নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে প্রায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে বিপরীত চিত্র অপ্রচলিত বাজারগুলোতে। জাপান, চীন, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরেরে জুলাই-নভেম্বরে এ দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম সম্ভাবনাময় নতুন দেশ হচ্ছে জাপান। দূরপ্রাচ্যের এ দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭২৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সংস্থাটি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এটার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
জাপানে প্রধান পণ্য নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৭৯ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। ওভেন গার্মেন্টস হয়েছে ৩০৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা উল্লেখযোগ্য।
রপ্তানি খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পর চীন থেকে অনেক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আগে যেসব দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, সেসব দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন, যার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের সুনাম বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে বেড়েছে, যেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নতুন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়া।
জাপানের পর চীনেও রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের। চীন পণ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এখনো। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে চীনে ৩৫০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের এ সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে এখন অন্যতম দেশ হচ্ছে তুরস্ক। এই দেশটিতে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুরস্কে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পণ্য রপ্তানি বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়ও। এই দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাশিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৪০ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার, সেটা এই অর্থবছরের পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি বাজার নিয়ে নানা ভয়-আতঙ্ক থাকলেও আশাজাগানিয়া খবরও এসেছে। গত পাঁচ মাসে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা বেশ ইতিবাচক দেখা গেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের পাঁচ মাসে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে প্রায় প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে বিপরীত চিত্র অপ্রচলিত বাজারগুলোতে। জাপান, চীন, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় চলতি অর্থবছরেরে জুলাই-নভেম্বরে এ দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম সম্ভাবনাময় নতুন দেশ হচ্ছে জাপান। দূরপ্রাচ্যের এ দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭২৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সংস্থাটি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এটার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
জাপানে প্রধান পণ্য নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৭৯ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। ওভেন গার্মেন্টস হয়েছে ৩০৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার। অন্য পণ্যগুলো হচ্ছে হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা উল্লেখযোগ্য।
রপ্তানি খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পর চীন থেকে অনেক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আগে যেসব দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, সেসব দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন, যার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের সুনাম বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে বেড়েছে, যেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নতুন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়া।
জাপানের পর চীনেও রপ্তানি বেড়েছে বাংলাদেশের। চীন পণ্য রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এখনো। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে চীনে ৩৫০ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের এ সময়ে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে এখন অন্যতম দেশ হচ্ছে তুরস্ক। এই দেশটিতে গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুরস্কে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পণ্য রপ্তানি বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়ও। এই দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাশিয়ায় রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৪০ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার, সেটা এই অর্থবছরের পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার।
নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উ
৩২ মিনিট আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে