জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া শর্ত পূরণে খেলাপি কমাতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত উদ্যোগের পরেও খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়ে চলেছে। গত এক বছরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ পুনঃ তফসিলের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাত থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে দেওয়ার পর খেলাপি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির বিষয়টি হঠাৎ করে সৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসার ধারাবাহিকতা। কয়েক বছর ধরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। করোনা শেষে বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার পর এটি বড় একটা লাফ দিয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ঋণ পুনঃ তফসিল ক্ষমতা বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে ছেড়ে দেন, যা খেলাপিকে উসকে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এ হার বেড়ে হয় মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপির হার দাঁড়ায় মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ শতাংশ।
খেলাপি ঋণের এসব তথ্য আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য থাকে না। খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগই করা হয় না এখানে। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয়। বিশেষ কৌশলে নানা ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো হয়।
খেলাপি ঋণ কম দেখাতে নানা কৌশল নেওয়ার পরেও সরকারি ব্যাংকে খেলাপির হার এখনো ২১ শতাংশ, আর বেসরকারি ব্যাংকে ৬ শতাংশ। যদিও সরকারি ব্যাংকের খেলাপির ১০ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ আদায় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া শর্ত পূরণে খেলাপি কমাতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত উদ্যোগের পরেও খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়ে চলেছে। গত এক বছরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণ পুনঃ তফসিলের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাত থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে দেওয়ার পর খেলাপি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির বিষয়টি হঠাৎ করে সৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসার ধারাবাহিকতা। কয়েক বছর ধরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। করোনা শেষে বিশেষ সুবিধা তুলে নেওয়ার পর এটি বড় একটা লাফ দিয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ঋণ পুনঃ তফসিল ক্ষমতা বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে ছেড়ে দেন, যা খেলাপিকে উসকে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এ হার বেড়ে হয় মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপির হার দাঁড়ায় মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ শতাংশ।
খেলাপি ঋণের এসব তথ্য আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য থাকে না। খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগই করা হয় না এখানে। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয়। বিশেষ কৌশলে নানা ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কমানো হয়।
খেলাপি ঋণ কম দেখাতে নানা কৌশল নেওয়ার পরেও সরকারি ব্যাংকে খেলাপির হার এখনো ২১ শতাংশ, আর বেসরকারি ব্যাংকে ৬ শতাংশ। যদিও সরকারি ব্যাংকের খেলাপির ১০ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ আদায় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে