আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আজ। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। যার কারণে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা দেশের ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জনগণের নির্বাচিত সরকার চান তাঁরা। অতীতের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব বিতর্ক রয়েছে, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাতে সবাই ভোট দিতে পারেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার। অর্থনীতি মূল। অর্থনীতি ঠিক থাকলে দেশ ঠিক থাকবে। অর্থনীতির ক্ষতি হলে দেশ ঠিক থাকবে না। অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন প্রয়োজন।
নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ধরনের সহিংসতা কাম্য নয় বলে জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা প্রাণহানি ও সম্পদহানি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষ হিসেবে আপনিই সমর্থন করবেন না, আমিও করব না।’
নতুন সরকারের প্রতি প্রত্যাশা সম্পর্কে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা একটা—ব্যবসাবান্ধব সরকার। অর্থনীতিকে ঠিক রাখা। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ যেমন, ডলার-সংকট, গ্যাস-সংকট ও অন্যান্য সংকটের সমাধানে পদক্ষেপ নেবে নতুন সরকার।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ভোটটা যেন সুন্দরভাবে হয়। মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারে। ভোটারদের উপস্থিতি যেন ভালো হয়। এর আগে ভোট দিতে না পারা, ভোটে প্রশাসনের সরাসরি সম্পৃক্ততা, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার যেসব অভিযোগ ছিল, সেসব যাতে এবার না হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যেহেতু বৈশ্বিক বাণিজ্য করি। সব সময়ই চাপ থাকে। এখন আরও বেশি আছে। সেই চাপটা যেন না থাকে। অনেক বড় রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। তবে যাঁরাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই মানুষ যেন ঠিকভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন।’
নতুর সরকারের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে ফারুক হাসান বলেন, ‘কিছু সমস্যা বেশি মোকাবিলা করছি। যেমন, আমাদের ব্যাংক, কাস্টমস, বন্ডে আরও সরলীকরণ করা দরকার। নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্পগুলো যেন তাড়াতাড়ি শেষ করে এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারি, সেদিকে জোর দিতে হবে।’
এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাঙালিদের জন্য নির্বাচনটা সব সময়ই উৎসবমুখর। গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুবই প্রয়োজন। নির্বাচন হচ্ছে। সব ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটের মাধ্যমে তাঁদের রায়টা দেন। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে।’
প্রত্যাশা কী থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন, যাঁদের সবাই নির্বাচিত করবেন, তাঁরাই ক্ষমতায় আসবেন। তাঁরাই দেশকে ভালোভাবে পরিচালনা করবেন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, নির্বাচন তো একটা প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। নির্বাচন এখন না হলে পরবর্তী সময়ে আরও জটিলতা তৈরি হয়। নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলো এল না। সেটা একটা জটিলতা। নির্বাচন না হওয়া আরও বড় জটিলতা।
মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, নির্বাচনের পরের ভাবনা নিয়ে। আমাদের স্যাংশন হতে পারে। ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য। এলসি করার পরে কোনো কারণে পার্টি যদি পেমেন্ট না দেয়, তাহলে সেখানকার ওপেনিং ব্যাংকের কিছু করার থাকবে না। তিন-চার লাখ ডলারের মাল পাঠানোর পরে যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে গার্মেন্টস ব্যবসার জন্য সেটা খুবই খারাপ হবে। ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এবং নির্বাচিত সরকার যদি ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। সেটাই আশা করি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আজ। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। যার কারণে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা দেশের ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জনগণের নির্বাচিত সরকার চান তাঁরা। অতীতের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব বিতর্ক রয়েছে, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যাতে সবাই ভোট দিতে পারেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার। অর্থনীতি মূল। অর্থনীতি ঠিক থাকলে দেশ ঠিক থাকবে। অর্থনীতির ক্ষতি হলে দেশ ঠিক থাকবে না। অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন প্রয়োজন।
নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ধরনের সহিংসতা কাম্য নয় বলে জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা প্রাণহানি ও সম্পদহানি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষ হিসেবে আপনিই সমর্থন করবেন না, আমিও করব না।’
নতুন সরকারের প্রতি প্রত্যাশা সম্পর্কে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা একটা—ব্যবসাবান্ধব সরকার। অর্থনীতিকে ঠিক রাখা। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ যেমন, ডলার-সংকট, গ্যাস-সংকট ও অন্যান্য সংকটের সমাধানে পদক্ষেপ নেবে নতুন সরকার।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ভোটটা যেন সুন্দরভাবে হয়। মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারে। ভোটারদের উপস্থিতি যেন ভালো হয়। এর আগে ভোট দিতে না পারা, ভোটে প্রশাসনের সরাসরি সম্পৃক্ততা, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার যেসব অভিযোগ ছিল, সেসব যাতে এবার না হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যেহেতু বৈশ্বিক বাণিজ্য করি। সব সময়ই চাপ থাকে। এখন আরও বেশি আছে। সেই চাপটা যেন না থাকে। অনেক বড় রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। তবে যাঁরাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই মানুষ যেন ঠিকভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন।’
নতুর সরকারের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে ফারুক হাসান বলেন, ‘কিছু সমস্যা বেশি মোকাবিলা করছি। যেমন, আমাদের ব্যাংক, কাস্টমস, বন্ডে আরও সরলীকরণ করা দরকার। নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্পগুলো যেন তাড়াতাড়ি শেষ করে এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারি, সেদিকে জোর দিতে হবে।’
এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাঙালিদের জন্য নির্বাচনটা সব সময়ই উৎসবমুখর। গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুবই প্রয়োজন। নির্বাচন হচ্ছে। সব ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটের মাধ্যমে তাঁদের রায়টা দেন। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে।’
প্রত্যাশা কী থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন, যাঁদের সবাই নির্বাচিত করবেন, তাঁরাই ক্ষমতায় আসবেন। তাঁরাই দেশকে ভালোভাবে পরিচালনা করবেন।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, নির্বাচন তো একটা প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত। নির্বাচন এখন না হলে পরবর্তী সময়ে আরও জটিলতা তৈরি হয়। নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলো এল না। সেটা একটা জটিলতা। নির্বাচন না হওয়া আরও বড় জটিলতা।
মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, নির্বাচনের পরের ভাবনা নিয়ে। আমাদের স্যাংশন হতে পারে। ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য। এলসি করার পরে কোনো কারণে পার্টি যদি পেমেন্ট না দেয়, তাহলে সেখানকার ওপেনিং ব্যাংকের কিছু করার থাকবে না। তিন-চার লাখ ডলারের মাল পাঠানোর পরে যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে গার্মেন্টস ব্যবসার জন্য সেটা খুবই খারাপ হবে। ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এবং নির্বাচিত সরকার যদি ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। সেটাই আশা করি।’
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব কেমন হবে? এটি ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদারীকরণ যুগের অবসান ঘটাবে নাকি...
৫ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতদিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। সেসব পণ্যও বন্দরে পৌঁছার পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
৯ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে