নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম। রমজানের প্রথম দিনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পালে যেন হাওয়া লেগেছে। এতে বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই না কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, তেল,পরিবহন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির ফলে তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রির চ্যালেঞ্জ নিয়ে এখন তারা অসহায়।
আজ রোববার রাজধানীর খিলগাঁও, সিপাহিবাগ, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও গুলিস্তানের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজি, ফল, মাংসের অত্যধিক দামের কারণে অনেক ক্রেতাই কিনতে পারছেন না। অনেকেই এক কেজির পরিবর্তে কিনছেন আধা কেজি। আবার অনেকে প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ও বেগুণ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লেবুর ডজন ১২০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও করলা ৬০ টাকা কেজি। ছোলা ৮০ টাকা এবং চিনি ৮৫ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
খেজুরের একাধিক দোকানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে দাম কষাকষির দৃশ্য দেখা গেলেও অনেকেই দাম অনুযায়ী কিনতে পারছেন না। মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আহসানুল হাফিজ বলেন, ‘খেজুরের দাম অনেক বেশি। যেমন খেজুর চাচ্ছি তা দামে কুলাচ্ছে না। যা দামে কুলাচ্ছে সেগুলো কিনতে চাচ্ছি না। অনেকগুলো দোকান ঘুরলাম। সবাই একই দামে অনড়৷ মনে হচ্ছে জিম্মি হয়ে গেলাম।’
পাঁকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কলা ডজন ৮০ থেকে ১২০ টাকা। সিপাহিবাগ বাজারে তরমুজ কিনতে আসা সালেহা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি হইলে একটা তরমুজের দাম পড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। তাই ছোট খুঁজতেছি। কিন্তু ছোট যে ভালো হবে না তা সবাই জানে। বড়টা কেনার সাধ্য নাই।’
শাহজাহানপুরে গরুর মাংস কিনতে এসেছিলেন জামিল আহমেদ। ৭০০ টাকা কেজি শুনে ধাতস্থ হতে সময় নিলেন কিছুক্ষণ। তারপর হাঁফ ছেড়ে মুরগির দোকানে ঢুকলে। তিনি জানান, রমজানের প্রথম দিনে ছেলে গরুর মাংস খাওয়ার আবদার করেছে। তিনি বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম শুনে আর দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। এখনো বেতন হয়নি তাই মুরগি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ছেলেকে আজকে এটা দিয়েই বুঝ দিতে হবে।’
কিছুদিন আগেও গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৯৫০ টাকা কেজি। দুধ, ডিম ও মাংস স্বল্পমূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার রাজধানীর ১৪টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
ক্রেতাদের ভোগান্তির চিত্রের বিপরীতে আছে বিক্রেতাদের অসহায়ত্বের চিত্রও। বিক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে আছেন তারাও। এসব ব্যবসা ছেড়ে যাওয়ারও কোনো পথ নেই তাদের। তাই বিভিন্ন পক্ষের কাছে অসহায় তারা।
মতিঝিলের ফল ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাম যতই বাড়ুক, আমরা কোনো দিনই ২০ টাকা লাভ করতে পারি না। দাম বাড়লে আমাদের লাভ বেশি হয় না। কিছু ক্ষেত্রে আরও কমে। সবদিকে সিন্ডিকেট, রাস্তায় আনতে জায়গায় জায়গায় টোল দেওয়া লাগে। এমন চলতে থাকলে দাম বাড়তে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যে পারবে বড় নেবে, বেশি নেবে। যে পারে না ছোট নেবে, কম নেবে। এ ছাড়া আর উপায় নাই।’
দীর্ঘদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের দাম। রমজানের প্রথম দিনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পালে যেন হাওয়া লেগেছে। এতে বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই না কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, তেল,পরিবহন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির ফলে তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রির চ্যালেঞ্জ নিয়ে এখন তারা অসহায়।
আজ রোববার রাজধানীর খিলগাঁও, সিপাহিবাগ, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও গুলিস্তানের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজি, ফল, মাংসের অত্যধিক দামের কারণে অনেক ক্রেতাই কিনতে পারছেন না। অনেকেই এক কেজির পরিবর্তে কিনছেন আধা কেজি। আবার অনেকে প্রয়োজনীয় পণ্য না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ও বেগুণ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লেবুর ডজন ১২০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও করলা ৬০ টাকা কেজি। ছোলা ৮০ টাকা এবং চিনি ৮৫ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
খেজুরের একাধিক দোকানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে দাম কষাকষির দৃশ্য দেখা গেলেও অনেকেই দাম অনুযায়ী কিনতে পারছেন না। মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আহসানুল হাফিজ বলেন, ‘খেজুরের দাম অনেক বেশি। যেমন খেজুর চাচ্ছি তা দামে কুলাচ্ছে না। যা দামে কুলাচ্ছে সেগুলো কিনতে চাচ্ছি না। অনেকগুলো দোকান ঘুরলাম। সবাই একই দামে অনড়৷ মনে হচ্ছে জিম্মি হয়ে গেলাম।’
পাঁকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কলা ডজন ৮০ থেকে ১২০ টাকা। সিপাহিবাগ বাজারে তরমুজ কিনতে আসা সালেহা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি হইলে একটা তরমুজের দাম পড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। তাই ছোট খুঁজতেছি। কিন্তু ছোট যে ভালো হবে না তা সবাই জানে। বড়টা কেনার সাধ্য নাই।’
শাহজাহানপুরে গরুর মাংস কিনতে এসেছিলেন জামিল আহমেদ। ৭০০ টাকা কেজি শুনে ধাতস্থ হতে সময় নিলেন কিছুক্ষণ। তারপর হাঁফ ছেড়ে মুরগির দোকানে ঢুকলে। তিনি জানান, রমজানের প্রথম দিনে ছেলে গরুর মাংস খাওয়ার আবদার করেছে। তিনি বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম শুনে আর দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। এখনো বেতন হয়নি তাই মুরগি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ছেলেকে আজকে এটা দিয়েই বুঝ দিতে হবে।’
কিছুদিন আগেও গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৯৫০ টাকা কেজি। দুধ, ডিম ও মাংস স্বল্পমূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার রাজধানীর ১৪টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
ক্রেতাদের ভোগান্তির চিত্রের বিপরীতে আছে বিক্রেতাদের অসহায়ত্বের চিত্রও। বিক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে আছেন তারাও। এসব ব্যবসা ছেড়ে যাওয়ারও কোনো পথ নেই তাদের। তাই বিভিন্ন পক্ষের কাছে অসহায় তারা।
মতিঝিলের ফল ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দাম যতই বাড়ুক, আমরা কোনো দিনই ২০ টাকা লাভ করতে পারি না। দাম বাড়লে আমাদের লাভ বেশি হয় না। কিছু ক্ষেত্রে আরও কমে। সবদিকে সিন্ডিকেট, রাস্তায় আনতে জায়গায় জায়গায় টোল দেওয়া লাগে। এমন চলতে থাকলে দাম বাড়তে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যে পারবে বড় নেবে, বেশি নেবে। যে পারে না ছোট নেবে, কম নেবে। এ ছাড়া আর উপায় নাই।’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
৩ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
৬ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে