নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে। এই সময়ে অধিদপ্তর ২৩৩টি ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত করে এবং প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করেছে। গতকাল ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের তদন্তে পাঁচ উপায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের প্রকৃত উপকরণ ক্রয় ও উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের তথ্য গোপন করে মাসিক রিটার্নে কম টার্নওভার প্রদর্শন, যাতে বিক্রয়ের ওপর যথাযথ ভ্যাট আহরণ না হয়। ভ্যাট ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য যেসব উপায় অবলম্বন করেছে তা হলো, একাধিক বার্ষিক সিএ রিপোর্ট তৈরি করে প্রকৃত তথ্য গোপন, বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট দিলেও ব্যয়ের ওপর উৎসে প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন না করা, নিবন্ধন না নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ভ্যাট আদায় এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া ও ভ্যাট চালান না করা। এভাবে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
জানা গেছে, ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তর গত অর্থবছর ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এই অডিটের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে।
অধিদপ্তরের অডিটে সর্বোচ্চ রাজস্ব উদ্ঘাটিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ৪৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর পর যথাক্রমে রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লি. ১৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লি. ১২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংক লি. ১০০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক লি. ৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক লি. ৪৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি. ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. ২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ডিপিএসএসটিএস স্কুল ২৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, কারিশমা সার্ভিসেস লি. ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লি. ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা, এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লি. ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তালিকায় অনেক নামীদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের অভিযানে সর্বোচ্চ রাজস্ব উদ্ঘাটিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আকতার ফার্নিচার ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, মোহাম্মদী ট্রেডিং ৩৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, চারুতা প্রাইভেট লিমিটেড ৩০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, উজালা পেইন্টস ইন্ডাস্ট্রি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, হোটেল লেকশোর সার্ভিস লি. ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ফুড ভিলেজ প্লাস ১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ফুড ভিলেজ লিমিটেড ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ডিবিএল সিরামিক্স লি. ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, খান কিচেন লি. ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সুং ফুড গার্ডেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া গত অর্থবছরে অধিদপ্তর বিভিন্ন মার্কেটে খুচরা পর্যায়ে একটি বিশেষ জরিপ পরিচালনা করেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২৫টি মার্কেটের ১৫ হাজার ৪৮২টি দোকানে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, আইনানুযায়ী ১৩ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা খুবই কম।
২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে। এই সময়ে অধিদপ্তর ২৩৩টি ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত করে এবং প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করেছে। গতকাল ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের তদন্তে পাঁচ উপায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের প্রকৃত উপকরণ ক্রয় ও উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের তথ্য গোপন করে মাসিক রিটার্নে কম টার্নওভার প্রদর্শন, যাতে বিক্রয়ের ওপর যথাযথ ভ্যাট আহরণ না হয়। ভ্যাট ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য যেসব উপায় অবলম্বন করেছে তা হলো, একাধিক বার্ষিক সিএ রিপোর্ট তৈরি করে প্রকৃত তথ্য গোপন, বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট দিলেও ব্যয়ের ওপর উৎসে প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন না করা, নিবন্ধন না নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ভ্যাট আদায় এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া ও ভ্যাট চালান না করা। এভাবে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
জানা গেছে, ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তর গত অর্থবছর ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এই অডিটের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে।
অধিদপ্তরের অডিটে সর্বোচ্চ রাজস্ব উদ্ঘাটিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ৪৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর পর যথাক্রমে রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লি. ১৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লি. ১২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংক লি. ১০০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক লি. ৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক লি. ৪৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি. ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. ২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা, ডিপিএসএসটিএস স্কুল ২৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, কারিশমা সার্ভিসেস লি. ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লি. ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা, এলিট পেইন্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লি. ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তালিকায় অনেক নামীদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দাদের অভিযানে সর্বোচ্চ রাজস্ব উদ্ঘাটিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আকতার ফার্নিচার ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, মোহাম্মদী ট্রেডিং ৩৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, চারুতা প্রাইভেট লিমিটেড ৩০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, উজালা পেইন্টস ইন্ডাস্ট্রি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, হোটেল লেকশোর সার্ভিস লি. ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ফুড ভিলেজ প্লাস ১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ফুড ভিলেজ লিমিটেড ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ডিবিএল সিরামিক্স লি. ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, খান কিচেন লি. ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, সুং ফুড গার্ডেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া গত অর্থবছরে অধিদপ্তর বিভিন্ন মার্কেটে খুচরা পর্যায়ে একটি বিশেষ জরিপ পরিচালনা করেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২৫টি মার্কেটের ১৫ হাজার ৪৮২টি দোকানে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, আইনানুযায়ী ১৩ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধনের সংখ্যা খুবই কম।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
৯ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
১৩ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে