অনলাইন ডেস্ক
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) কিনে নিচ্ছে তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক (সিসিআই)। বাংলাদেশের কোম্পানিটির শতভাগ শেয়ার কেনার বিষয়ে এরই মধ্যে দুই পক্ষের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিসিআই।
চুক্তি অনুযায়ী, দায়দেনা বাদ দিয়ে মোট ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের (১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার সমান) বিনিময়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের ১০০ ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে তুরস্কের কোম্পানি।
দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির সাবসিডিয়ারি সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) প্রধান প্রত্যক্ষ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অধিগ্রহণ করবে। এই কোম্পানি সিসিআইয়ের মালিকানাধীন।
সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের চুক্তি করে আনন্দিত। এই চুক্তি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে। এই কোম্পানি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। এ ছাড়া একটি বোতলজাত প্ল্যান্ট, তিনটি গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে কোম্পানির। তাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা ৫০০।
বাংলাদেশে কোমল পানীয়ের বাজারের আকার চার হাজার কোটি থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ, পারটেক্স ও মেঘনার মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।
সিসিআইয়ের মতে, ২০১৯—২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজারে ১০ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সিসিআই কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে। ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
বাংলাদেশে কোকা-কোলা তাবানি বেভারেজের (টিবিসিএল) মাধ্যমে ঢাকায় এবং কে রাহমানের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে ১৯৬২ সালে। এখানে উল্লেখ্য, কোকা-কোলা বাংলাদেশে যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন দেশের মানুষ নানা বৈচিত্র্যময় স্বাদ গ্রহণ করছিলেন, যার ফলে কোমল পানীয় পছন্দ করার একটি সাধারণ অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। এ ছাড়া কোকা-কোলা বাংলাদেশের কাছে ছিল মানুষের সবচেয়ে পছন্দের ব্র্যান্ড হওয়ার হিসেবে। সচেতনতার অভাব, পণ্য সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং অপর্যাপ্ত বিপণনের কারণে শুরুতে কঠিন সময় পার করলেও পরবর্তীকালে এর ব্যবসায় গতি আসে।
ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার পথে
১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) পানীয় ইউনিট কোকা-কোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে কুমিল্লায় তার পূর্ণাঙ্গ বোতলজাতকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করে। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কোকা-কোলা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বাজারের বোতলজাতকরণ, প্যাকেজিং, বিক্রয় এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এই ব্র্যান্ডের বয়স যখন ২০ বছর পার হয়, তখন বেশ কিছু স্থানীয় পানীয় বাজারে আসে। ধারণা করা হয়, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড তাদের কার্বনেটেড পানীয় বাজারে নিয়ে আসে।
কোকা-কোলার পাশাপাশি পেপসিকোও দেশে কাজ করছিল। তাই বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাচ্ছিল। সেটা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এক গবেষণায় দেখা যায় যে কোকা-কোলা তার শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং শীর্ষস্তরের কোম্পানিগুলো দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোকে অনুসরণ করছে। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন তাপস কুমার মন্ডল এবং আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) কিনে নিচ্ছে তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক (সিসিআই)। বাংলাদেশের কোম্পানিটির শতভাগ শেয়ার কেনার বিষয়ে এরই মধ্যে দুই পক্ষের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সিসিআই।
চুক্তি অনুযায়ী, দায়দেনা বাদ দিয়ে মোট ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের (১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার সমান) বিনিময়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের ১০০ ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে তুরস্কের কোম্পানি।
দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির সাবসিডিয়ারি সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) প্রধান প্রত্যক্ষ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে অধিগ্রহণ করবে। এই কোম্পানি সিসিআইয়ের মালিকানাধীন।
সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের চুক্তি করে আনন্দিত। এই চুক্তি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে। এই কোম্পানি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। এ ছাড়া একটি বোতলজাত প্ল্যান্ট, তিনটি গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে কোম্পানির। তাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা ৫০০।
বাংলাদেশে কোমল পানীয়ের বাজারের আকার চার হাজার কোটি থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ, পারটেক্স ও মেঘনার মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।
সিসিআইয়ের মতে, ২০১৯—২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজারে ১০ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সিসিআই কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে। ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা
বাংলাদেশে কোকা-কোলা তাবানি বেভারেজের (টিবিসিএল) মাধ্যমে ঢাকায় এবং কে রাহমানের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে ১৯৬২ সালে। এখানে উল্লেখ্য, কোকা-কোলা বাংলাদেশে যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন দেশের মানুষ নানা বৈচিত্র্যময় স্বাদ গ্রহণ করছিলেন, যার ফলে কোমল পানীয় পছন্দ করার একটি সাধারণ অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। এ ছাড়া কোকা-কোলা বাংলাদেশের কাছে ছিল মানুষের সবচেয়ে পছন্দের ব্র্যান্ড হওয়ার হিসেবে। সচেতনতার অভাব, পণ্য সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং অপর্যাপ্ত বিপণনের কারণে শুরুতে কঠিন সময় পার করলেও পরবর্তীকালে এর ব্যবসায় গতি আসে।
ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার পথে
১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আব্দুল মোনেম লিমিটেডের (এএমএল) পানীয় ইউনিট কোকা-কোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি বোতলজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে কুমিল্লায় তার পূর্ণাঙ্গ বোতলজাতকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করে। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কোকা-কোলা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান বাজারের বোতলজাতকরণ, প্যাকেজিং, বিক্রয় এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে। এই ব্র্যান্ডের বয়স যখন ২০ বছর পার হয়, তখন বেশ কিছু স্থানীয় পানীয় বাজারে আসে। ধারণা করা হয়, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড তাদের কার্বনেটেড পানীয় বাজারে নিয়ে আসে।
কোকা-কোলার পাশাপাশি পেপসিকোও দেশে কাজ করছিল। তাই বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাচ্ছিল। সেটা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এক গবেষণায় দেখা যায় যে কোকা-কোলা তার শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং শীর্ষস্তরের কোম্পানিগুলো দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোকে অনুসরণ করছে। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন তাপস কুমার মন্ডল এবং আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে