জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
গত দুই বছরে ডলারে অস্থির করা অর্থনীতি, এখনো এর রাহুর দশা থেকে মুক্তি পায়নি। শুধু তাই নয়; এ সময়ে সংকট বরং আরও বেড়েছে। ৪৮ বিলিয়ন ডলারে ওঠা রিজার্ভ কমে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ডলারকে সুরক্ষা দিতে আমদানি এমন কড়াকড়ি করা হয়েছে, তাতে উৎপাদন ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খুব যে ডলার সাশ্রয় হয়েছে তা নয়; বরং এ সময়ে ডলার নিরাপদ অঙ্কে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গলদঘর্ম বাংলাদেশ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে সবশেষ ক্রলিং পেগ নামের হাতিয়ার। ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ কৌশল কতটা কাজে দেবে এ নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ক্রলিং পেগ আসছে, ঈদের পর কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এত কিছুর পরেও সম্প্রতি রিজার্ভের উন্নতি দৃশ্যমান হয়নি। এমনকি রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাসহ বিদেশ থেকে ঋণ পাওয়ার পরেও রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ডলারের দাম শতভাগ বাজারের ওপর ছাড়ার ঘোষণা থেকে সরে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রলিং পেগ করিডরের মাধ্যমে ডলারের দাম বাড়ানোর আভাস দেয়। কিন্তু মূল্যস্ফীতি গত জানুয়ারিতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নকে আপাতত স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, বিগত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও গত জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং তার আগের মাসে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই অবস্থায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ালে পণ্যের মূল্য আরও বেড়ে যাবে। যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে। এ জন্য ক্রলিং পেগ করিডর পদ্ধতিতে এক টাকা ডলারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। কেননা, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের মূল্য বাড়ে। এ জন্য আপাতত রমজানের ঈদের আগের ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কেননা, সরকার চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ডলার-সংকটে পণ্যের সরবরাহ কমায় মূলত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এমনিতেই রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। সে জন্য এই মুহূর্তে ডলারের দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি উসকে যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ডলার-সংকটেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। গতকাল গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ২০.২০ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ ছিল ১৫.৪৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও ২০২১ সালের ২৫ আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ মূলত রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভর করে। ঈদের সময় সাধারণত রেমিট্যান্স বাড়ে। শুধু রেমিট্যান্স বাড়লেই যে রিজার্ভ বাড়বে তা বলা মুশকিল।
গত দুই বছরে ডলারে অস্থির করা অর্থনীতি, এখনো এর রাহুর দশা থেকে মুক্তি পায়নি। শুধু তাই নয়; এ সময়ে সংকট বরং আরও বেড়েছে। ৪৮ বিলিয়ন ডলারে ওঠা রিজার্ভ কমে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ডলারকে সুরক্ষা দিতে আমদানি এমন কড়াকড়ি করা হয়েছে, তাতে উৎপাদন ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খুব যে ডলার সাশ্রয় হয়েছে তা নয়; বরং এ সময়ে ডলার নিরাপদ অঙ্কে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গলদঘর্ম বাংলাদেশ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে সবশেষ ক্রলিং পেগ নামের হাতিয়ার। ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ কৌশল কতটা কাজে দেবে এ নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ক্রলিং পেগ আসছে, ঈদের পর কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এত কিছুর পরেও সম্প্রতি রিজার্ভের উন্নতি দৃশ্যমান হয়নি। এমনকি রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাসহ বিদেশ থেকে ঋণ পাওয়ার পরেও রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ডলারের দাম শতভাগ বাজারের ওপর ছাড়ার ঘোষণা থেকে সরে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রলিং পেগ করিডরের মাধ্যমে ডলারের দাম বাড়ানোর আভাস দেয়। কিন্তু মূল্যস্ফীতি গত জানুয়ারিতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নকে আপাতত স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, বিগত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও গত জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং তার আগের মাসে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই অবস্থায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ালে পণ্যের মূল্য আরও বেড়ে যাবে। যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে। এ জন্য ক্রলিং পেগ করিডর পদ্ধতিতে এক টাকা ডলারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। কেননা, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের মূল্য বাড়ে। এ জন্য আপাতত রমজানের ঈদের আগের ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কেননা, সরকার চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ডলার-সংকটে পণ্যের সরবরাহ কমায় মূলত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এমনিতেই রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। সে জন্য এই মুহূর্তে ডলারের দাম বাড়ালে মূল্যস্ফীতি উসকে যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ডলার-সংকটেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। গতকাল গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ২০.২০ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ ছিল ১৫.৪৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও ২০২১ সালের ২৫ আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ মূলত রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভর করে। ঈদের সময় সাধারণত রেমিট্যান্স বাড়ে। শুধু রেমিট্যান্স বাড়লেই যে রিজার্ভ বাড়বে তা বলা মুশকিল।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে