নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করযোগ্যদের অর্ধেক এখনো প্রত্যক্ষ করজালের বাইরে থাকলেও বিগত এক যুগে ক্রমান্বয়ে বেড়ে আয়কর প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় তিন গুণ। চলতি বছরের জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয়কর এসেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৯২ কোটি, যা এক যুগ আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ২৯ হাজার ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ। অর্থাৎ এই সময়ে প্রত্যক্ষ আয়কর আহরণ বেড়েছে ৮২ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ২৮৪ শতাংশ।
‘নতুন আয়কর আইন এবং কর পরিপালন: পরিবর্তিত প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় আয়কর দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করনীতি বিভাগের সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. সামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আমাদের ধারণা, ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসা উচিত। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন। অর্থাৎ কর প্রদানে সক্ষম ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তিকে করজালের আওতায় আনতে পারলে আয়কর রিটার্ন ৫০ শতাংশে উন্নীত হওয়া সম্ভব।’
এ বিষয়ে সভাপতির বক্তব্যে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘এ মুহূর্তেই আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী ১ কোটি হওয়া উচিত। সেখানে আমরা ৩০-৩৫ লাখে আছি।’
আগে করদাতার অনীহা, ভয়, শঙ্কা দূর করতে হবে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর কেন দিতে হবে, তা মানুষকে বোঝাতে হবে। কর দিলে আপনি পাবেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এটিই সবাইকে বোঝাতে হবে।
একই পরামর্শ আসে প্রধান অতিথি আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিনের কাছ থেকেও। তিনি বলেন, ‘মানুষকে অভয় দিয়ে, মানুষকে গিয়ে যদি বলতে পারি, ট্যাক্স দেওয়া তোমার দায়িত্ব, ট্যাক্স দিলে কী হবে, না দিলে কী ক্ষতি হবে, তাহলে সে ট্যাক্স দেবে।’
গত পাঁচ দশকে মোট রাজস্বে প্রত্যক্ষ কর ক্রমান্বয়ে প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে উঠে এসেছে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে। অথচ ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের অবদান ছিল ২৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তারও এক দশক আগে ২০০০-০১ অর্থবছরে তা ছিল ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মূল প্রবন্ধে এনবিআর সদস্য ড. শামস দেখান, ২০১৩ সালে অনলাইন টিআইএন চালু হয়। প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্নের (পিএসআর) মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআইএন গ্রহণের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে মোট টিআইএন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ ৩ হাজার ২০৬-এ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৯।
করযোগ্যদের অর্ধেক এখনো প্রত্যক্ষ করজালের বাইরে থাকলেও বিগত এক যুগে ক্রমান্বয়ে বেড়ে আয়কর প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় তিন গুণ। চলতি বছরের জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয়কর এসেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৯২ কোটি, যা এক যুগ আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ২৯ হাজার ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ। অর্থাৎ এই সময়ে প্রত্যক্ষ আয়কর আহরণ বেড়েছে ৮২ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ২৮৪ শতাংশ।
‘নতুন আয়কর আইন এবং কর পরিপালন: পরিবর্তিত প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় আয়কর দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করনীতি বিভাগের সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. সামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আমাদের ধারণা, ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসা উচিত। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন। অর্থাৎ কর প্রদানে সক্ষম ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তিকে করজালের আওতায় আনতে পারলে আয়কর রিটার্ন ৫০ শতাংশে উন্নীত হওয়া সম্ভব।’
এ বিষয়ে সভাপতির বক্তব্যে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘এ মুহূর্তেই আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী ১ কোটি হওয়া উচিত। সেখানে আমরা ৩০-৩৫ লাখে আছি।’
আগে করদাতার অনীহা, ভয়, শঙ্কা দূর করতে হবে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর কেন দিতে হবে, তা মানুষকে বোঝাতে হবে। কর দিলে আপনি পাবেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এটিই সবাইকে বোঝাতে হবে।
একই পরামর্শ আসে প্রধান অতিথি আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিনের কাছ থেকেও। তিনি বলেন, ‘মানুষকে অভয় দিয়ে, মানুষকে গিয়ে যদি বলতে পারি, ট্যাক্স দেওয়া তোমার দায়িত্ব, ট্যাক্স দিলে কী হবে, না দিলে কী ক্ষতি হবে, তাহলে সে ট্যাক্স দেবে।’
গত পাঁচ দশকে মোট রাজস্বে প্রত্যক্ষ কর ক্রমান্বয়ে প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে উঠে এসেছে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে। অথচ ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের অবদান ছিল ২৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তারও এক দশক আগে ২০০০-০১ অর্থবছরে তা ছিল ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মূল প্রবন্ধে এনবিআর সদস্য ড. শামস দেখান, ২০১৩ সালে অনলাইন টিআইএন চালু হয়। প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্নের (পিএসআর) মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআইএন গ্রহণের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে মোট টিআইএন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ ৩ হাজার ২০৬-এ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৯।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৯ মিনিট আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১৬ মিনিট আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৩২ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে