আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের বাজারে গত এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি ৮ টাকা ও ভোজ্যতেল ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ পণ্য দুটির কোনো সংকট নেই বাজারে। এমনকি চাহিদার তুলনায় আমদানিও বেশি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমদানির চিত্রটি উঠে এসেছে। দাম বাড়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিলমালিকদের দায়ী করছেন। মিলমালিকেরা আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা রয়েছে ১৭-১৮ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত চিনি উৎপাদন হয়েছে ৬৯ হাজার ৫০০ টন। অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন। একই সময়ে পরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ৩১ হাজার ৭৮২ টন।
এ ছাড়া দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৮-২০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত দেশে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আর জুন পর্যন্ত পরিশোধিত-অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে মোট ১৬ লাখ ২৫ হাজার ১৯০ টন। একই সময়ে দেশে সয়াবিন বীজ আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে, ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০২ ডলারে। এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ১৩১ ডলার। অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ২০ আগস্টে ছিল ১ হাজার ১৫০ ডলার এবং এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ৩২ ডলার। অপরিশোধিত চিনি ছিল ৪৩৮ ডলার এবং এক মাস আগে ছিল ৩৯৬ ডলার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, চিনি পরিশোধনে ক্ষতি হচ্ছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ভোজ্যতেলে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যান্য খরচ একেক মিলে একেক ধরনের বলে ট্যারিফ কমিশন জানায়।
বাজারে তেল-চিনির পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি মিলমালিক বা আমদানিকারকদের দায়ী করছে। সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম জানান, মিল থেকে তাঁরা যে দামে পণ্য পান, কিছু মুনাফা রেখে তা বিক্রি করেন। বাজারে খুচরা পর্যায়ের চেয়ে বেশি দামে চিনির দাম হাঁকাচ্ছেন মিলমালিকেরা। তাঁরা প্রতি কেজি চিনির দাম হাঁকাচ্ছেন ৮০ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে বর্তমানে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়।
চিনি ও ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে কেনা হচ্ছে, সে অনুযায়ী পরিশোধন করে তাঁরা বিক্রি করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই প্রতি কেজি চিনির দাম ৮০ টাকা বলছে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বুধবার প্রতি কেজি চিনি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৩-৭৫ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৬৮-৭০ টাকা। দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। পাম তেলে বেড়েছে ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে। এরপরও বিষয়টা কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে।’
দেশের বাজারে গত এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি ৮ টাকা ও ভোজ্যতেল ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ পণ্য দুটির কোনো সংকট নেই বাজারে। এমনকি চাহিদার তুলনায় আমদানিও বেশি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমদানির চিত্রটি উঠে এসেছে। দাম বাড়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিলমালিকদের দায়ী করছেন। মিলমালিকেরা আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা রয়েছে ১৭-১৮ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত চিনি উৎপাদন হয়েছে ৬৯ হাজার ৫০০ টন। অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন। একই সময়ে পরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ৩১ হাজার ৭৮২ টন।
এ ছাড়া দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৮-২০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত দেশে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আর জুন পর্যন্ত পরিশোধিত-অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে মোট ১৬ লাখ ২৫ হাজার ১৯০ টন। একই সময়ে দেশে সয়াবিন বীজ আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে, ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০২ ডলারে। এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ১৩১ ডলার। অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ২০ আগস্টে ছিল ১ হাজার ১৫০ ডলার এবং এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ৩২ ডলার। অপরিশোধিত চিনি ছিল ৪৩৮ ডলার এবং এক মাস আগে ছিল ৩৯৬ ডলার।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, চিনি পরিশোধনে ক্ষতি হচ্ছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ভোজ্যতেলে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যান্য খরচ একেক মিলে একেক ধরনের বলে ট্যারিফ কমিশন জানায়।
বাজারে তেল-চিনির পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি মিলমালিক বা আমদানিকারকদের দায়ী করছে। সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম জানান, মিল থেকে তাঁরা যে দামে পণ্য পান, কিছু মুনাফা রেখে তা বিক্রি করেন। বাজারে খুচরা পর্যায়ের চেয়ে বেশি দামে চিনির দাম হাঁকাচ্ছেন মিলমালিকেরা। তাঁরা প্রতি কেজি চিনির দাম হাঁকাচ্ছেন ৮০ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে বর্তমানে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়।
চিনি ও ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে কেনা হচ্ছে, সে অনুযায়ী পরিশোধন করে তাঁরা বিক্রি করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই প্রতি কেজি চিনির দাম ৮০ টাকা বলছে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বুধবার প্রতি কেজি চিনি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৩-৭৫ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৬৮-৭০ টাকা। দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। পাম তেলে বেড়েছে ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে। এরপরও বিষয়টা কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৬ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১৩ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১৩ ঘণ্টা আগে