শাহ আলম খান
অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। সার্বিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল সোমবার তাঁর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
আজকের পত্রিকা: ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন সরকারের পালাবদল হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথে দেশ। তারা যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, এই নতুন সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
ড. আহসান এইচ মনসুর: অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের কাছে মোটাদাগে আমার প্রত্যাশা থাকবে—সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নজর এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে দ্রুত কাজ শুরু করা। তবে সেটি করতে হলে সবার আগে চলমান সংঘাত-সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাঙচুর দ্রুত বন্ধ করতে হবে। জনমনে সৃষ্ট ভয়-আতঙ্ক দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনায় জোর দিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কোটা আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি ইতিমধ্যে দুই দফায় আক্রান্ত হয়েছে এবং বড় রকমের ক্ষতির শিকার হয়েছে। নতুন সরকার সেটি কতটা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে বলে আপনি মনে করেন?
ড. আহসান এইচ মনসুর: দেশে একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত রয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, আস্থা ও ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ দিতে পারলে এই অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য নতুন সরকারকে সঠিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তীক্ষ্ণ নজর ও দুর্নীতি রোধে বিশেষ মনঃসংযোগ জরুরি। কঠোরভাবে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন নীতি বজায় রাখতে হবে। তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে, যা অর্থনীতিতে বাড়তি প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সহায়ক হবে।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাহলে...?
ড. আহসান এইচ মনসুর: হ্যাঁ, এটা ঠিক। এই জার্নিতে অনেক দিক থেকে চ্যালেঞ্জ আসবে। ভালো কিছু করতে গেলে এই চ্যালেঞ্জ থাকবেই। বিশেষত পলিটিক্যাল চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু জনমনের ভাষাও বুঝতে হবে। তাই তো একটি পরিবর্তন ঘটেছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অথবা নতুন সরকার উভয়কেই এসব চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে কোথায় কী ধরনের পদক্ষেপ জরুরি?
ড. আহসান এইচ মনসুর: এককথায় বলব, সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন জরুরি। আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে এর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ব্যাংক খাত, রাজস্ব খাত, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান সংস্কার আনতে হবে। এতে অর্থ পাচার, ব্যাংকের টাকা লুট, খেলাপি ঋণের প্রবণতায়ও একটা লাগাম পড়বে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতিও অনেকাংশেই কমিয়ে আনবে। তবে শেষ কথা হলো, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ভেতরও একটা রিফর্মস মাইন্ড থাকতে হবে। যেভাবে দেশ চলছে, এভাবে তো আর চলতে পারে না। এর যদি পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে সরকার পরিবর্তন বা নতুন সরকার গঠন করে কী লাভ হবে?
আজকের পত্রিকা: নেতিবাচক প্রচারণা ও অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমে গেছে, এটা বাড়ানোর উপায় কী?
ড. আহসান এইচ মনসুর: রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমে গেছে, এটা সত্য। তবে সময়টা প্রলম্বিত হলে হয়তো এর সঙ্গে অর্থ পাচার প্রবণতাও বেড়ে যেত। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে এই অর্থ পাচারের মিছিলে অনেকেই শামিল হতো। কিন্তু এখন সরকারের পালা বদল হয়েছে। ওই ইস্যুও শেষ হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, এর ফলে দেশের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতিতে একটা আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। নেতিবাচক প্রচারণা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। প্রবাসী এবং বিদেশিরাও বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাবে। এই আস্থা, স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক বার্তার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশে ফের রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকবে। একইভাবে রপ্তানি আয়েও একটা গতি আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। সার্বিক বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল সোমবার তাঁর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
আজকের পত্রিকা: ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন সরকারের পালাবদল হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথে দেশ। তারা যেভাবেই কাজ শুরু করুক না কেন, এই নতুন সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
ড. আহসান এইচ মনসুর: অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের কাছে মোটাদাগে আমার প্রত্যাশা থাকবে—সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নজর এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে দ্রুত কাজ শুরু করা। তবে সেটি করতে হলে সবার আগে চলমান সংঘাত-সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাঙচুর দ্রুত বন্ধ করতে হবে। জনমনে সৃষ্ট ভয়-আতঙ্ক দূর করে শান্তি ফিরিয়ে আনায় জোর দিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কোটা আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি ইতিমধ্যে দুই দফায় আক্রান্ত হয়েছে এবং বড় রকমের ক্ষতির শিকার হয়েছে। নতুন সরকার সেটি কতটা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবে বলে আপনি মনে করেন?
ড. আহসান এইচ মনসুর: দেশে একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত রয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, আস্থা ও ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ দিতে পারলে এই অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এর জন্য নতুন সরকারকে সঠিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে। বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তীক্ষ্ণ নজর ও দুর্নীতি রোধে বিশেষ মনঃসংযোগ জরুরি। কঠোরভাবে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন নীতি বজায় রাখতে হবে। তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলবে, যা অর্থনীতিতে বাড়তি প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সহায়ক হবে।
আজকের পত্রিকা: এ ক্ষেত্রে তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাহলে...?
ড. আহসান এইচ মনসুর: হ্যাঁ, এটা ঠিক। এই জার্নিতে অনেক দিক থেকে চ্যালেঞ্জ আসবে। ভালো কিছু করতে গেলে এই চ্যালেঞ্জ থাকবেই। বিশেষত পলিটিক্যাল চ্যালেঞ্জ আসবে, কিন্তু জনমনের ভাষাও বুঝতে হবে। তাই তো একটি পরিবর্তন ঘটেছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অথবা নতুন সরকার উভয়কেই এসব চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে কোথায় কী ধরনের পদক্ষেপ জরুরি?
ড. আহসান এইচ মনসুর: এককথায় বলব, সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন জরুরি। আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে এর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ব্যাংক খাত, রাজস্ব খাত, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান সংস্কার আনতে হবে। এতে অর্থ পাচার, ব্যাংকের টাকা লুট, খেলাপি ঋণের প্রবণতায়ও একটা লাগাম পড়বে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতিও অনেকাংশেই কমিয়ে আনবে। তবে শেষ কথা হলো, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ভেতরও একটা রিফর্মস মাইন্ড থাকতে হবে। যেভাবে দেশ চলছে, এভাবে তো আর চলতে পারে না। এর যদি পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে সরকার পরিবর্তন বা নতুন সরকার গঠন করে কী লাভ হবে?
আজকের পত্রিকা: নেতিবাচক প্রচারণা ও অস্থিতিশীলতার কারণে দেশে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমে গেছে, এটা বাড়ানোর উপায় কী?
ড. আহসান এইচ মনসুর: রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমে গেছে, এটা সত্য। তবে সময়টা প্রলম্বিত হলে হয়তো এর সঙ্গে অর্থ পাচার প্রবণতাও বেড়ে যেত। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে এই অর্থ পাচারের মিছিলে অনেকেই শামিল হতো। কিন্তু এখন সরকারের পালা বদল হয়েছে। ওই ইস্যুও শেষ হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, এর ফলে দেশের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতিতে একটা আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। নেতিবাচক প্রচারণা অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। প্রবাসী এবং বিদেশিরাও বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাবে। এই আস্থা, স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক বার্তার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশে ফের রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকবে। একইভাবে রপ্তানি আয়েও একটা গতি আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১৩ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগে