি মজবুত করতে উপদেশ দেয়।
৩. সংকটে পড়া দেশগুলোকে স্বল্পমেয়াদি ঋণসহ নানা ধরনের সহায়তা দেয়।
আইএমএফকে দেওয়া দেশগুলোর চাঁদা থেকেই এই ঋণ দেওয়া হয়। আইএমএফের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঋণ ৫৭ বিলিয়ন ডলার ২০১৮ সালে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে আইএমএফ সব সদস্য দেশ মিলে মোট ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলার ঋণ দিতে পারে।
আইএমএফের প্রধান অর্জন
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফকে অনেক সময় ‘নিরুপায়ের শেষ আশ্রয়’ হিসেবে ধরা হয়। সংকটের সময় দেশগুলো আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যক্ষ বেঞ্জামিন ফ্রিডম্যান মনে করেন, আইএমএফের এসব ঋণ আদৌ কোনো দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাহায্য করে না কি, বিকল্প উপায়গুলোর চেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে—তা আসলেই জানা কঠিন।
তবে আশির দশকের শুরুতে মেক্সিকো ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা প্রকাশের পরও সহায়তা করে যাওয়ায় অনেকে আইএমএফের প্রশংসা করে থাকেন।
এরপর ব্রাজিলও ২০০২ সালে আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে এনেছিল। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই দেশটির সব ঋণ শোধ করেছিল।
আইএমএফের সমালোচনা
অর্থনৈতিক মন্দায় পড়া দেশগুলোকে ঋণ দেওয়ার সময় আইএমএফ যেসব শর্ত দেয়, তা কঠোর বলে আইএমএফের সমালোচনা আছে। এসব শর্তের মধ্যে আছে—সরকারি ঋণ কমানো, করপোরেট কর কমানো এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করা।
২০০৯ সালে গ্রিসে অর্থনৈতিক মন্দা এত তীব্র হয় যে দেশটি দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়ে। আইএমএফ কঠোর সব নীতি মানার পর গ্রিসকে ঋণ দেয়। নীতিগুলো এতই কঠোর ছিল যে গ্রিসকে অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।
সরকারি ঋণ নেওয়া কমানোর মতো আইএমএফের সব কঠোর নীতি বাস্তবায়নের ফলে গ্রিসের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল বলে সমালোচকেরা বলে থাকেন।
আইএমএফ চালায় কারা?
২০১৯ সাল থেকে আইএমএফের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এর আগে এই অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংকের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ বুলগেরিয়া থেকে প্রথম আইএমএফের প্রধান হন জর্জিয়েভা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রীতি মেনে একজন ইউরোপীয় আইএমএফের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হন।
কেন আইএমএফ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আইএমএফের যাত্রা শুরু। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা, স্থিতিশীল বিনিয়োগ ব্যবস্থা ও ভেঙে পড়া ইউরোপীয় অর্থনীতি পুনর্গঠনে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়।
পরবর্তী সময় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক এসব লক্ষ্য পূরণে কাজ শুরু করে। এ লক্ষ্যে আইএমএফ অর্থ বিনিময়ের নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে, যা ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
আইএমএফ-বাংলাদেশ সম্পর্ক
১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশে আইএমএফে যোগদান করে এবং ১৯৯৪ সালের ১১ এপ্রিল আর্টিকেল ৮-এর ধারা ২, ৩ ও ৪-এর অধীনে বাধ্যবাধকতায় সম্মত হয়। আইএমএফ ঋণ দেয় তার নিজস্ব সম্পদের বিশেষ হিসাব থেকে, যাকে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআর বলা হয় (১ এসডিআর সমান প্রায় ১ দশমিক ৩৫৩৫৫০)।
আইএমএফে বাংলাদেশের কোটা আছে ১ হাজার ৬৬ মিলিয়ন এসডিআর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ নিট ঋণ ছিল ৬৩০ দশমিক ৮২ মিলিয়ন।
অনুবাদ: আব্দুল বাসেদ, সূত্র: বিবিসি, আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এখন বহুল চর্চিত নাম। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে আসা মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে অভূতপূর্ব প্রাণহানি ঘটিয়েছে। তার সঙ্গে রেখে গেছে অর্থনৈতিক সংকট। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইএমএফের নাম যতবার উচ্চারিত হয়েছে, তা আর কখনো হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সৃষ্ট যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে টালমাটাল করে দিয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে বিপর্যয় সব দেশকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। আমদানি ব্যয় বাড়ায় বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দেশ। এমন পরিস্থিতিতে শেষ আশ্রয় আইএমএফ। বাংলাদেশও এর আশ্রয় নিয়েছে, সম্প্রতি ঋণও পেয়েছে।
কিন্তু এই ঋণ যেসব শর্ত দিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা শুধু এখনকার নয়, আগেও ছিল বিশ্বজুড়ে। আইএমএফ তৈরির সময় থেকেই তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ সমালোচনা চলছে।
অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আইএমএফের ঋণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাহায্য করে না কি, বিকল্প উপায়গুলোর চেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে তা জানা কঠিন। এ ক্ষেত্রে একেক দেশের অভিজ্ঞতা একেক রকম। তা ছাড়া আইএমএফ কঠোর শর্ত দেয় বলেও সমালোচনা আছে। এসব প্রেক্ষাপট বিবিসি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।
আইএমএফ কী?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১৯০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ১৯৪৪ সালে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। যেকোনো দেশ এর সদস্য হতে পারে। তার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের অর্থনীতির নানা তথ্য এবং একটা মোটা অঙ্কের অর্থ (কোটা চাঁদা) সংস্থাটিকে দিতে হয়। যে দেশের অর্থনীতি যত বড়, সে দেশকে তত বেশি অর্থ দিতে হয়।
অর্থনীতিতে নজরদারি ও সহায়তার জন্য আইএমএফ প্রধান তিনটি কাজ করে—
১. অর্থনৈতিক ও আর্থিক ঘটনাগুলোতে চোখ রাখা; অর্থনীতির পাশাপাশি বাণিজ্য বিষয়ে বিবাদের মতো সম্ভাব্য ঝুঁকির ওপরও নজর রাখে।
২. অর্থনীতি মজবুত করতে উপদেশ দেয়।
৩. সংকটে পড়া দেশগুলোকে স্বল্পমেয়াদি ঋণসহ নানা ধরনের সহায়তা দেয়।
আইএমএফকে দেওয়া দেশগুলোর চাঁদা থেকেই এই ঋণ দেওয়া হয়। আইএমএফের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঋণ ৫৭ বিলিয়ন ডলার ২০১৮ সালে পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে আইএমএফ সব সদস্য দেশ মিলে মোট ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলার ঋণ দিতে পারে।
আইএমএফের প্রধান অর্জন
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফকে অনেক সময় ‘নিরুপায়ের শেষ আশ্রয়’ হিসেবে ধরা হয়। সংকটের সময় দেশগুলো আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যক্ষ বেঞ্জামিন ফ্রিডম্যান মনে করেন, আইএমএফের এসব ঋণ আদৌ কোনো দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে সাহায্য করে না কি, বিকল্প উপায়গুলোর চেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে—তা আসলেই জানা কঠিন।
তবে আশির দশকের শুরুতে মেক্সিকো ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা প্রকাশের পরও সহায়তা করে যাওয়ায় অনেকে আইএমএফের প্রশংসা করে থাকেন।
এরপর ব্রাজিলও ২০০২ সালে আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে এনেছিল। নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই দেশটির সব ঋণ শোধ করেছিল।
আইএমএফের সমালোচনা
অর্থনৈতিক মন্দায় পড়া দেশগুলোকে ঋণ দেওয়ার সময় আইএমএফ যেসব শর্ত দেয়, তা কঠোর বলে আইএমএফের সমালোচনা আছে। এসব শর্তের মধ্যে আছে—সরকারি ঋণ কমানো, করপোরেট কর কমানো এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করা।
২০০৯ সালে গ্রিসে অর্থনৈতিক মন্দা এত তীব্র হয় যে দেশটি দেউলিয়া হওয়ার মুখে পড়ে। আইএমএফ কঠোর সব নীতি মানার পর গ্রিসকে ঋণ দেয়। নীতিগুলো এতই কঠোর ছিল যে গ্রিসকে অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।
সরকারি ঋণ নেওয়া কমানোর মতো আইএমএফের সব কঠোর নীতি বাস্তবায়নের ফলে গ্রিসের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল বলে সমালোচকেরা বলে থাকেন।
আইএমএফ চালায় কারা?
২০১৯ সাল থেকে আইএমএফের প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। এর আগে এই অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংকের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ বুলগেরিয়া থেকে প্রথম আইএমএফের প্রধান হন জর্জিয়েভা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রীতি মেনে একজন ইউরোপীয় আইএমএফের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হন।
কেন আইএমএফ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আইএমএফের যাত্রা শুরু। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
যুদ্ধপরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা, স্থিতিশীল বিনিয়োগ ব্যবস্থা ও ভেঙে পড়া ইউরোপীয় অর্থনীতি পুনর্গঠনে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়।
পরবর্তী সময় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক এসব লক্ষ্য পূরণে কাজ শুরু করে। এ লক্ষ্যে আইএমএফ অর্থ বিনিময়ের নির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে, যা ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
আইএমএফ-বাংলাদেশ সম্পর্ক
১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশে আইএমএফে যোগদান করে এবং ১৯৯৪ সালের ১১ এপ্রিল আর্টিকেল ৮-এর ধারা ২, ৩ ও ৪-এর অধীনে বাধ্যবাধকতায় সম্মত হয়। আইএমএফ ঋণ দেয় তার নিজস্ব সম্পদের বিশেষ হিসাব থেকে, যাকে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআর বলা হয় (১ এসডিআর সমান প্রায় ১ দশমিক ৩৫৩৫৫০)।
আইএমএফে বাংলাদেশের কোটা আছে ১ হাজার ৬৬ মিলিয়ন এসডিআর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ নিট ঋণ ছিল ৬৩০ দশমিক ৮২ মিলিয়ন।
অনুবাদ: আব্দুল বাসেদ, সূত্র: বিবিসি, আইএমএফ
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে