অনলাইন ডেস্ক
মুদ্রাকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জীবনীশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তিকেও প্রতিফলিত করে। মুদ্রার শক্তি বিচার করে কোনো দেশের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকেও পরিমাপ করা হয়। মুদ্রার শক্তি বাড়লে একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়ে। এতে ওই দেশটি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব বাড়াতেও সক্ষম হয়।
একটি শক্তিশালী মুদ্রা দেশগুলোকে অর্থনৈতিক ঝোড়ো আবহাওয়ার বিপরীতে ক্ষমতা প্রদান করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের আন্তঃসংযুক্ত মাঠে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ১৮০টি মুদ্রাকে আইনি দরপত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে কিছু মুদ্রা বিপুল জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই কারণগুলো কোনো মুদ্রার মান বা শক্তি নির্ধারণ করে, এমন নয়।
মুদ্রার শক্তি নির্ধারণের জন্য সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং চাহিদা ও সরবরাহের বিষয়গুলোও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে।
একটি শক্তিশালী মুদ্রা শুধুমাত্র একটি দেশের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় না বরং বিশ্ব মঞ্চে এর বিশ্বাসযোগ্যতাকেও নির্দেশ করে। বিনিয়োগকারীরা এমন মুদ্রার আশ্রয় নেয় যা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে যা একটি শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করে।
আন্তর্জাতিকভাবে বহুল ব্যবহার এবং অন্যান্য মুদ্রার তুলনামূলক মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহারের জন্য আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই মার্কিন মুদ্রা ডলারকে সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে ভেবে থাকেন। তবে এই ধারণাটি সঠিক নয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ফোর্বসের করা তালিকা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চেয়েও শক্তিশালী আরও অন্তত ৯টি মুদ্রা রয়েছে। এ হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি মুদ্রার তালিকায় ডলারের অবস্থান ১০ নম্বরে। দেখে নেওয়া যাক, শক্তিশালী মুদ্রার তালিকাটি—
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি) : টানা কয়েক বছরের মতো এবারও কুয়েতি দিনারই হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৫ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে নিজস্ব মুদ্রা দিনার চালু করে কুয়েত।
শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন করা সহজ ছিল। এখন এই মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ড ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।
২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি) : গত বছরের মতো চলতি বছরও বাহরাইন দিনারকে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ফোর্বস। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে সবচেয়ে বেশি আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার চালু করে তা মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে বিনিময় শুরু হয়েছিল।
৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর) : ২০২৪ সালেও বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হলো—ওমানি রিয়াল। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। দেশটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। গত শতকের সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু করে ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়েছিল।
৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি) : জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ১.৪১ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।
৫. জিব্রাল্টার পাউন্ড: ২০২৪ সালের তালিকায় এই মুদ্রাটি গত বছরের তুলনায় ২ ধাপ এগিয়েছে। বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের সমান মান নিয়ে জিব্রাল্টার পাউন্ড তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২৭ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।
৬. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি) : জিব্রাল্টার পাউন্ডের সমান মান হলেও শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় এবার ৬ নম্বরে রয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২৭ ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।
৭. কেম্যান আইল্যান্ড ডলার (কেওয়াইডি) : কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে এক ধাপ পিছিয়ে এবার সপ্তম স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।
৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.১৭ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।
৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টি দেশের সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় ৯ নম্বর অবস্থানে অর্থাৎ মার্কিন ডলারের ঠিক ওপরের অবস্থানটিতে রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৯ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।
১০. মার্কিন ডলার: বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা মার্কিন ডলার হলো ১০ তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সপ্তদশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয়েছিল। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
মুদ্রাকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জীবনীশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তিকেও প্রতিফলিত করে। মুদ্রার শক্তি বিচার করে কোনো দেশের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকেও পরিমাপ করা হয়। মুদ্রার শক্তি বাড়লে একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়ে। এতে ওই দেশটি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব বাড়াতেও সক্ষম হয়।
একটি শক্তিশালী মুদ্রা দেশগুলোকে অর্থনৈতিক ঝোড়ো আবহাওয়ার বিপরীতে ক্ষমতা প্রদান করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের আন্তঃসংযুক্ত মাঠে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ১৮০টি মুদ্রাকে আইনি দরপত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে কিছু মুদ্রা বিপুল জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই কারণগুলো কোনো মুদ্রার মান বা শক্তি নির্ধারণ করে, এমন নয়।
মুদ্রার শক্তি নির্ধারণের জন্য সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং চাহিদা ও সরবরাহের বিষয়গুলোও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে।
একটি শক্তিশালী মুদ্রা শুধুমাত্র একটি দেশের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় না বরং বিশ্ব মঞ্চে এর বিশ্বাসযোগ্যতাকেও নির্দেশ করে। বিনিয়োগকারীরা এমন মুদ্রার আশ্রয় নেয় যা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে যা একটি শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করে।
আন্তর্জাতিকভাবে বহুল ব্যবহার এবং অন্যান্য মুদ্রার তুলনামূলক মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহারের জন্য আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই মার্কিন মুদ্রা ডলারকে সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে ভেবে থাকেন। তবে এই ধারণাটি সঠিক নয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ফোর্বসের করা তালিকা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চেয়েও শক্তিশালী আরও অন্তত ৯টি মুদ্রা রয়েছে। এ হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি মুদ্রার তালিকায় ডলারের অবস্থান ১০ নম্বরে। দেখে নেওয়া যাক, শক্তিশালী মুদ্রার তালিকাটি—
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি) : টানা কয়েক বছরের মতো এবারও কুয়েতি দিনারই হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৫ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে নিজস্ব মুদ্রা দিনার চালু করে কুয়েত।
শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন করা সহজ ছিল। এখন এই মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ড ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।
২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি) : গত বছরের মতো চলতি বছরও বাহরাইন দিনারকে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ফোর্বস। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে সবচেয়ে বেশি আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার চালু করে তা মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে বিনিময় শুরু হয়েছিল।
৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর) : ২০২৪ সালেও বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হলো—ওমানি রিয়াল। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। দেশটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। গত শতকের সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু করে ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়েছিল।
৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি) : জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ১.৪১ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।
৫. জিব্রাল্টার পাউন্ড: ২০২৪ সালের তালিকায় এই মুদ্রাটি গত বছরের তুলনায় ২ ধাপ এগিয়েছে। বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের সমান মান নিয়ে জিব্রাল্টার পাউন্ড তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২৭ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।
৬. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি) : জিব্রাল্টার পাউন্ডের সমান মান হলেও শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় এবার ৬ নম্বরে রয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২৭ ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।
৭. কেম্যান আইল্যান্ড ডলার (কেওয়াইডি) : কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে এক ধাপ পিছিয়ে এবার সপ্তম স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।
৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.১৭ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।
৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টি দেশের সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় ৯ নম্বর অবস্থানে অর্থাৎ মার্কিন ডলারের ঠিক ওপরের অবস্থানটিতে রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৯ মার্কিন ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।
১০. মার্কিন ডলার: বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা মার্কিন ডলার হলো ১০ তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সপ্তদশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয়েছিল। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৯ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১৩ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১৪ ঘণ্টা আগে