নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বন্ড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর সঙ্গে ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা রাজস্বের বিষয় জড়িত বলে জানান মন্ত্রী।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মানি লন্ডারিং আইন অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাসমূহ বিগত ৫ অর্থবছরে (২০১৭-২০২২) ১২১টি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে। একই সময়ে সন্দেহজনক লেনদেন ২৪ হাজার ৯৭৭ টি। আর মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় ১ হাজার ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ৬ জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৬ জন।
সরকার কর দাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সেগুলো হলো, জরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, এক পাতার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজীকরণ, তাৎক্ষণিক হিসাব নিরূপণ, অনলাইন ই-রিটার্ন দাখিল, আয়কর প্রদান সহজীকরণ, যেমন—চালান, রকেট, নগদ, বিকাশ এবং সোনালি ব্যাংক ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধের ব্যবস্থা চালু, করদাতাদের সম্মাননা প্রদান।
বগুড়া-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেয়নি।
কাঙ্ক্ষিত হারে আয়কর রিটার্ন না পাওয়ার কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর অনুবিভাগে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়কর অফিস না থাকা। বিদ্যমান আয়কর আইন এবং ই-টিআইএন নিবন্ধন সিস্টেমে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় করদাতাদের তথ্য পৃথকভাবে সংরক্ষণের সুযোগ নেই, বিধায় প্রকৃত রিটার্ন দাখিল করার যোগ্য করদাতার সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
কুড়িগ্রাম ২ আসনের পনির উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’
জাতীয় পার্টির সংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তফসিলি ব্যাংকের মূল ঋণ (আসল) মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই। তফসিলভুক্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংক (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি) এবং তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) রয়েছে। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ জন গ্রাহকের অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২০২২ সালে ওই ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে।’
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বন্ড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর সঙ্গে ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা রাজস্বের বিষয় জড়িত বলে জানান মন্ত্রী।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মানি লন্ডারিং আইন অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাসমূহ বিগত ৫ অর্থবছরে (২০১৭-২০২২) ১২১টি মানি লন্ডারিং মামলা করেছে। একই সময়ে সন্দেহজনক লেনদেন ২৪ হাজার ৯৭৭ টি। আর মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় ১ হাজার ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ৬ জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৬ জন।
সরকার কর দাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সেগুলো হলো, জরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, এক পাতার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজীকরণ, তাৎক্ষণিক হিসাব নিরূপণ, অনলাইন ই-রিটার্ন দাখিল, আয়কর প্রদান সহজীকরণ, যেমন—চালান, রকেট, নগদ, বিকাশ এবং সোনালি ব্যাংক ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধের ব্যবস্থা চালু, করদাতাদের সম্মাননা প্রদান।
বগুড়া-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেয়নি।
কাঙ্ক্ষিত হারে আয়কর রিটার্ন না পাওয়ার কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর অনুবিভাগে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়কর অফিস না থাকা। বিদ্যমান আয়কর আইন এবং ই-টিআইএন নিবন্ধন সিস্টেমে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় করদাতাদের তথ্য পৃথকভাবে সংরক্ষণের সুযোগ নেই, বিধায় প্রকৃত রিটার্ন দাখিল করার যোগ্য করদাতার সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
কুড়িগ্রাম ২ আসনের পনির উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধার্থে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’
জাতীয় পার্টির সংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তফসিলি ব্যাংকের মূল ঋণ (আসল) মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই। তফসিলভুক্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংক (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসি) এবং তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) রয়েছে। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ জন গ্রাহকের অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২০২২ সালে ওই ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে।’
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
৫ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
১১ ঘণ্টা আগেমূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
১২ ঘণ্টা আগে