নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বড় ধরনের ডলার-সংকটে পড়েছে দেশ; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। নানা পদক্ষেপের পরও খুব একটা উন্নতি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি। উল্টো স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো দেশের আর্থিক হিসাব (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) নেতিবাচক হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবের সূচকে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারের বড় উদ্বৃত্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তিন মাস শেষে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে ৪৪৯ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি বেশ কমেছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত বাণিজ্যের সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ঘাটতি কমেছে ৫৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-অক্টোবর সময়ে ২ হাজার ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই চার মাসে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। অন্যদিকে এই বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৩৮ কোটি ডলার। মূলত বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতি বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ২৮৫ কোটি ডলার। জুলাই-অক্টোবর সময়ে তা বেড়ে ৩৮৪ কোটি ডলারে উঠেছে। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৪৭০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘দেশের বাণিজ্য ঘাটতি নতুন কিছু নয়। মহামারি করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরে সমগ্র বিশ্বে একটা সংকট দেখা দেয়; যার ফলে আমদানি পণ্যের ব্যয় বেড়ে যায়। আর ডলার-সংকটে নানা উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে অধিকাংশ সূচকে উন্নতি হয়েছে। চলতি হিসাবে নেগেটিভ থেকে পজিটিভ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে আর্থিক হিসাব নেতিবাচক হয়েছে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বড় ধরনের ডলার-সংকটে পড়েছে দেশ; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। নানা পদক্ষেপের পরও খুব একটা উন্নতি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি। উল্টো স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো দেশের আর্থিক হিসাব (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) নেতিবাচক হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবের সূচকে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারের বড় উদ্বৃত্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। তিন মাস শেষে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে ৪৪৯ কোটি ডলারের ঘাটতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি বেশ কমেছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত বাণিজ্যের সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ঘাটতি কমেছে ৫৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-অক্টোবর সময়ে ২ হাজার ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই চার মাসে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। অন্যদিকে এই বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৩৮ কোটি ডলার। মূলত বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতি বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ২৮৫ কোটি ডলার। জুলাই-অক্টোবর সময়ে তা বেড়ে ৩৮৪ কোটি ডলারে উঠেছে। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৪৭০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘দেশের বাণিজ্য ঘাটতি নতুন কিছু নয়। মহামারি করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরে সমগ্র বিশ্বে একটা সংকট দেখা দেয়; যার ফলে আমদানি পণ্যের ব্যয় বেড়ে যায়। আর ডলার-সংকটে নানা উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে অধিকাংশ সূচকে উন্নতি হয়েছে। চলতি হিসাবে নেগেটিভ থেকে পজিটিভ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে আর্থিক হিসাব নেতিবাচক হয়েছে।’
সম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
১ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৭ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে