অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন সংস্থা আঙ্কটাডের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেছেন, বিশ্ব বর্তমানে একটি ঋণ সংকটের মধ্যে আছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো ঋণ সংকটের কারণে ভয়াবহভাবে ভুগছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত সহজলভ্য উপায়ে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তিনি এই সংকট উত্তরণে ধনীদের দায়িত্ব আছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, গরিব দেশগুলো যে ঋণ সংকটে ভুগছে তা অনেকটাই ‘রিভার্স ব্লাড ট্রান্সফিউশনের’ মতো। এই প্রক্রিয়ায় মূলত, রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে নেওয়া হয় এবং আরেক পাশ দিয়ে প্লাজমা দেওয়া হয়। রেবেকা বলেন, ‘এই অবস্থায়, যে দেশের টাকা প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে যাদের প্রয়োজন নেই তাদের কাছে যাচ্ছে।’
আঙ্কটাডের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে যে পরিমাণ ঋণ সহায়তা পেয়েছে তার চেয়ে প্রায় ৫০০০ কোটি ডলার বেশি পরিমাণ অর্থের ঋণ পরিশোধ করেছে। এ বিষয়ে রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, ‘আমাদের যে বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার তা হলো—বাজার সংকটে নেই, সংকটে আছে মানুষ। আমরা ঋণ সংকটের মধ্যে আছি।’
রেবেকার মতে, ছোট ও মাঝারি অর্থনীতির দেশগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলেও তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় আছে। তিনি বলেন, ‘তারা এমন এক অবস্থায় আছে যেখানে তারা নিজ জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষার উন্নয়নের ব্যয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করছে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে।’ তিনি বলেন, আঙ্কটাডের অনুমান, বর্তমান বিশ্বে অন্তত ৫২টি দেশ ঋণে জর্জরিত অথবা সেই পথেই আছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক বৈঠকে বর্তমান ঋণ সংকট উত্তরণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান রেবেকা। এর আগে, তিনি জি-২০ সম্মেলন এবং জাতিসংঘেও ঋণ সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া গ্রিনস্প্যান রাশিয়ার সার বিশ্ববাজারে উন্মুক্ত করার বিষয়েও কাজ করেছেন।
গরিব দেশগুলোর ঋণ সংকট সমাধানে অসংখ্যবার প্রচেষ্টা করা হলেও এটি এত জটিল ও ধীর যে, এতে সেই অর্থে কোনো কাজই হয় না। তিনি বলেন, দেশগুলো নিজেদের ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই চায় না। কারণ এই প্রক্রিয়া এত ধীর যে তারা অধৈর্য হয়ে পড়ে। তার চেয়ে তারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতেই পছন্দ করে এমনকি সমস্যা বাড়তে থাকলেও তারা এটি পছন্দ করে।
ঋণ সংকট মোকাবিলার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করায় জন্য আইএমএফসহ অন্যান্য দাতাদের প্রচেষ্টাকে গ্রিনস্প্যান স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এগুলো অস্থায়ী কার্যক্রম। দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ও স্থিতিশীল প্রক্রিয়া দরকার। তবে কিছু দেশের পক্ষে এ ধরনের ব্যবস্থা তৈরি পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিলাসিতা নেই।’
এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিভিন্ন দেশ বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে তার মূলত শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারির আমলে দেশগুলোর সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে। এই কারণে হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসা। তিনি বলেন, ১৭টি দেশের ঋণের ওপর আরোপিত সারচার্জ অপসারণ করে এটি খুব সহজেই করা সম্ভব।
এই দেশগুলোকে আইএমএফের সহায়তা তালিকা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এসব সারচার্জ অপসারণ করা উচিত। এতে এই দেশগুলোতে যে ২০০ কোটি ডলার আটকে আছে তা শিগগিরই উদ্ধার করতে পারবে সংস্থাটি এবং পরে এই অর্থ অন্য দেশে প্রয়োজনে ব্যয় করা সম্ভব হবে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন সংস্থা আঙ্কটাডের মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেছেন, বিশ্ব বর্তমানে একটি ঋণ সংকটের মধ্যে আছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো ঋণ সংকটের কারণে ভয়াবহভাবে ভুগছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত সহজলভ্য উপায়ে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তিনি এই সংকট উত্তরণে ধনীদের দায়িত্ব আছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, গরিব দেশগুলো যে ঋণ সংকটে ভুগছে তা অনেকটাই ‘রিভার্স ব্লাড ট্রান্সফিউশনের’ মতো। এই প্রক্রিয়ায় মূলত, রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে নেওয়া হয় এবং আরেক পাশ দিয়ে প্লাজমা দেওয়া হয়। রেবেকা বলেন, ‘এই অবস্থায়, যে দেশের টাকা প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে যাদের প্রয়োজন নেই তাদের কাছে যাচ্ছে।’
আঙ্কটাডের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে যে পরিমাণ ঋণ সহায়তা পেয়েছে তার চেয়ে প্রায় ৫০০০ কোটি ডলার বেশি পরিমাণ অর্থের ঋণ পরিশোধ করেছে। এ বিষয়ে রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, ‘আমাদের যে বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার তা হলো—বাজার সংকটে নেই, সংকটে আছে মানুষ। আমরা ঋণ সংকটের মধ্যে আছি।’
রেবেকার মতে, ছোট ও মাঝারি অর্থনীতির দেশগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলেও তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় আছে। তিনি বলেন, ‘তারা এমন এক অবস্থায় আছে যেখানে তারা নিজ জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষার উন্নয়নের ব্যয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করছে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে।’ তিনি বলেন, আঙ্কটাডের অনুমান, বর্তমান বিশ্বে অন্তত ৫২টি দেশ ঋণে জর্জরিত অথবা সেই পথেই আছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক বৈঠকে বর্তমান ঋণ সংকট উত্তরণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানান রেবেকা। এর আগে, তিনি জি-২০ সম্মেলন এবং জাতিসংঘেও ঋণ সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া গ্রিনস্প্যান রাশিয়ার সার বিশ্ববাজারে উন্মুক্ত করার বিষয়েও কাজ করেছেন।
গরিব দেশগুলোর ঋণ সংকট সমাধানে অসংখ্যবার প্রচেষ্টা করা হলেও এটি এত জটিল ও ধীর যে, এতে সেই অর্থে কোনো কাজই হয় না। তিনি বলেন, দেশগুলো নিজেদের ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই চায় না। কারণ এই প্রক্রিয়া এত ধীর যে তারা অধৈর্য হয়ে পড়ে। তার চেয়ে তারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতেই পছন্দ করে এমনকি সমস্যা বাড়তে থাকলেও তারা এটি পছন্দ করে।
ঋণ সংকট মোকাবিলার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করায় জন্য আইএমএফসহ অন্যান্য দাতাদের প্রচেষ্টাকে গ্রিনস্প্যান স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এগুলো অস্থায়ী কার্যক্রম। দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ও স্থিতিশীল প্রক্রিয়া দরকার। তবে কিছু দেশের পক্ষে এ ধরনের ব্যবস্থা তৈরি পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিলাসিতা নেই।’
এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিভিন্ন দেশ বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে তার মূলত শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারির আমলে দেশগুলোর সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে। এই কারণে হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসা। তিনি বলেন, ১৭টি দেশের ঋণের ওপর আরোপিত সারচার্জ অপসারণ করে এটি খুব সহজেই করা সম্ভব।
এই দেশগুলোকে আইএমএফের সহায়তা তালিকা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এসব সারচার্জ অপসারণ করা উচিত। এতে এই দেশগুলোতে যে ২০০ কোটি ডলার আটকে আছে তা শিগগিরই উদ্ধার করতে পারবে সংস্থাটি এবং পরে এই অর্থ অন্য দেশে প্রয়োজনে ব্যয় করা সম্ভব হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে