নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বাজেট ঘোষণার পরদিন থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে গতকাল শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হয়েছে। বরং কোনো কোনো পণ্য আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফলে বাজারে গিয়ে ফর্দ মিলিয়ে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৮৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। গতকাল বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ৯৫-১০০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১৫ টাকা। আর গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা।
রামপুরা বাজারের দোকানি আবদুল আলীম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আড়তেই বেশি। শুনছি গুদাম গেটেই দাম ৭০-৮০। এ বছর পেঁয়াজের দাম আর কমব না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, মূলত ঈদ সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সে কারণে আমদানি করেও লাগাম টানা যাচ্ছে না।
গতকাল প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৬০ টাকা, হালি ৫৫ টাকা এবং প্রতিটি ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ৬০-৬৫ টাকায়। চাল ও ডালের দামও সামান্য বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চাল সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল ৫৪-৫৮ টাকায়। আর সরু মিনিকেট ৭৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে মসুর ডাল মানভেদে ১০৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শান্তিনগর বাজারে সপ্তাহের কেনাকাটা করতে আসা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘এক কেজি করে চাল, ডাল, আলু আর এক ডজন ডিম কিনতেই ৪০০ টাকা শেষ। এর সঙ্গে যদি পেঁয়াজ, সবজি আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে যাই, তাহলে হাজার টাকার নিচে পারা যাচ্ছে না।’
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁপে, বেগুন, করলার দাম সামান্য কমেছে। গতকাল পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা আর করলা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬৫ টাকা, কচুরমুখি, বরবটি ও টমেটোর কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাংসের বাজারেও নেই কোনো সুখবর। সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও সপ্তাহান্তে এসে তা আবার বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংসও ৭৫০-৮০০ টাকায় স্থির ছিল। খাসির মাংস বিক্রি হয় ১১০০-১২০০ টাকা দরে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, দাম একবার বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এখন সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা ভাবা। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বাজেট ঘোষণার পরদিন থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে গতকাল শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হয়েছে। বরং কোনো কোনো পণ্য আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফলে বাজারে গিয়ে ফর্দ মিলিয়ে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৮৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। গতকাল বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ৯৫-১০০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১৫ টাকা। আর গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা।
রামপুরা বাজারের দোকানি আবদুল আলীম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আড়তেই বেশি। শুনছি গুদাম গেটেই দাম ৭০-৮০। এ বছর পেঁয়াজের দাম আর কমব না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, মূলত ঈদ সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সে কারণে আমদানি করেও লাগাম টানা যাচ্ছে না।
গতকাল প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৬০ টাকা, হালি ৫৫ টাকা এবং প্রতিটি ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ৬০-৬৫ টাকায়। চাল ও ডালের দামও সামান্য বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চাল সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছিল ৫৪-৫৮ টাকায়। আর সরু মিনিকেট ৭৫ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে মসুর ডাল মানভেদে ১০৫-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শান্তিনগর বাজারে সপ্তাহের কেনাকাটা করতে আসা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘এক কেজি করে চাল, ডাল, আলু আর এক ডজন ডিম কিনতেই ৪০০ টাকা শেষ। এর সঙ্গে যদি পেঁয়াজ, সবজি আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে যাই, তাহলে হাজার টাকার নিচে পারা যাচ্ছে না।’
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁপে, বেগুন, করলার দাম সামান্য কমেছে। গতকাল পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা আর করলা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬৫ টাকা, কচুরমুখি, বরবটি ও টমেটোর কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাংসের বাজারেও নেই কোনো সুখবর। সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও সপ্তাহান্তে এসে তা আবার বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংসও ৭৫০-৮০০ টাকায় স্থির ছিল। খাসির মাংস বিক্রি হয় ১১০০-১২০০ টাকা দরে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান মনে করেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, দাম একবার বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এখন সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা ভাবা। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৪ ঘণ্টা আগে